খায়রুল বাসার নির্ঝর
এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমনুর মনির কোনাল। অডিও, কনসার্ট কিংবা সিনেমার গান—সব ক্ষেত্রেই দাপুটে বিচরণ তাঁর। এ বছর হাতে উঠেছে জাতীয় পুরস্কারও। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে বাপ্পা মজুমদারের সুর-সংগীতে কোনালের নতুন গান ‘বসন্ত চলে যায়’। এ গান প্রকাশের পর ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তিনি। কোনালের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর।
বাপ্পা মজুমদারের নতুন উদ্যোগ ‘বিউটিফুল ভয়েস’-এর প্রথম গানটিই আপনার গাওয়া। ‘বসন্ত চলে যায়’ তৈরির পেছনের গল্পটা কেমন?
গানটা রেকর্ডিংয়ের আগে দাদা (বাপ্পা মজুমদার) আমাকে বলেছিলেন, এই প্রজেক্টে এমন একটা গান আছে, যেটা শুধু তুমিই গাইতে পারবে। আমি এটা আর কাউকে দেব না। ‘বসন্ত চলে যায়’ গানটি এমন কঠিন সুরে, যেটা কণ্ঠে তুলতেও অন্য গানের তুলনায় বেশি সময় লেগেছে আমার। প্রকাশের পর এই গান নিয়ে অভাবনীয় রেসপন্স পেয়েছি। মানে এমন সব মানুষ প্রশংসা করেছেন, যাঁরা ভালো বলা মানে আমার কাছে বিরাট ব্যাপার।
এটা তো রাগাশ্রয়ী গান। এ ধরনের গান কি আপনার চর্চার মধ্যে ছিল?
আমি তো ক্লাসিক্যাল স্টুডেন্ট। এখন যেটা হচ্ছে, আমি প্রচুর মূলধারার সিনেমার গান গাইছি। কিন্তু আমার ভিত্তি হচ্ছে হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিক। যেটা আমি কুয়েতে শিখেছি। বাংলাদেশে এসেও সেটার চর্চা করেছি কিছুদিন, ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে, ওস্তাদ অসীত দের কাছে। কেউ যদি আমাকে এ ধরনের গান গাইতে ডাকেন, খুব ভালো লাগে।
গানের জন্য এবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। জীবনের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি…
এটা তো নিঃসন্দেহে বড় পাওয়া। আমার এই প্রাপ্তির একমাত্র কারণ দর্শকদের ভালোবাসা। এত দিন ধরে দর্শকদের তুমুল ভালোবাসা পেয়ে আসছি। এবার রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল, এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা জানা নেই আমার।
ক্রেস্টটি কোথায় রেখেছেন?
ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডটা রাখা আছে আমার ড্রয়িংরুমে। আমার বাবার ছবি আছে সেখানে। সেই ছবিটার পাশে ক্রেস্টটি শোভা পাচ্ছে।
কয়েক বছর ধরে আপনি নিয়মিত সিনেমায় গাইছেন। এটা কি সচেতনভাবে বেছে নিয়েছেন? নাকি ব্যাপারটা ঘটে গেছে?
আমি শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সিনেমায় গাইব। আমার একক গান কিংবা মিউজিক ভিডিওর সংখ্যা হাতে গোনা। অথচ যাঁরা আমার সমসাময়িক, তাঁদের একক গানের সংখ্যা অনেক। তবে এটা ঠিক, শুরুর দিকে হয়তো সিনেমার গান দিয়ে আমার তেমন জনপ্রিয়তা আসেনি। যত দিন গেছে, জনপ্রিয়তা আস্তে আস্তে বেড়েছে। কিন্তু আমি লেগে ছিলাম। আমার ডেডিকেশন, আমার প্যাশন, গোল—সবই ছিল সিনেমায় গাওয়া।
আপনার সাংগীতিক কর্মকাণ্ড বেশ বৈচিত্র্যময়। ক্লাসিক্যাল শিখেছেন, নিয়মিত সিনেমায় গাইছেন, দাপিয়ে কনসার্ট করছেন...
