আনোয়ার সাদাৎ ইমরান, মধুপুর
বিনিয়োগ করে এবং টানা তিন মাস খেটেও লোকসানের মুখে পড়েছেন মধুপুরের কৃষকেরা। উপজেলার অনধিক ৯০ হাজার কৃষকের প্রায় সোয়া ৩৩ কোটি টাকা গচ্চা গেছে। উৎপাদন ব্যয় আর ধানের মূল্যের তারতম্যের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১২ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ধান উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৬ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৮ দশমিক ২২ মণ। উপজেলায় অনধিক ৯০ হাজার কৃষক রয়েছেন।
আশুরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার, রানিয়াদের রমজান আলীসহ অন্তত ২০ জন কৃষক জানান, প্রতি বিঘায় ইউরিয়া ৩০ কেজি, টিএসপি ২০ কেজি, পটাশ ১৫ কেজি, এমওপি ১০ কেজি দেওয়া হয়েছে। ব্যবহৃত এসব সারের মূল্য ১ হাজার ২৭০ টাকার বেশি। এ ছাড়া কীটনাশক বাবদ কমবেশি ৫০০ টাকা, হাল চাষে ১ হাজার, ধানের চারা ১ হাজার, চারা রোপণ ৩ হাজার ৫০০, নিড়ানি ১ হাজার, সেচ ২ হাজার, ধান কাটা ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ও মাড়াইয়ে খরচ হয়েছে ৭০০ টাকা। এতে বিঘাপ্রতি ধান আবাদে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭০ টাকা প্রায়।
এদিকে রানিয়াদের কৃষক তুলা মিয়া, আক্তার হোসেন, জাহিদুলসহ অনেকেই প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন ৬৫০ টাকা দরে। অনেকে আবার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ফলে ধান বিক্রি করে প্রতি বিঘা থেকে কৃষকের আয় হয়েছে ১১ হাজার ৮৪০ টাকার কাছাকাছি।
এই হিসাব অনুযায়ী চলতি বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন করে কৃষকের লোকসান হয়েছে ৩ হাজার ১২৭ টাকা। সে হিসাবে উপজেলার অনধিক ৯০ হাজার কৃষকের লোকসান হয়েছে ৩৩ কোটি ৪১ লাখ ১ হাজার ৬২ টাকা প্রায়। এর সঙ্গে আছে প্রত্যেক কৃষকের বিনা মূল্যের শ্রম।
সরকার মধুপুরে ৪ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ৮ হাজার কেজি ধানবীজ, ২ হাজার ৩০০ কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৫ কেজি করে ধানবীজ বিনা মূল্যে প্রণোদনা দেয়। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা।
আকাশী গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘৫ হাজার টেহায় কামলা নিয়া ১ বিঘা জমির ধান কাটলাম। মাড়াই করলাম ৭০০ টেহায়। আর ধান বেচলাম সাড়ে ১১ হাজার টেহায়। তাইলে আর কী থাহে? আগামী সিজেনে খাবার নিগা ৪০ শতক ধান আবাদ করমু। বাকি জমি বর্গা দিমু। বর্গা না পাইলে পতিত থাকলেও আবাদে আর যামু না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য কৃষকদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, কৃষক যেন দাম বাড়া পর্যন্ত ধান সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের জন্য ঋণ সুবিধা বাড়াতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, সরকার সার ও বীজ প্রণোদনার পাশাপাশি সার বিতরণ করছে কৃষকদের মধ্যে। এতে উৎপাদন বেড়েছে ঠিকই কিন্তু ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
বিনিয়োগ করে এবং টানা তিন মাস খেটেও লোকসানের মুখে পড়েছেন মধুপুরের কৃষকেরা। উপজেলার অনধিক ৯০ হাজার কৃষকের প্রায় সোয়া ৩৩ কোটি টাকা গচ্চা গেছে। উৎপাদন ব্যয় আর ধানের মূল্যের তারতম্যের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ১২ হাজার ৯৯৭ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ধান উৎপাদন হয়েছে গড়ে ৬ মেট্রিক টন। প্রতি বিঘায় গড়ে ১৮ দশমিক ২২ মণ। উপজেলায় অনধিক ৯০ হাজার কৃষক রয়েছেন।
আশুরা গ্রামের আব্দুস সাত্তার, রানিয়াদের রমজান আলীসহ অন্তত ২০ জন কৃষক জানান, প্রতি বিঘায় ইউরিয়া ৩০ কেজি, টিএসপি ২০ কেজি, পটাশ ১৫ কেজি, এমওপি ১০ কেজি দেওয়া হয়েছে। ব্যবহৃত এসব সারের মূল্য ১ হাজার ২৭০ টাকার বেশি। এ ছাড়া কীটনাশক বাবদ কমবেশি ৫০০ টাকা, হাল চাষে ১ হাজার, ধানের চারা ১ হাজার, চারা রোপণ ৩ হাজার ৫০০, নিড়ানি ১ হাজার, সেচ ২ হাজার, ধান কাটা ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার ও মাড়াইয়ে খরচ হয়েছে ৭০০ টাকা। এতে বিঘাপ্রতি ধান আবাদে খরচ হয়েছে ১৪ হাজার ৯৭০ টাকা প্রায়।
এদিকে রানিয়াদের কৃষক তুলা মিয়া, আক্তার হোসেন, জাহিদুলসহ অনেকেই প্রতি মণ ধান বিক্রি করেছেন ৬৫০ টাকা দরে। অনেকে আবার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ফলে ধান বিক্রি করে প্রতি বিঘা থেকে কৃষকের আয় হয়েছে ১১ হাজার ৮৪০ টাকার কাছাকাছি।
এই হিসাব অনুযায়ী চলতি বোরো মৌসুমে বিঘাপ্রতি ধান উৎপাদন করে কৃষকের লোকসান হয়েছে ৩ হাজার ১২৭ টাকা। সে হিসাবে উপজেলার অনধিক ৯০ হাজার কৃষকের লোকসান হয়েছে ৩৩ কোটি ৪১ লাখ ১ হাজার ৬২ টাকা প্রায়। এর সঙ্গে আছে প্রত্যেক কৃষকের বিনা মূল্যের শ্রম।
সরকার মধুপুরে ৪ হাজার কৃষককে ২ কেজি করে ৮ হাজার কেজি ধানবীজ, ২ হাজার ৩০০ কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার এবং ৫ কেজি করে ধানবীজ বিনা মূল্যে প্রণোদনা দেয়। যার মূল্য প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা।
আকাশী গ্রামের কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ‘৫ হাজার টেহায় কামলা নিয়া ১ বিঘা জমির ধান কাটলাম। মাড়াই করলাম ৭০০ টেহায়। আর ধান বেচলাম সাড়ে ১১ হাজার টেহায়। তাইলে আর কী থাহে? আগামী সিজেনে খাবার নিগা ৪০ শতক ধান আবাদ করমু। বাকি জমি বর্গা দিমু। বর্গা না পাইলে পতিত থাকলেও আবাদে আর যামু না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কৃষকের ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য কৃষকদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়ে বলেন, কৃষক যেন দাম বাড়া পর্যন্ত ধান সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থার ওপর জোর দিতে হবে। প্রয়োজনে কৃষকদের জন্য ঋণ সুবিধা বাড়াতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, সরকার সার ও বীজ প্রণোদনার পাশাপাশি সার বিতরণ করছে কৃষকদের মধ্যে। এতে উৎপাদন বেড়েছে ঠিকই কিন্তু ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না কৃষকেরা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে