মাসুদ রানা
আলতাফ পারভেজ লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনর্পাঠ, বার্মা: জাতিগত সংঘাতের সাত দশক, শ্রীলঙ্কার তামিল ইলম, গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা, মাওলানা মওদূদীর রাষ্ট্রচিন্তা: একটি পর্যালোচনা, যোগেন মণ্ডলের বহুজনবাদ ও দেশভাগ প্রভৃতি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই। সম্প্রতি মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মিলিত সংগ্রামে সামরিক শাসন উচ্ছেদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে ‘অপারেশন-১০২৭’ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পরিবর্তনে কতটুকু সফল হবে?
আলতাফ পারভেজ: ‘অপারেশন ১০২৭’ যারা শুরু করেছিল, তারা গত ২৭ নভেম্বর থেকে অপারেশন কোড বদল করে এটার নাম রেখেছে ‘অপারেশন-১১২৭’; অর্থাৎ এখন একই অপারেশন নতুন নামে চলবে। নাম পরিবর্তনের একটা ব্যাখ্যা হিসেবে মিয়ানমারের ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ বলেছে, আগের অভিযানটা ছিল বিশেষ বিশেষ এলাকাকেন্দ্রিক। এখন তারা জাতীয়ভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধটা ছড়িয়ে দিতে চায়। এই অপারেশন দেশটির পরিস্থিতিতে একটা গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন এনেছে। প্রথমত, যাঁরা এত দিন সামরিক জান্তাবিরোধী গেরিলা দলগুলোর শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, তাঁদের অনেকখানি ভুল ভেঙেছে। এই অভিযানের প্রথম ৩০ দিনে জান্তা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় প্রায় ১৮০টি চৌকি হারিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, গেরিলা দলগুলোর মধ্যে বিস্ময়করভাবে সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। আমরা জানি, মিয়ানমারে সাতটি প্রদেশ এবং সাতটি বিভাগ রয়েছে। এর প্রতিটি প্রদেশের গেরিলা দল কিন্তু পৃথক পৃথক। কিন্তু তাদের অনেকের মাঝে এবার চমৎকার সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, আঞ্চলিক এসব গেরিলা দলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মিয়ানমারের বাহিনীতে বামার তরুণেরা এবার গেরিলাযুদ্ধে শরিক হয়েছেন। এটা এবারের যুদ্ধের একটা নতুন দিক। অতীতে বিভিন্ন জাতির আঞ্চলিক গেরিলারা বামার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ত। এখন সেনাবাহিনীকে তাদের জাতির তরুণ গেরিলাদেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এবারের পরিস্থিতির আরেকটি নতুন দিক হলো, চীন হঠাৎ করে গেরিলা দলগুলোকে মদদ দিচ্ছে। যদিও এই মদদ তাদের নিজস্ব স্বার্থে এবং সাময়িক চরিত্রের। কিন্তু এটাও মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে একটা নতুন উপাদান। কারণ এত দিন চীন সামরিক জান্তাকে একচেটিয়াভাবে সহায়তা করে এসেছে।
আজকের পত্রিকা: পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত অপরাপর সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা কেমন?
আলতাফ পারভেজ: ‘মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ’ কথাটা ভালোভাবে বোঝা দরকার। এ দেশের মূল জনগোষ্ঠী হলো বামার। আর আছে অনেকগুলো আঞ্চলিক জাতি। যেমন—কারেন, কাচিন, শান, রাখাইন ইত্যাদি। আঞ্চলিক প্রায় প্রতিটি দল বহু বছর ধরে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ করছে। যাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করছে সেই কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীটি হলো বামারদের। ফলে এত দিন গৃহযুদ্ধ হচ্ছিল আসলে ‘বামার বনাম অন্যান্য জাতি’র মধ্যে। এবার সেনাবাহিনী যখন অং সান সু চির দলকে ক্ষমতায় বসতে দিল না, তখন বামারদের নিজেদের মাঝেই সংঘাত বেধে যায়। গণতন্ত্রপন্থী সু চি-সমর্থক তরুণেরা তখন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করে গেরিলাযুদ্ধে নামেন। ফলে আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর সঙ্গে পিডিএফও গৃহযুদ্ধে শরিক হয়েছে।
আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর প্রতি নিজ নিজ জাতির পূর্ণ সমর্থনই আছে। অন্যদিকে, পিডিএফগুলোর প্রতি সব বামারের সমর্থন আছে— এমন বলা যায় না। তবে বামার অঞ্চলগুলোতে তাদের পরিসর বাড়ছে। বামারদের মধ্যে ভিক্ষুসংঘ ও সেনাবাহিনীর প্রভাব এখনো কম নয়। এই দুই শক্তি আবার আদর্শিকভাবে বেশ কাছাকাছি। তারা উগ্র বামার জাতীয়তাবাদী আদর্শের। তাই বামার পিডিএফগুলোকে এদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বামার জাতীয়তাবাদের মূল শক্তির ভিত্তি। আবার চীন ও রাশিয়াও তাদের বেশ শক্তি জুগিয়েছে অতীতে। সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে এরা বেশ শক্তিশালী ও চৌকস। ফলে জনসমাজ থেকে তাদের উপড়ে ফেলা সহজ নয়। কিন্তু গেরিলাদের অগ্রগতি ঘটছে।
আজকের পত্রিকা: এত দিন মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের মদদ দিয়ে আসছে চীন। অবস্থার পরিবর্তনে চীনের আধিপত্য কি বজায় থাকবে?
আলতাফ পারভেজ: মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বিপুল। দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ একচেটিয়াভাবে তারাই ভোগ করছে দশকের পর দশক ধরে। এটা করতে গিয়ে তারা সেনাবাহিনী এবং আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোকেও সহায়তা দিয়েছে। এটা এক বিস্ময়কর কৌশল। আবার চীন মনে করে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অভিলাষের জন্যও মিয়ানমার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
দেশটিতে তাদের বিপুল বিনিয়োগও আছে। সুতরাং এখানে তার একচেটিয়া প্রভাব থাকতে হবে। ফলে যেকোনোভাবে সে এ দেশে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইবে। আন্তর্জাতিকভাবেও চীন সব অবস্থায় মিয়ানমারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে আসছে।
মিয়ানমারে পরিবর্তন যদি অবধারিত হয়, তাহলে পরিবর্তনবাদীদের সঙ্গে চীনের অবশ্যই একটা বোঝাপড়ায় আসতে হবে। আবার মিয়ানমারে পরিবর্তন আনতে হলে গেরিলা দলগুলোকেও চীনের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসতে হবে। এ ব্যাপারগুলো কীভাবে ঘটবে তার সবটাই এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা মানতেই হবে, মিয়ানমারে চীন একটা ফ্যাক্টর। যদিও গণতন্ত্রপন্থীদের কাছে চীন অপছন্দনীয়।
আজকের পত্রিকা: যদি সত্যিকার অর্থে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর এবারের সংগ্রাম সফল হয়, তাহলে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু?
আলতাফ পারভেজ: আগেই বলেছি, গেরিলা দলগুলোর মাঝে দুটো ধারা আছে এবং দুই ধরনের রাজনীতি আছে। আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো লড়ছে স্বায়ত্তশাসনের জন্য। যার যার এলাকায় নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ চায় তারা। আর জাতীয়ভাবে দেশটি একটা ফেডারেল ধরনের দেশ হোক, সেটাই তাদের ইচ্ছা; অর্থাৎ তারা মিয়ানমার থেকে বের হয়ে যেতে চায় না। তবে বামারদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেও তারা থাকতে চায় না।
অন্যদিকে, পিডিএফগুলো চাইছে জান্তাকে হারিয়ে কেন্দ্রীয় ক্ষমতা ফিরে পেতে। আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর সঙ্গে পিডিএফগুলোর যে বোঝাপড়া হয়েছে, তাতে যৌথ এই সংগ্রামে তারা যদি বিজয়ী হয়, তাহলে দেশটিতে নতুন সংবিধান তৈরি করা হবে এবং দেশটিকে সত্যিকারের একটি ফেডারেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে; অর্থাৎ তখন অঞ্চলগুলোকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের গণতন্ত্রায়ণ করা হবে। সেনা আধিপত্য ভেঙে দেওয়া হবে। আপাতত এ রকম প্রতিশ্রুতি আছে। তবে এগুলো অর্জন সহজ হবে এমনও নয়।
সমস্যা হলো, আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো পৃথক পৃথক চরিত্রের। আবার তাদের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বামারদের প্রত্যাশার ফারাক আছে। সব শক্তিকে সমন্বয় করার মতো জাতীয় কোনো ব্যক্তি নেই আপাতত। অং সান সু চি কারাগারে আছেন এবং তাঁর যথেষ্ট বয়সও হয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলো সু চির ওপর খুব বেশি ভরসাও আর করে না। ফলে সামনে দেখার ব্যাপার হলো, যুদ্ধের মধ্যে কী ধরনের নেতৃত্ব তৈরি হয়। তারা কীভাবে পুরো যুদ্ধ সমন্বয় করে এবং কীভাবে জান্তাবিরোধী সব শক্তিকে সমন্বিত রাখতে পারে। তবে এই যুদ্ধ যদি সফল হয়, মিয়ানমার নিশ্চিতভাবে নতুন এক রাজনৈতিক চরিত্র ফিরে পাবে। আগের মিয়ানমার আর থাকবে না।
আজকের পত্রিকা: একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী সশস্ত্র লড়াই করছে। এতে কি মিয়ানমারের বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে?
আলতাফ পারভেজ: হ্যাঁ, সে রকম সম্ভাবনাও আছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। মিয়ানমার অতীতে সেভাবে ‘এক দেশ’ ছিল না। যেভাবে ভারতবর্ষও এক দেশ ছিল না। দক্ষিণ এশিয়াকে এ রকম চেহারা দিয়ে গেছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি। তারা দখল করেছিল একভাবে, আর রেখে গেছে অন্যভাবে। যেমন আরাকান একসময় একটা স্বাধীন দেশ ছিল। এখন তারা মিয়ানমারের অধীনে।
এখন আরাকান যদি আলাদা হয়, আদৌ যদি কখনো হতে পারে, সেটা তো নতুন কিছু নয়, পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া মাত্র। যেমন আরাকান আর্মি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের অন্যতম শক্তি এখন। যদিও তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা বলছে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে তো পুরোনো স্বাধীন অবস্থায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন আছে।
মোটকথা, আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো যেকোনো উপায়ে বামারদের আধিপত্য থেকে বের হতে চায়। সে কারণে তারা যেকোনো ধরনের সুযোগ নিতে কার্পণ্য করবে না। আবার মিয়ানমারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডাযুদ্ধের প্রভাবও আছে। সেই প্রভাবকেও আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো তাদের স্বার্থে কাজে লাগাবে। ফলে পুরো মিয়ানমার যদি সামরিক জান্তামুক্ত না-ও হয়, তাহলে দুই-তিনটি অঞ্চলে দেশটি কৃত্রিমভাবে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। তার অনেক আলামত এবং বাস্তবতাও আছে।
চিন, কাচিন ও কারেন অঞ্চল ধর্মীয়ভাবেও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পৃথক চরিত্রের। কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলে যত বেশি কোণঠাসা হয়ে যাবে, এই অঞ্চল তত বেশি মুক্ত বোধ করতে শুরু করবে। এই তিন অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রেরও গভীর আগ্রহ আছে বলে শোনা যায়।
আজকের পত্রিকা: মিয়ানমারে সামরিক শাসন উচ্ছেদ হলে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কি সহজ হতে পারে?
আলতাফ পারভেজ: সু চি-সমর্থক ও গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, তাঁরা বিজয়ী হলে দেশটিতে নতুন সংবিধান তৈরি করবেন। যে সংবিধানের আওতায় নাগরিকত্বের নতুন আইন তৈরি হবে। রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হলো, তার একটা আইনি উৎস দেশটির নাগরিকত্ব আইন এবং সংবিধান। এই সংবিধান নিয়ে দেশটির প্রদেশগুলোও সন্তুষ্ট নয়। এটা সেনাবাহিনীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি করে রেখেছে। উগ্র বামারদের এই নাগরিকত্ব আইনের প্রতি জোরালো সমর্থন আছে। এই আইন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও জাতিগত স্বীকৃতি কেড়ে নিয়েছে। বামার পিডিএফগুলো এবং তাদের ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ ইতিমধ্যে বলেছে, তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার স্বীকার করে। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ বসতভূমিতে ফিরিয়ে নেবে।
আজকের পত্রিকা: মিয়ানমারে পরিবর্তন সাধিত হলে, বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে কি?
আলতাফ পারভেজ: অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, সেটা বলা মুশকিল। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উত্থান-পতন তৈরি হয় অভ্যন্তরীণ নানান উপাদান দ্বারা। তবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এটা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই এ ঘটনা প্রভাব ফেলবে। মিয়ানমারের চলতি গৃহযুদ্ধ আরাকানের চেহারা একদম পাল্টে দিতে পারে। আরাকানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সীমান্ত এবং রোহিঙ্গাদের কারণে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার ফলে মিয়ানমারের যেকোনো পরিবর্তন আমাদের দক্ষিণ সীমান্তকে তুমুলভাবে প্রভাবিত করবে। উত্তর-পূর্ব ভারতেও এ ঘটনা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
আলতাফ পারভেজ লেখক ও গবেষক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর। ডাকসুর নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। মুজিব বাহিনী থেকে গণবাহিনী: ইতিহাসের পুনর্পাঠ, বার্মা: জাতিগত সংঘাতের সাত দশক, শ্রীলঙ্কার তামিল ইলম, গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা, মাওলানা মওদূদীর রাষ্ট্রচিন্তা: একটি পর্যালোচনা, যোগেন মণ্ডলের বহুজনবাদ ও দেশভাগ প্রভৃতি তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বই। সম্প্রতি মিয়ানমারের জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর মিলিত সংগ্রামে সামরিক শাসন উচ্ছেদের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন আজকের পত্রিকার মাসুদ রানা।
আজকের পত্রিকা: এ সময়ে ‘অপারেশন-১০২৭’ মিয়ানমারের পরিস্থিতি পরিবর্তনে কতটুকু সফল হবে?
আলতাফ পারভেজ: ‘অপারেশন ১০২৭’ যারা শুরু করেছিল, তারা গত ২৭ নভেম্বর থেকে অপারেশন কোড বদল করে এটার নাম রেখেছে ‘অপারেশন-১১২৭’; অর্থাৎ এখন একই অপারেশন নতুন নামে চলবে। নাম পরিবর্তনের একটা ব্যাখ্যা হিসেবে মিয়ানমারের ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স’ বলেছে, আগের অভিযানটা ছিল বিশেষ বিশেষ এলাকাকেন্দ্রিক। এখন তারা জাতীয়ভাবে প্রতিরোধ যুদ্ধটা ছড়িয়ে দিতে চায়। এই অপারেশন দেশটির পরিস্থিতিতে একটা গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তন এনেছে। প্রথমত, যাঁরা এত দিন সামরিক জান্তাবিরোধী গেরিলা দলগুলোর শক্তি-সামর্থ্য নিয়ে সন্দিহান ছিলেন, তাঁদের অনেকখানি ভুল ভেঙেছে। এই অভিযানের প্রথম ৩০ দিনে জান্তা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় প্রায় ১৮০টি চৌকি হারিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, গেরিলা দলগুলোর মধ্যে বিস্ময়করভাবে সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। আমরা জানি, মিয়ানমারে সাতটি প্রদেশ এবং সাতটি বিভাগ রয়েছে। এর প্রতিটি প্রদেশের গেরিলা দল কিন্তু পৃথক পৃথক। কিন্তু তাদের অনেকের মাঝে এবার চমৎকার সমন্বয় দেখা যাচ্ছে। তৃতীয়ত, আঞ্চলিক এসব গেরিলা দলের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মিয়ানমারের বাহিনীতে বামার তরুণেরা এবার গেরিলাযুদ্ধে শরিক হয়েছেন। এটা এবারের যুদ্ধের একটা নতুন দিক। অতীতে বিভিন্ন জাতির আঞ্চলিক গেরিলারা বামার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়ত। এখন সেনাবাহিনীকে তাদের জাতির তরুণ গেরিলাদেরও মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
এবারের পরিস্থিতির আরেকটি নতুন দিক হলো, চীন হঠাৎ করে গেরিলা দলগুলোকে মদদ দিচ্ছে। যদিও এই মদদ তাদের নিজস্ব স্বার্থে এবং সাময়িক চরিত্রের। কিন্তু এটাও মিয়ানমারের পরিস্থিতিতে একটা নতুন উপাদান। কারণ এত দিন চীন সামরিক জান্তাকে একচেটিয়াভাবে সহায়তা করে এসেছে।
আজকের পত্রিকা: পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) এবং জাতিগত অপরাপর সশস্ত্র সংগঠনের সঙ্গে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণের সম্পৃক্ততা কেমন?
আলতাফ পারভেজ: ‘মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ’ কথাটা ভালোভাবে বোঝা দরকার। এ দেশের মূল জনগোষ্ঠী হলো বামার। আর আছে অনেকগুলো আঞ্চলিক জাতি। যেমন—কারেন, কাচিন, শান, রাখাইন ইত্যাদি। আঞ্চলিক প্রায় প্রতিটি দল বহু বছর ধরে স্বায়ত্তশাসনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ করছে। যাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করছে সেই কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনীটি হলো বামারদের। ফলে এত দিন গৃহযুদ্ধ হচ্ছিল আসলে ‘বামার বনাম অন্যান্য জাতি’র মধ্যে। এবার সেনাবাহিনী যখন অং সান সু চির দলকে ক্ষমতায় বসতে দিল না, তখন বামারদের নিজেদের মাঝেই সংঘাত বেধে যায়। গণতন্ত্রপন্থী সু চি-সমর্থক তরুণেরা তখন পিপলস ডিফেন্স ফোর্স গঠন করে গেরিলাযুদ্ধে নামেন। ফলে আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর সঙ্গে পিডিএফও গৃহযুদ্ধে শরিক হয়েছে।
আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর প্রতি নিজ নিজ জাতির পূর্ণ সমর্থনই আছে। অন্যদিকে, পিডিএফগুলোর প্রতি সব বামারের সমর্থন আছে— এমন বলা যায় না। তবে বামার অঞ্চলগুলোতে তাদের পরিসর বাড়ছে। বামারদের মধ্যে ভিক্ষুসংঘ ও সেনাবাহিনীর প্রভাব এখনো কম নয়। এই দুই শক্তি আবার আদর্শিকভাবে বেশ কাছাকাছি। তারা উগ্র বামার জাতীয়তাবাদী আদর্শের। তাই বামার পিডিএফগুলোকে এদের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বামার জাতীয়তাবাদের মূল শক্তির ভিত্তি। আবার চীন ও রাশিয়াও তাদের বেশ শক্তি জুগিয়েছে অতীতে। সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে এরা বেশ শক্তিশালী ও চৌকস। ফলে জনসমাজ থেকে তাদের উপড়ে ফেলা সহজ নয়। কিন্তু গেরিলাদের অগ্রগতি ঘটছে।
আজকের পত্রিকা: এত দিন মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের মদদ দিয়ে আসছে চীন। অবস্থার পরিবর্তনে চীনের আধিপত্য কি বজায় থাকবে?
আলতাফ পারভেজ: মিয়ানমারে চীনের প্রভাব বিপুল। দেশটির প্রাকৃতিক সম্পদ একচেটিয়াভাবে তারাই ভোগ করছে দশকের পর দশক ধরে। এটা করতে গিয়ে তারা সেনাবাহিনী এবং আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোকেও সহায়তা দিয়েছে। এটা এক বিস্ময়কর কৌশল। আবার চীন মনে করে, তাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অভিলাষের জন্যও মিয়ানমার খুব গুরুত্বপূর্ণ।
দেশটিতে তাদের বিপুল বিনিয়োগও আছে। সুতরাং এখানে তার একচেটিয়া প্রভাব থাকতে হবে। ফলে যেকোনোভাবে সে এ দেশে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে চাইবে। আন্তর্জাতিকভাবেও চীন সব অবস্থায় মিয়ানমারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে আসছে।
মিয়ানমারে পরিবর্তন যদি অবধারিত হয়, তাহলে পরিবর্তনবাদীদের সঙ্গে চীনের অবশ্যই একটা বোঝাপড়ায় আসতে হবে। আবার মিয়ানমারে পরিবর্তন আনতে হলে গেরিলা দলগুলোকেও চীনের সঙ্গে একটা বোঝাপড়ায় আসতে হবে। এ ব্যাপারগুলো কীভাবে ঘটবে তার সবটাই এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এটা মানতেই হবে, মিয়ানমারে চীন একটা ফ্যাক্টর। যদিও গণতন্ত্রপন্থীদের কাছে চীন অপছন্দনীয়।
আজকের পত্রিকা: যদি সত্যিকার অর্থে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর এবারের সংগ্রাম সফল হয়, তাহলে মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু?
আলতাফ পারভেজ: আগেই বলেছি, গেরিলা দলগুলোর মাঝে দুটো ধারা আছে এবং দুই ধরনের রাজনীতি আছে। আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো লড়ছে স্বায়ত্তশাসনের জন্য। যার যার এলাকায় নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ চায় তারা। আর জাতীয়ভাবে দেশটি একটা ফেডারেল ধরনের দেশ হোক, সেটাই তাদের ইচ্ছা; অর্থাৎ তারা মিয়ানমার থেকে বের হয়ে যেতে চায় না। তবে বামারদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেও তারা থাকতে চায় না।
অন্যদিকে, পিডিএফগুলো চাইছে জান্তাকে হারিয়ে কেন্দ্রীয় ক্ষমতা ফিরে পেতে। আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর সঙ্গে পিডিএফগুলোর যে বোঝাপড়া হয়েছে, তাতে যৌথ এই সংগ্রামে তারা যদি বিজয়ী হয়, তাহলে দেশটিতে নতুন সংবিধান তৈরি করা হবে এবং দেশটিকে সত্যিকারের একটি ফেডারেশন হিসেবে গড়ে তোলা হবে; অর্থাৎ তখন অঞ্চলগুলোকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে। রাষ্ট্রের গণতন্ত্রায়ণ করা হবে। সেনা আধিপত্য ভেঙে দেওয়া হবে। আপাতত এ রকম প্রতিশ্রুতি আছে। তবে এগুলো অর্জন সহজ হবে এমনও নয়।
সমস্যা হলো, আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো পৃথক পৃথক চরিত্রের। আবার তাদের চাওয়া-পাওয়ার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বামারদের প্রত্যাশার ফারাক আছে। সব শক্তিকে সমন্বয় করার মতো জাতীয় কোনো ব্যক্তি নেই আপাতত। অং সান সু চি কারাগারে আছেন এবং তাঁর যথেষ্ট বয়সও হয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলো সু চির ওপর খুব বেশি ভরসাও আর করে না। ফলে সামনে দেখার ব্যাপার হলো, যুদ্ধের মধ্যে কী ধরনের নেতৃত্ব তৈরি হয়। তারা কীভাবে পুরো যুদ্ধ সমন্বয় করে এবং কীভাবে জান্তাবিরোধী সব শক্তিকে সমন্বিত রাখতে পারে। তবে এই যুদ্ধ যদি সফল হয়, মিয়ানমার নিশ্চিতভাবে নতুন এক রাজনৈতিক চরিত্র ফিরে পাবে। আগের মিয়ানমার আর থাকবে না।
আজকের পত্রিকা: একই সঙ্গে বেশ কয়েকটি জাতিগোষ্ঠী সশস্ত্র লড়াই করছে। এতে কি মিয়ানমারের বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে?
আলতাফ পারভেজ: হ্যাঁ, সে রকম সম্ভাবনাও আছে। তবে এতে আতঙ্কিত হওয়া উচিত হবে না। মিয়ানমার অতীতে সেভাবে ‘এক দেশ’ ছিল না। যেভাবে ভারতবর্ষও এক দেশ ছিল না। দক্ষিণ এশিয়াকে এ রকম চেহারা দিয়ে গেছে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি। তারা দখল করেছিল একভাবে, আর রেখে গেছে অন্যভাবে। যেমন আরাকান একসময় একটা স্বাধীন দেশ ছিল। এখন তারা মিয়ানমারের অধীনে।
এখন আরাকান যদি আলাদা হয়, আদৌ যদি কখনো হতে পারে, সেটা তো নতুন কিছু নয়, পুরোনো অবস্থায় ফিরে যাওয়া মাত্র। যেমন আরাকান আর্মি মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধের অন্যতম শক্তি এখন। যদিও তারা স্বায়ত্তশাসনের কথা বলছে, কিন্তু তাদের হৃদয়ে তো পুরোনো স্বাধীন অবস্থায় ফিরে যাওয়ার স্বপ্ন আছে।
মোটকথা, আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো যেকোনো উপায়ে বামারদের আধিপত্য থেকে বের হতে চায়। সে কারণে তারা যেকোনো ধরনের সুযোগ নিতে কার্পণ্য করবে না। আবার মিয়ানমারে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডাযুদ্ধের প্রভাবও আছে। সেই প্রভাবকেও আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলো তাদের স্বার্থে কাজে লাগাবে। ফলে পুরো মিয়ানমার যদি সামরিক জান্তামুক্ত না-ও হয়, তাহলে দুই-তিনটি অঞ্চলে দেশটি কৃত্রিমভাবে বিভক্ত হয়ে যেতে পারে। তার অনেক আলামত এবং বাস্তবতাও আছে।
চিন, কাচিন ও কারেন অঞ্চল ধর্মীয়ভাবেও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চল থেকে পৃথক চরিত্রের। কেন্দ্রীয় সেনাবাহিনী কেন্দ্রীয় অঞ্চলে যত বেশি কোণঠাসা হয়ে যাবে, এই অঞ্চল তত বেশি মুক্ত বোধ করতে শুরু করবে। এই তিন অঞ্চলকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রেরও গভীর আগ্রহ আছে বলে শোনা যায়।
আজকের পত্রিকা: মিয়ানমারে সামরিক শাসন উচ্ছেদ হলে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন কি সহজ হতে পারে?
আলতাফ পারভেজ: সু চি-সমর্থক ও গণতন্ত্রপন্থীরা বলছেন, তাঁরা বিজয়ী হলে দেশটিতে নতুন সংবিধান তৈরি করবেন। যে সংবিধানের আওতায় নাগরিকত্বের নতুন আইন তৈরি হবে। রোহিঙ্গারা যে মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হলো, তার একটা আইনি উৎস দেশটির নাগরিকত্ব আইন এবং সংবিধান। এই সংবিধান নিয়ে দেশটির প্রদেশগুলোও সন্তুষ্ট নয়। এটা সেনাবাহিনীর ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তি করে রেখেছে। উগ্র বামারদের এই নাগরিকত্ব আইনের প্রতি জোরালো সমর্থন আছে। এই আইন রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও জাতিগত স্বীকৃতি কেড়ে নিয়েছে। বামার পিডিএফগুলো এবং তাদের ‘জাতীয় ঐক্যের সরকার’ ইতিমধ্যে বলেছে, তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার স্বীকার করে। তারা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ বসতভূমিতে ফিরিয়ে নেবে।
আজকের পত্রিকা: মিয়ানমারে পরিবর্তন সাধিত হলে, বাংলাদেশে কোনো প্রভাব পড়বে কি?
আলতাফ পারভেজ: অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কী প্রভাব পড়বে, সেটা বলা মুশকিল। যেকোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উত্থান-পতন তৈরি হয় অভ্যন্তরীণ নানান উপাদান দ্বারা। তবে বাংলাদেশের আঞ্চলিক ও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এটা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই এ ঘটনা প্রভাব ফেলবে। মিয়ানমারের চলতি গৃহযুদ্ধ আরাকানের চেহারা একদম পাল্টে দিতে পারে। আরাকানের সঙ্গে বাংলাদেশের যে সীমান্ত এবং রোহিঙ্গাদের কারণে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে, তার ফলে মিয়ানমারের যেকোনো পরিবর্তন আমাদের দক্ষিণ সীমান্তকে তুমুলভাবে প্রভাবিত করবে। উত্তর-পূর্ব ভারতেও এ ঘটনা বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ ঘণ্টা আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ ঘণ্টা আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ ঘণ্টা আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ ঘণ্টা আগে