আমি যেহেতু গানটাকে খুব ভালোবাসি, তাই গানের সব ধারা এক্সপ্লোর করতে চাই। অনেকেই আছেন, যাঁরা কেউ হয়তো আধুনিক গানে সেরা বা কেউ ফোক গানে সেরা বা কেউ রবীন্দ্র-নজরুলের গানে সেরা। আমার এ রকম সেরা হওয়ার দরকার নেই। যে গানই আমি গাই, যে ধারার গানই গাই, দর্শক যেন সেটা ভালোবাসেন। সেটা শুনে যেন তাঁদের আরাম লাগে, ওটাই আমার কাছে মুখ্য। সব ধরনের গানই গাইতে চাই আমি।
একজন শিল্পীর তো আসলে বাউন্ডারি থাকা উচিত না…
সেটাই। আমাদেরও বিচার করা উচিত না যে সে আধুনিক গানের শিল্পী, কিন্তু রবীন্দ্রসংগীতটা এভাবে গাইল কেন! সুর, তাল, লয়, কথা ঠিক থাকলে শিল্পী তাঁর গায়কি দিয়ে গাইবেন। একটা রবীন্দ্রসংগীতই আমরা তো অনেকের কণ্ঠে শুনি। তো বন্যাদি (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) কেন আলাদা বা মিতা হক কেন আলাদা? কারণ নিজের গায়কি দিয়ে তাঁরা স্পেশাল। সবার প্রচেষ্টাকেই আমাদের সাধুবাদ দেওয়া উচিত। কারণ শিল্পী ভালোবেসেই গানটি করেন।
মাঝে গানের মানুষদের, বিশেষ করে যাঁরা যন্ত্রী, তাঁরা প্রতিকূল অবস্থার ভেতর দিয়ে গিয়েছেন। কারণ নতুন গান তৈরি হচ্ছিল কম, কনসার্ট বন্ধ ছিল। এখন সে পরিস্থিতি কি বদলেছে?
অনেকটা পাল্টেছে। এ বছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক কনসার্ট হয়েছে। স্বাধীনতার সেলিব্রেশন, মুজিববর্ষ—সব ধরনের সেলিব্রেশনে কনসার্ট হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদ-পরবর্তী সময়েও এই কনসার্টের মৌসুমটা জারি থাকবে। ক্ষতি কাটিয়ে শিল্পীরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এটা ইতিবাচক ব্যাপার।
আপনার প্লেলিস্টে এখন কী ধরনের গান আছে?
ইদানীং আমি পুরোনো দিনের গানগুলো আবার শুনছি। কয়েক দিন আগে বাপ্পী লাহিড়ীর অনেক গান শুনলাম। যার মধ্যে ‘বালিতে তোমার নাম লিখে দেব’ গানটি আমার খুব প্রিয়। এ ছাড়া এ সময়ের ডুয়া লিপা, বিলি আইলিশ, অরিজিৎ সিং, লোপামুদ্রাসহ আরও অনেকের গান আমার প্লেলিস্টে আছে।
এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সোমনুর মনির কোনাল। অডিও, কনসার্ট কিংবা সিনেমার গান—সব ক্ষেত্রেই দাপুটে বিচরণ তাঁর। এ বছর হাতে উঠেছে জাতীয় পুরস্কারও। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে বাপ্পা মজুমদারের সুর-সংগীতে কোনালের নতুন গান ‘বসন্ত চলে যায়’। এ গান প্রকাশের পর ভালোই সাড়া পাচ্ছেন তিনি। কোনালের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর।
বাপ্পা মজুমদারের নতুন উদ্যোগ ‘বিউটিফুল ভয়েস’-এর প্রথম গানটিই আপনার গাওয়া। ‘বসন্ত চলে যায়’ তৈরির পেছনের গল্পটা কেমন?
গানটা রেকর্ডিংয়ের আগে দাদা (বাপ্পা মজুমদার) আমাকে বলেছিলেন, এই প্রজেক্টে এমন একটা গান আছে, যেটা শুধু তুমিই গাইতে পারবে। আমি এটা আর কাউকে দেব না। ‘বসন্ত চলে যায়’ গানটি এমন কঠিন সুরে, যেটা কণ্ঠে তুলতেও অন্য গানের তুলনায় বেশি সময় লেগেছে আমার। প্রকাশের পর এই গান নিয়ে অভাবনীয় রেসপন্স পেয়েছি। মানে এমন সব মানুষ প্রশংসা করেছেন, যাঁরা ভালো বলা মানে আমার কাছে বিরাট ব্যাপার।
এটা তো রাগাশ্রয়ী গান। এ ধরনের গান কি আপনার চর্চার মধ্যে ছিল?
আমি তো ক্লাসিক্যাল স্টুডেন্ট। এখন যেটা হচ্ছে, আমি প্রচুর মূলধারার সিনেমার গান গাইছি। কিন্তু আমার ভিত্তি হচ্ছে হিন্দুস্তানি ক্লাসিক্যাল মিউজিক। যেটা আমি কুয়েতে শিখেছি। বাংলাদেশে এসেও সেটার চর্চা করেছি কিছুদিন, ওস্তাদ সঞ্জীব দের কাছে, ওস্তাদ অসীত দের কাছে। কেউ যদি আমাকে এ ধরনের গান গাইতে ডাকেন, খুব ভালো লাগে।
গানের জন্য এবার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। জীবনের প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি…
এটা তো নিঃসন্দেহে বড় পাওয়া। আমার এই প্রাপ্তির একমাত্র কারণ দর্শকদের ভালোবাসা। এত দিন ধরে দর্শকদের তুমুল ভালোবাসা পেয়ে আসছি। এবার রাষ্ট্র আমাকে সম্মানিত করল, এ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা জানা নেই আমার।
ক্রেস্টটি কোথায় রেখেছেন?
ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডটা রাখা আছে আমার ড্রয়িংরুমে। আমার বাবার ছবি আছে সেখানে। সেই ছবিটার পাশে ক্রেস্টটি শোভা পাচ্ছে।
কয়েক বছর ধরে আপনি নিয়মিত সিনেমায় গাইছেন। এটা কি সচেতনভাবে বেছে নিয়েছেন? নাকি ব্যাপারটা ঘটে গেছে?
আমি শুরু থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, সিনেমায় গাইব। আমার একক গান কিংবা মিউজিক ভিডিওর সংখ্যা হাতে গোনা। অথচ যাঁরা আমার সমসাময়িক, তাঁদের একক গানের সংখ্যা অনেক। তবে এটা ঠিক, শুরুর দিকে হয়তো সিনেমার গান দিয়ে আমার তেমন জনপ্রিয়তা আসেনি। যত দিন গেছে, জনপ্রিয়তা আস্তে আস্তে বেড়েছে। কিন্তু আমি লেগে ছিলাম। আমার ডেডিকেশন, আমার প্যাশন, গোল—সবই ছিল সিনেমায় গাওয়া।
আপনার সাংগীতিক কর্মকাণ্ড বেশ বৈচিত্র্যময়। ক্লাসিক্যাল শিখেছেন, নিয়মিত সিনেমায় গাইছেন, দাপিয়ে কনসার্ট করছেন...
আমি যেহেতু গানটাকে খুব ভালোবাসি, তাই গানের সব ধারা এক্সপ্লোর করতে চাই। অনেকেই আছেন, যাঁরা কেউ হয়তো আধুনিক গানে সেরা বা কেউ ফোক গানে সেরা বা কেউ রবীন্দ্র-নজরুলের গানে সেরা। আমার এ রকম সেরা হওয়ার দরকার নেই। যে গানই আমি গাই, যে ধারার গানই গাই, দর্শক যেন সেটা ভালোবাসেন। সেটা শুনে যেন তাঁদের আরাম লাগে, ওটাই আমার কাছে মুখ্য। সব ধরনের গানই গাইতে চাই আমি।
একজন শিল্পীর তো আসলে বাউন্ডারি থাকা উচিত না…
সেটাই। আমাদেরও বিচার করা উচিত না যে সে আধুনিক গানের শিল্পী, কিন্তু রবীন্দ্রসংগীতটা এভাবে গাইল কেন! সুর, তাল, লয়, কথা ঠিক থাকলে শিল্পী তাঁর গায়কি দিয়ে গাইবেন। একটা রবীন্দ্রসংগীতই আমরা তো অনেকের কণ্ঠে শুনি। তো বন্যাদি (রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা) কেন আলাদা বা মিতা হক কেন আলাদা? কারণ নিজের গায়কি দিয়ে তাঁরা স্পেশাল। সবার প্রচেষ্টাকেই আমাদের সাধুবাদ দেওয়া উচিত। কারণ শিল্পী ভালোবেসেই গানটি করেন।
মাঝে গানের মানুষদের, বিশেষ করে যাঁরা যন্ত্রী, তাঁরা প্রতিকূল অবস্থার ভেতর দিয়ে গিয়েছেন। কারণ নতুন গান তৈরি হচ্ছিল কম, কনসার্ট বন্ধ ছিল। এখন সে পরিস্থিতি কি বদলেছে?
অনেকটা পাল্টেছে। এ বছর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেক কনসার্ট হয়েছে। স্বাধীনতার সেলিব্রেশন, মুজিববর্ষ—সব ধরনের সেলিব্রেশনে কনসার্ট হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ঈদ-পরবর্তী সময়েও এই কনসার্টের মৌসুমটা জারি থাকবে। ক্ষতি কাটিয়ে শিল্পীরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছেন। এটা ইতিবাচক ব্যাপার।
আপনার প্লেলিস্টে এখন কী ধরনের গান আছে?
ইদানীং আমি পুরোনো দিনের গানগুলো আবার শুনছি। কয়েক দিন আগে বাপ্পী লাহিড়ীর অনেক গান শুনলাম। যার মধ্যে ‘বালিতে তোমার নাম লিখে দেব’ গানটি আমার খুব প্রিয়। এ ছাড়া এ সময়ের ডুয়া লিপা, বিলি আইলিশ, অরিজিৎ সিং, লোপামুদ্রাসহ আরও অনেকের গান আমার প্লেলিস্টে আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে