বরগুনা প্রতিনিধি
সংস্কার না হওয়ায় বরগুনার শতাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ভবনধসসহ অধিকাংশ ভবনের দরজা-জানালা খুলে গেছে, ছাদে ফাটল ধরেছে, পলেস্তারা খসে পড়েছে। এই অবস্থায় রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না সিএইচসিপিরা। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্য।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। এতে বরগুনা জেলায় মোট ১১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়। এগুলোর মধ্যে ২০২১ সালে আমতলীতে ব্যক্তিগত অনুদানে আরও দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৮। পরে ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত এসব ভবনে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় ভবনগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার ক্লিনিকগুলো চালু করে। সে সময় ভবনগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু হয়।
বরগুনার একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ছয় হাজার লোকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিটি ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহে ছয় দিন বসেন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন করে বসেন একজন স্বাস্থ্য সহকারী। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ছাড়াও ইপিআই কর্মসূচির সব কার্যক্রম এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঠালতলী কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী, শিশুসহ প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন রোগী আসছেন সেবা নিতে। কিন্তু বেহাল ভবনের কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ক্লিনিক থেকে সম্প্রতি প্রসূতিসেবা নিতে আসেন কাঠালতলী গ্রামের দরিদ্র গৃহবধূ সালমা বেগম। সালমা বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিকের ভবনটা এহন যদি না ঠিক করে, তয় ভাইঙ্গা পইর্যা যাবার সম্ভাবনা আছে। মোরা এইহানে ভালোই সেবা পাই, মোগো এইডারে সরকার একটু ঠিক কইর্যা দিউক।’
কাঠালতলী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মো. রিয়াজুল কবীর রিয়াজ বলেন, ‘রাস্তা থেকে ক্লিনিকে যাওয়ার সংযোগ সড়ক নেই; বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হন। ভবন চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে আসবাব, ওষুধ নষ্ট হয়ে যায়।’
সদর উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের বৈঠাকাটা এলাকায় মাঠের মধ্যে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকের আধভাঙা ভবনে চলছে কার্যক্রম। একইভাবে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকেরও একই অবস্থা।
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি ২০২০ সালে দেয়াল, বিমসহ ধসে পড়ে। তখন থেকে এই ভবন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে সিএইচসিপিরা খেকুয়ানি বাজারের একটি ক্লাব ঘরে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সিএইচসিপি আফরোজা আক্তার বলেন, সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকের ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায় বসে রোগী দেখি। একই অবস্থা তালতলী উপজেলার জয়ালভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের। ভবনটির ছাদে ফাটল দেখা দেওয়ায় বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যায়।
একইভাবে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, বামনা, আমতলী, তালতলী ও বেতাগী উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ভবন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হয় হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশের ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে এগুলো সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে।’
সংস্কার না হওয়ায় বরগুনার শতাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ভবনধসসহ অধিকাংশ ভবনের দরজা-জানালা খুলে গেছে, ছাদে ফাটল ধরেছে, পলেস্তারা খসে পড়েছে। এই অবস্থায় রোগীদের সঠিকভাবে সেবা দিতে পারছেন না সিএইচসিপিরা। ফলে ভেস্তে যেতে বসেছে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোর লক্ষ্য।
বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সালে প্রতি ওয়ার্ডে ১টি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। এতে বরগুনা জেলায় মোট ১১৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপিত হয়। এগুলোর মধ্যে ২০২১ সালে আমতলীতে ব্যক্তিগত অনুদানে আরও দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করলে সংখ্যা দাঁড়ায় ১১৮। পরে ২০০১-২০০৮ সাল পর্যন্ত এসব ভবনে কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় ভবনগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আবার ক্লিনিকগুলো চালু করে। সে সময় ভবনগুলো ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে ক্লিনিকের কার্যক্রম চালু হয়।
বরগুনার একাধিক কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি ছয় হাজার লোকের জন্য একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া প্রতিটি ক্লিনিক সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সপ্তাহে ছয় দিন বসেন একজন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) এবং তিন দিন করে বসেন একজন স্বাস্থ্য সহকারী। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা ছাড়াও ইপিআই কর্মসূচির সব কার্যক্রম এসব কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বাস্তবায়ন করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঠালতলী কমিউনিটি ক্লিনিকে নারী, শিশুসহ প্রতিদিন ৩৫-৪০ জন রোগী আসছেন সেবা নিতে। কিন্তু বেহাল ভবনের কারণে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ ক্লিনিক থেকে সম্প্রতি প্রসূতিসেবা নিতে আসেন কাঠালতলী গ্রামের দরিদ্র গৃহবধূ সালমা বেগম। সালমা বলেন, ‘আমাদের ক্লিনিকের ভবনটা এহন যদি না ঠিক করে, তয় ভাইঙ্গা পইর্যা যাবার সম্ভাবনা আছে। মোরা এইহানে ভালোই সেবা পাই, মোগো এইডারে সরকার একটু ঠিক কইর্যা দিউক।’
কাঠালতলী কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সহকারী মো. রিয়াজুল কবীর রিয়াজ বলেন, ‘রাস্তা থেকে ক্লিনিকে যাওয়ার সংযোগ সড়ক নেই; বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই ক্লিনিকে সেবা নিতে আসা রোগীরা বেশি ভোগান্তির শিকার হন। ভবন চুইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে আসবাব, ওষুধ নষ্ট হয়ে যায়।’
সদর উপজেলার বরগুনা সদর ইউনিয়নের বৈঠাকাটা এলাকায় মাঠের মধ্যে স্থাপিত কমিউনিটি ক্লিনিকের আধভাঙা ভবনে চলছে কার্যক্রম। একইভাবে সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকেরও একই অবস্থা।
আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিকের ভবনটি ২০২০ সালে দেয়াল, বিমসহ ধসে পড়ে। তখন থেকে এই ভবন আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত রাখতে সিএইচসিপিরা খেকুয়ানি বাজারের একটি ক্লাব ঘরে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
সিএইচসিপি আফরোজা আক্তার বলেন, সংস্কারের অভাবে ক্লিনিকের ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায় বসে রোগী দেখি। একই অবস্থা তালতলী উপজেলার জয়ালভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের। ভবনটির ছাদে ফাটল দেখা দেওয়ায় বর্ষার সময় পানিতে তলিয়ে যায়।
একইভাবে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা, বামনা, আমতলী, তালতলী ও বেতাগী উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর ভবন সংস্কার না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দিতে হয় হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মো. ফজলুল হক বলেন, ‘আমাদের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশের ভবনের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতিমধ্যে এগুলো সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানো হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে