নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে যাওয়া বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা রয়েছে। কী হবে সেদিন—এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যদিও বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। এর সঙ্গে সরকার পতনের কোনো সম্পর্ক নেই। একই সঙ্গে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নানা দাবিতে দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল এবং সবশেষ ফরিদপুরে গণসমাবেশ করেছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর শনিবার সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
ঢাকায় মহাসমাবেশ করার জন্য বিএনপির প্রথম পছন্দ নয়াপল্টন। তা না হলে বিকল্প হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদনও করেছে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশ করাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে দূরবর্তী তিনটি স্থানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে মৌখিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানানোর কথা থাকলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশকে কিছু জানায়নি বিএনপি।
স্থান চূড়ান্ত না হলেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে প্রস্তুতি থেমে নেই বিএনপির। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। প্রস্তুতিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এরই মধ্যে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো শুরু হয়েছে। নির্দেশনায় কোনো উসকানিতে কান না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশনা মেনে নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত হচ্ছেন। ঢাকার বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের আগেভাগে আসার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কে কোথায় কী বলল না বলল, সেদিকে কান দেওয়ার দরকার নেই। কে কী বলছে, খেলা বলছে নাকি বলছে না, বলতে থাকুক। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটল থাকব, অটুট থাকব। এইবার আমাদের বিজয় অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
ঢাকার মহাসমাবেশের দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসমাবেশ বলতে যা বোঝায়, বিপুলসংখ্যক জনসাধারণের উপস্থিতিতে তেমন একটি সমাবেশ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে চাই। সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর নতুন পর্যায়ের আন্দোলন শুরু করার কথা বলছে বিএনপি। নতুনভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব এলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি দলটির নীতিনির্ধারকেরা। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের কর্মসূচি কেমন হবে, সেটা নির্ভর করছে সরকারের আচরণের ওপর। সরকারের আচরণ দেখেই নতুন কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কাজ করছেন। কমিটির সভায় কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। অবস্থা বুঝে ১০ ডিসেম্বর সেই কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। ওই দিন থেকে বিএনপির চলমান আন্দোলন নতুন একটি রূপ পাবে।
এদিকে ঢাকায় গণসমাবেশ করার জন্য বিএনপির পছন্দের বিপরীতে পুলিশের পক্ষ থেকে তুরাগ নদের তীরে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ এবং মিরপুর ১২ নম্বরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন কালশী এলাকায় সমাবেশ করতে মৌখিক প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, সমাবেশ ঘিরে সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা আসবেন। দলটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ঢাকায় তাদের নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এতে ঢাকার সবকিছুতেই চাপ বাড়বে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টাও করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। বিএনপি না করলেও তৃতীয় কোনো পক্ষ এই সমাবেশ ঘিরে ষড়যন্ত্র করতে পারে। রাজধানীতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই বিএনপিকে একটি বড় এবং খোলা জায়গায় সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটা খোলা মাঠ হলে সবচেয়ে ভালো হয়। ঢাকায় তেমন মাঠ না থাকায় তাদের পূর্বাচল, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও মিরপুর কালশীতে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের জন্য যেসব জায়গার কথা বলছে, সেগুলোর ধারণক্ষমতা খুব কম। বিএনপির নেতারা লাখ লাখ লোক আসার কথা বলছেন। তাঁরা আবার ছোট জায়গা চাচ্ছেন। তাই পুলিশ বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে, ‘আপনারা লাখ লাখ লোকের কথা ঘোষণা দিয়ে সড়কের ওপর সমাবেশ কেন করতে চাইছেন? তখন বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানের তালিকা দেওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাদের বলেছেন, ‘আপনাদের যেহেতু লাখ লাখ লোক আসবে, তাহলে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ বা পূর্বাচলে করেন।’
এই প্রস্তাব পেয়ে গতকাল বিএনপির সমাবেশের স্থানের নামের তালিকা পাঠানোর কথা ছিল। তবে তারা কোনো তালিকা পাঠায়নি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোট বড় যেকোনো সমাবেশে নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে ভাবতে হয়। বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, সমাবেশের জন্য তারা কিছু স্থানের নাম বলেছে, আমরাও বলেছি। তবে কোনোটিই এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। বিএনপিকে স্থানের তালিকা দিতে বলা হয়েছে; কারণ, তারা জানে, তাদের কত লোক হবে। সেই অনুযায়ী তারা স্থান নির্ধারণ করুক। তারপর দেখা যাবে কোন জায়গায় বেশি নিরাপদ।’
পুলিশ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল মনে করছে, বিএনপি ঢাকায় জনসমাগম ঘটিয়ে লাগাতার যেকোনো আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে। এমনকি বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। তাই দলটিকে এমন একটি স্থানে সমাবেশ করতে দিতে চায়, যেখানে ঘনবসতি কম, সহজে সবকিছু মনিটর করা যাবে। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে যাতে দ্রুত তাদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার সব আবাসিক হোটেলের তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হোটেলে আগতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে; পাশাপাশি মেসগুলোতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনগুলোতেও সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ। বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে, তাঁদের ঢাকায় প্রবেশের মুখেই গ্রেপ্তার বা আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হতে পারে।
এদিকে যেখানেই সমাবেশ হোক, পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নেবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সব ইউনিট ডিএমপিকে সহযোগিতা করবে। ঢাকার বাইরে থেকেও প্রয়োজনে রিজার্ভ ফোর্স আনা হবে। ঢাকায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হবে। বহুতল ভবনের ছাদে অথবা ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে সমাবেশস্থলে নজরদারি করা হবে। সাদাপোশাকে তৎপর থাকবেন গোয়েন্দা সদস্যরা।
ঢাকায় আগামী ১০ ডিসেম্বর হতে যাওয়া বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা রয়েছে। কী হবে সেদিন—এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যদিও বিএনপির নেতারা বলছেন, সমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। এর সঙ্গে সরকার পতনের কোনো সম্পর্ক নেই। একই সঙ্গে অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তাঁরা।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ নানা দাবিতে দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল এবং সবশেষ ফরিদপুরে গণসমাবেশ করেছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯ নভেম্বর শনিবার সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।
ঢাকায় মহাসমাবেশ করার জন্য বিএনপির প্রথম পছন্দ নয়াপল্টন। তা না হলে বিকল্প হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সমাবেশ করার আগ্রহের কথা জানিয়েছে তারা। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে আবেদনও করেছে। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়েছে। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশ করাকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে দূরবর্তী তিনটি স্থানে বিএনপিকে সমাবেশ করতে মৌখিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। গতকাল বুধবার এ বিষয়ে জানানোর কথা থাকলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশকে কিছু জানায়নি বিএনপি।
স্থান চূড়ান্ত না হলেও ১০ ডিসেম্বর নিয়ে প্রস্তুতি থেমে নেই বিএনপির। দলের একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানান, ১০ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ ঘিরে প্রস্তুতি পুরোদমে চলছে। প্রস্তুতিসভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এরই মধ্যে দলের নেতা-কর্মীদের কাছে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো শুরু হয়েছে। নির্দেশনায় কোনো উসকানিতে কান না দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশনা মেনে নেতা-কর্মীরা প্রস্তুত হচ্ছেন। ঢাকার বাইরে থেকে যাঁরা আসবেন, তাঁদের আগেভাগে আসার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করছেন।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কে কোথায় কী বলল না বলল, সেদিকে কান দেওয়ার দরকার নেই। কে কী বলছে, খেলা বলছে নাকি বলছে না, বলতে থাকুক। আমরা আমাদের লক্ষ্যে অটল থাকব, অটুট থাকব। এইবার আমাদের বিজয় অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।’
ঢাকার মহাসমাবেশের দলনেতা ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মহাসমাবেশ বলতে যা বোঝায়, বিপুলসংখ্যক জনসাধারণের উপস্থিতিতে তেমন একটি সমাবেশ হবে বলে প্রত্যাশা করছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করতে চাই। সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের পর নতুন পর্যায়ের আন্দোলন শুরু করার কথা বলছে বিএনপি। নতুনভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের প্রস্তাব এলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেননি দলটির নীতিনির্ধারকেরা। দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নতুন পর্যায়ের আন্দোলনের কর্মসূচি কেমন হবে, সেটা নির্ভর করছে সরকারের আচরণের ওপর। সরকারের আচরণ দেখেই নতুন কর্মসূচি ঠিক করা হবে। এই বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কাজ করছেন। কমিটির সভায় কর্মসূচি নির্ধারণ করা হবে। অবস্থা বুঝে ১০ ডিসেম্বর সেই কর্মসূচির ঘোষণা আসবে। ওই দিন থেকে বিএনপির চলমান আন্দোলন নতুন একটি রূপ পাবে।
এদিকে ঢাকায় গণসমাবেশ করার জন্য বিএনপির পছন্দের বিপরীতে পুলিশের পক্ষ থেকে তুরাগ নদের তীরে টঙ্গী ইজতেমা মাঠ, পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠ এবং মিরপুর ১২ নম্বরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন কালশী এলাকায় সমাবেশ করতে মৌখিক প্রস্তাব দিয়েছে পুলিশ। ডিএমপির একটি সূত্র বলছে, সমাবেশ ঘিরে সারা দেশ থেকে নেতা-কর্মীরা আসবেন। দলটি নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ঢাকায় তাদের নেতা-কর্মীদের থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। এতে ঢাকার সবকিছুতেই চাপ বাড়বে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটি পক্ষ নাশকতা ও বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টাও করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। বিএনপি না করলেও তৃতীয় কোনো পক্ষ এই সমাবেশ ঘিরে ষড়যন্ত্র করতে পারে। রাজধানীতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। তাই বিএনপিকে একটি বড় এবং খোলা জায়গায় সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেটা খোলা মাঠ হলে সবচেয়ে ভালো হয়। ঢাকায় তেমন মাঠ না থাকায় তাদের পূর্বাচল, বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও মিরপুর কালশীতে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রটি জানায়, বিএনপি ঢাকায় সমাবেশের জন্য যেসব জায়গার কথা বলছে, সেগুলোর ধারণক্ষমতা খুব কম। বিএনপির নেতারা লাখ লাখ লোক আসার কথা বলছেন। তাঁরা আবার ছোট জায়গা চাচ্ছেন। তাই পুলিশ বিএনপির কাছে জানতে চেয়েছে, ‘আপনারা লাখ লাখ লোকের কথা ঘোষণা দিয়ে সড়কের ওপর সমাবেশ কেন করতে চাইছেন? তখন বিএনপির নেতারা বিভিন্ন স্থানের তালিকা দেওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা বিএনপি নেতাদের বলেছেন, ‘আপনাদের যেহেতু লাখ লাখ লোক আসবে, তাহলে বিশ্ব ইজতেমা মাঠ বা পূর্বাচলে করেন।’
এই প্রস্তাব পেয়ে গতকাল বিএনপির সমাবেশের স্থানের নামের তালিকা পাঠানোর কথা ছিল। তবে তারা কোনো তালিকা পাঠায়নি।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ) এ কে এম হাফিজ আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছোট বড় যেকোনো সমাবেশে নিরাপত্তার বিষয়টি পুলিশকে ভাবতে হয়। বিএনপি সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে, সমাবেশের জন্য তারা কিছু স্থানের নাম বলেছে, আমরাও বলেছি। তবে কোনোটিই এখনো নির্দিষ্ট হয়নি। বিএনপিকে স্থানের তালিকা দিতে বলা হয়েছে; কারণ, তারা জানে, তাদের কত লোক হবে। সেই অনুযায়ী তারা স্থান নির্ধারণ করুক। তারপর দেখা যাবে কোন জায়গায় বেশি নিরাপদ।’
পুলিশ ও সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল মনে করছে, বিএনপি ঢাকায় জনসমাগম ঘটিয়ে লাগাতার যেকোনো আন্দোলনের ঘোষণা দিতে পারে। এমনকি বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে। তাই দলটিকে এমন একটি স্থানে সমাবেশ করতে দিতে চায়, যেখানে ঘনবসতি কম, সহজে সবকিছু মনিটর করা যাবে। কোনো বিশৃঙ্খলা হলে যাতে দ্রুত তাদের ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়া যায়।
বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকার সব আবাসিক হোটেলের তালিকা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হোটেলে আগতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে; পাশাপাশি মেসগুলোতে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে বাস, লঞ্চ টার্মিনাল ও রেলস্টেশনগুলোতেও সতর্ক অবস্থায় থাকবে পুলিশ। বিএনপির যেসব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা রয়েছে, তাঁদের ঢাকায় প্রবেশের মুখেই গ্রেপ্তার বা আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হতে পারে।
এদিকে যেখানেই সমাবেশ হোক, পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নেবে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশের সব ইউনিট ডিএমপিকে সহযোগিতা করবে। ঢাকার বাইরে থেকেও প্রয়োজনে রিজার্ভ ফোর্স আনা হবে। ঢাকায় অতিরিক্ত চেকপোস্ট বসানো হবে। বহুতল ভবনের ছাদে অথবা ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে সমাবেশস্থলে নজরদারি করা হবে। সাদাপোশাকে তৎপর থাকবেন গোয়েন্দা সদস্যরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে