সাইফুল মাসুম, ঢাকা
রাজধানীর বছিলার রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ১০ তলা কঙ্কালসার এক ভবন। বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলায় বর্গাকার ভবনটি এখন ত্রিভুজ আকৃতির হয়ে গেছে। নড়বড়ে হয়ে গেছে ভিত। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এখন ঝুঁকিপূর্ণ সেই ভবনের ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে মালিকপক্ষ। ইতিমধ্যে একাধিক ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
খাল দখল করে নির্মিত হওয়ায় চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সময় ভবনটির ভাঙা অংশ পরিত্যক্ত হিসেবে নিলামে বিক্রিও করা হয়েছিল। ভবনের অবশিষ্ট অংশে পিলার, দেয়াল ও ছাদে ভাঙনের চিহ্ন এখনো আছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটির প্রবেশমুখেই খালের পাড়ে নির্মিত ভবনটির সামনে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রাক। খালের অংশে ভবনের ভাঙা অংশ ফেলে আবার কয়েক ফুট ভরাট করা হয়েছে। চারতলায় তিনজন রাজমিস্ত্রিকে নতুন দেয়াল তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে।
ভবনের তিন পাশে বড় রঙিন ব্যানারে ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ব্যানারে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল দিলে কথা হয় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি তপু রায়হানের সঙ্গে। ক্রেতা সেজে ফ্ল্যাট ও দোকানের দাম জানতে চাইলে তপু রায়হান জানান, প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম পড়বে পাঁচ হাজার টাকা। তাঁদের ভবনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
দোকান বিক্রি হবে প্রতি বর্গফুটে ২৫ হাজার টাকা দামে। এরই মধ্যে একাধিক ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি। ভবনটিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কোনো অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে তপু রায়হান বলেন, ‘রাজউকের অনুমোদন নেই। তবে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে আমাদের প্রকৌশলীরা কাজ করবেন।’
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান নগর-পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
নগর-পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, সিটি করপোরেশন নজরদারির অভাবে উচ্ছেদের পরও অপরাধীরা সেখানে নতুন করে ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছেন। ফ্ল্যাট কিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে যাঁরা বসবাস করবেন, তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এর দায় রাজউক আর ডিএনসিসির ওপর বর্তাবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালের ওপর গড়া স্থাপনা ভেঙে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। মূল কাজ হচ্ছে, যারা অপরাধী তাদের শাস্তির আওতায় আনা। সেটা না হওয়ায় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলদারেরা আগের মতোই অপরাধ করে যাচ্ছে।’ এই নগর-পরিকল্পনাবিদ আরও বলেন, ‘দখলের পর এখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রি করা আরেক অপরাধ। এই ভবনে ফ্ল্যাট কিনে কেউ বসবাস করলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। তখন মালিকেরা খুনের আসামি হবেন। অপরাধী হবেন সিটি করপোরেশন ও রাজউকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।’
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালের পাড়ের অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ শুরু করে ডিএনসিসি। উচ্ছেদ অভিযানে ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হয়। পরে ১৭ মার্চ ডিএনসিসি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভেঙে সরিয়ে নিতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়েছে।
উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। তখন মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। ভবনের মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রয় করা হয়েছে।
উচ্ছেদের পর যে ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়েছে, এখন সেই ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে মোতাকাব্বীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো ভবনের বেশির ভাগ অংশই ভেঙেছি। ওই ভবনে এখন ফ্ল্যাট বিক্রি করলে অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’
রাজধানীর বছিলার রামচন্দ্রপুর খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে ১০ তলা কঙ্কালসার এক ভবন। বেশির ভাগ অংশ ভেঙে ফেলায় বর্গাকার ভবনটি এখন ত্রিভুজ আকৃতির হয়ে গেছে। নড়বড়ে হয়ে গেছে ভিত। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এখন ঝুঁকিপূর্ণ সেই ভবনের ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দিচ্ছে মালিকপক্ষ। ইতিমধ্যে একাধিক ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির তথ্য পাওয়া গেছে।
খাল দখল করে নির্মিত হওয়ায় চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে ভবনটির একাংশ ভেঙে ফেলে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সময় ভবনটির ভাঙা অংশ পরিত্যক্ত হিসেবে নিলামে বিক্রিও করা হয়েছিল। ভবনের অবশিষ্ট অংশে পিলার, দেয়াল ও ছাদে ভাঙনের চিহ্ন এখনো আছে।
গত মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটির প্রবেশমুখেই খালের পাড়ে নির্মিত ভবনটির সামনে নির্মাণসামগ্রী নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি ট্রাক। খালের অংশে ভবনের ভাঙা অংশ ফেলে আবার কয়েক ফুট ভরাট করা হয়েছে। চারতলায় তিনজন রাজমিস্ত্রিকে নতুন দেয়াল তৈরির কাজ করতে দেখা গেছে।
ভবনের তিন পাশে বড় রঙিন ব্যানারে ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞাপনের ব্যানারে দেওয়া মোবাইল নম্বরে কল দিলে কথা হয় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি তপু রায়হানের সঙ্গে। ক্রেতা সেজে ফ্ল্যাট ও দোকানের দাম জানতে চাইলে তপু রায়হান জানান, প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম পড়বে পাঁচ হাজার টাকা। তাঁদের ভবনে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
দোকান বিক্রি হবে প্রতি বর্গফুটে ২৫ হাজার টাকা দামে। এরই মধ্যে একাধিক ফ্ল্যাট ও দোকান বিক্রি করেছেন বলেও জানান তিনি। ভবনটিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কোনো অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে তপু রায়হান বলেন, ‘রাজউকের অনুমোদন নেই। তবে ঝুঁকি কমিয়ে আনতে আমাদের প্রকৌশলীরা কাজ করবেন।’
জানতে চাইলে রাজউকের প্রধান নগর-পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উচ্ছেদ হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রি করা সম্পূর্ণ বেআইনি। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
নগর-পরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, সিটি করপোরেশন নজরদারির অভাবে উচ্ছেদের পরও অপরাধীরা সেখানে নতুন করে ব্যবসার সুযোগ পাচ্ছেন। ফ্ল্যাট কিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে যাঁরা বসবাস করবেন, তাঁদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এর দায় রাজউক আর ডিএনসিসির ওপর বর্তাবে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি নগর-পরিকল্পনাবিদ আদিল মুহাম্মদ খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খালের ওপর গড়া স্থাপনা ভেঙে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। মূল কাজ হচ্ছে, যারা অপরাধী তাদের শাস্তির আওতায় আনা। সেটা না হওয়ায় অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখলদারেরা আগের মতোই অপরাধ করে যাচ্ছে।’ এই নগর-পরিকল্পনাবিদ আরও বলেন, ‘দখলের পর এখন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রি করা আরেক অপরাধ। এই ভবনে ফ্ল্যাট কিনে কেউ বসবাস করলে প্রাণহানি ঘটতে পারে। তখন মালিকেরা খুনের আসামি হবেন। অপরাধী হবেন সিটি করপোরেশন ও রাজউকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।’
চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালের পাড়ের অবৈধ ভবনটি উচ্ছেদ শুরু করে ডিএনসিসি। উচ্ছেদ অভিযানে ছয়টি বিশেষ বুলডোজার ও এক্সকাভেটর ব্যবহার করা হয়। পরে ১৭ মার্চ ডিএনসিসি থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রামচন্দ্রপুর খালের জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে তোলা নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন ভেঙে সরিয়ে নিতে উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রয় করা হয়েছে।
উন্মুক্ত নিলাম কার্যক্রম পরিচালনা করেন ডিএনসিসির অঞ্চল-০৫-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ। তখন মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ম্যাপ অনুযায়ী নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের প্রায় ৮০ শতাংশ রামচন্দ্রপুর খালের সীমানায় পড়েছে। ভবনের মালিকের সঙ্গে কথা বলে বিধি মোতাবেক উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে এটি বিক্রয় করা হয়েছে।
উচ্ছেদের পর যে ভবন নিলামে বিক্রি করা হয়েছে, এখন সেই ভবনে ফ্ল্যাট বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে মোতাকাব্বীর আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা তো ভবনের বেশির ভাগ অংশই ভেঙেছি। ওই ভবনে এখন ফ্ল্যাট বিক্রি করলে অবশ্যই ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে