সাজ্জাদ হোসেন, রূপপুর (পাবনা) থেকে
দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। আজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপনকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে যে গতি, তার সঙ্গে সমানতালে চলছে না সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ। গত সাড়ে চার বছরে সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও সঞ্চালন লাইনের অভাবে অলস পড়ে থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এ জন্য ২০১৮ সালের এপ্রিলে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফর পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিজ অব রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ করা পিজিসিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত সাড়ে চার বছরে প্রকল্পটির ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি আছে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে আর মাত্র ১ বছর ২ মাস। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ ভৌত অবকাঠামোগত কাজ শেষ করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় আছে।
সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ধীরগতির কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। গতকাল সাংবাদিকেরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে প্রশ্ন করলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আমি একটা কথা বলে রাখি। আমি (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে) তৈরি হলে তো হবে না, আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি করব। কিন্তু যারা (বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) কিনবে, তাদেরও একটা প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে এবং সেখানে আমরা কোনো কথা বলতে পারি না।’
পিজিসিবি সময়মতো সঞ্চালন লাইন তৈরি করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছে, এটুকু বলতে পারি।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কিউ. এম. শফিকুল ইসলাম। সঞ্চালন লাইনের কাজে অগ্রগতি জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ যেটা ধরা হয়েছে সেটা বাড়বে; কারণ, আমাদের এই প্রকল্পে দুটি রিভার ক্রসিং আছে। যমুনা ও পদ্মা নদীর মধ্যে আমাদের ১৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসাতে হবে। আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে আছি। এই দুই জায়গা ছাড়া আমরা ২০২৪ সালের জুলাই মাস নাগাদ প্রকল্প বুঝিয়ে দিতে পারব।’
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করেন। আজ দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই চুল্লি স্থাপনের কাজ শেষ হলে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে রূপপুরে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, প্রথম ইউনিটের ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতি ৭০ শতাংশের বেশি। প্রথম ইউনিটের বিভিন্ন যন্ত্রের পৃথক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। পরে আমরা সব কটি যন্ত্রের সমন্বিত পরীক্ষা শুরু করব। এই সমন্বিত পরীক্ষা আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চালিয়ে আমরা দেখতে চাই, সিস্টেমটা কীভাবে চলছে।’
শওকত আকবর জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতি ৫৩ শতাংশের বেশি।
দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ। আজ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপনকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ প্রথম ইউনিট এবং ২০২৫ সালে দ্বিতীয় ইউনিট বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসবে। কিন্তু বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজে যে গতি, তার সঙ্গে সমানতালে চলছে না সঞ্চালন লাইন নির্মাণকাজ। গত সাড়ে চার বছরে সঞ্চালন লাইন প্রকল্পের ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেও সঞ্চালন লাইনের অভাবে অলস পড়ে থাকার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)। এ জন্য ২০১৮ সালের এপ্রিলে ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফর পাওয়ার ইভাকুয়েশন ফ্যাসিলিটিজ অব রূপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট’ নামের একটি প্রকল্প হাতে নেয় সংস্থাটি। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয় ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
কিন্তু ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদ করা পিজিসিবির তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, গত সাড়ে চার বছরে প্রকল্পটির ভৌত অবকাঠামোগত অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি আছে ২৭ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রকল্পের মেয়াদ আছে আর মাত্র ১ বছর ২ মাস। এই সময়ের মধ্যে প্রায় ৫৫ শতাংশ ভৌত অবকাঠামোগত কাজ শেষ করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে তা কতটুকু সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় আছে।
সঞ্চালন লাইন নির্মাণে ধীরগতির কারণে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিটের ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া নিয়ে সংশয় আছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। গতকাল সাংবাদিকেরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিয়ে প্রশ্ন করলে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘আমি একটা কথা বলে রাখি। আমি (রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে) তৈরি হলে তো হবে না, আমরা এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিক্রি করব। কিন্তু যারা (বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড) কিনবে, তাদেরও একটা প্রিপারেশনের ব্যাপার আছে এবং সেখানে আমরা কোনো কথা বলতে পারি না।’
পিজিসিবি সময়মতো সঞ্চালন লাইন তৈরি করতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা চেষ্টা করছে, এটুকু বলতে পারি।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদিত বিদ্যুৎ গ্রিডে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সঞ্চালন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কিউ. এম. শফিকুল ইসলাম। সঞ্চালন লাইনের কাজে অগ্রগতি জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পের মেয়াদ যেটা ধরা হয়েছে সেটা বাড়বে; কারণ, আমাদের এই প্রকল্পে দুটি রিভার ক্রসিং আছে। যমুনা ও পদ্মা নদীর মধ্যে আমাদের ১৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন বসাতে হবে। আমরা এই জায়গায় পিছিয়ে আছি। এই দুই জায়গা ছাড়া আমরা ২০২৪ সালের জুলাই মাস নাগাদ প্রকল্প বুঝিয়ে দিতে পারব।’
২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ইতিহাসের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শুরু করেন। আজ দ্বিতীয় চুল্লি স্থাপনের কাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই দুই চুল্লি স্থাপনের কাজ শেষ হলে মোট ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে রূপপুরে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি নিয়ে প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর বলেন, প্রথম ইউনিটের ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতি ৭০ শতাংশের বেশি। প্রথম ইউনিটের বিভিন্ন যন্ত্রের পৃথক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। পরে আমরা সব কটি যন্ত্রের সমন্বিত পরীক্ষা শুরু করব। এই সমন্বিত পরীক্ষা আগামী বছরের অক্টোবর পর্যন্ত চালিয়ে আমরা দেখতে চাই, সিস্টেমটা কীভাবে চলছে।’
শওকত আকবর জানান, এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের সার্বিক ভৌত অবকাঠামোর অগ্রগতি ৫৩ শতাংশের বেশি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে