প্রতি সপ্তাহেই নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খবর থাকছে এই প্রতিবেদনে।
⊲ মানভাট মার্ডারস (হিন্দি সিরিজ)
অভিনয়: আশুতোষ গোয়াড়িকর, মমতা কুলকার্নি, সাই তামহাঙ্কর।
মুক্তি: ৪ অক্টোবর, সনি লিভ
গল্পসংক্ষেপ: ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের কর্মকর্তা রমাকান্ত কুলকার্নির জীবনের সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিরিজটি। ঘটনাটি ১৯৭২ সালের। একটি গ্রামে আচমকা কয়েকটি খুন হয়ে যায়। সেই খুনের রহস্য উদ্ঘাটনের দায়িত্ব এসে পড়ে রমাকান্তের ওপর। তদন্তে মাঠে নামে রমাকান্ত। কিন্তু যতই সামনে এগোয়, ততই যেন রহস্য বাড়ে।
⊲ একগুচ্ছ গল্প (বাংলা মঞ্চনাটক)
অভিনয়: ফেরদৌসী মজুমদার, আজাদ আবুল কালাম, ত্রপা মজুমদার, পান্থ শাহরিয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, অপি করিম প্রমুখ।
মুক্তি: ৪ অক্টোবর, আইস্ক্রিন।
গল্পসংক্ষেপ: আগন্তুক রেপার্টরির তৃতীয় প্রযোজনা ‘একগুচ্ছ গল্প’। গত বছরের শেষ দিকে মঞ্চে এসেছিল ছয় গল্পের এই নাট্যগুচ্ছ, এবার আসছে ওটিটিতে। ‘স্বজাতি’, ‘ধূসর’, ‘লুকোচুরি’, ‘সময়’, ‘পরিচয়’ ও ‘নির্ভর’—এই ছয়টি গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে একগুচ্ছ গল্প। বর্তমান শহুরে জীবনের গল্প নিয়েই সাজানো হয়েছে নাটকটি। শহুরে জীবনের কিছু খণ্ড খণ্ড চিত্র দেখা যাবে প্রতিটি গল্পে।
⊲ দ্য সিগনেচার (হিন্দি সিনেমা)
অভিনয়: অনুপম খের, নীনা কুলকার্নি, মহিমা চৌধুরী, আনু কাপুর
মুক্তি: ৪ অক্টোবর, জি ফাইভ।
গল্পসংক্ষেপ: অরবিন্দ ও মধু সুখী দম্পতি। সারাটা জীবন সুখেদুঃখে এক অপরের পাশে থেকেছে আস্থা হয়ে। বার্ধক্যে এসে দাঁড়িয়েছে তারা। একদিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে মধু। হাসপাতালে নেওয়ার পর কোমায় চলে যায় সে। রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। দিন যায়, হাসপাতালের বিল বাড়ে, ওষুধের তালিকা বাড়ে, কিন্তু মধুর জ্ঞান ফেরে না। পাগলের মতো টাকার সন্ধানে ছোটে অরবিন্দ। সারা জীবনের যা কিছু সঞ্চয়, যা কিছু সম্পদ সব বিক্রি করতে থাকে একে একে। শেষ পর্যন্ত যখন নিজের বাড়িটা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয় অরবিন্দ, বাধা দেয় তাদের ছেলে। ওদিকে ডাক্তার জানায়, ডিএনআর ফর্মে সিগনেচার করলেই মধুর লাইফ সাপোর্ট সরিয়ে নিতে পারবে তারা, যার পরিণাম মধুর মৃত্যু।
⊲ সিটিআরএল (হিন্দি সিনেমা)
অভিনয়: অনন্যা পাণ্ডে, বিহান সমাত
মুক্তি: ৪ অক্টোবর, নেটফ্লিক্স
গল্পসংক্ষেপ: একদল বন্ধু পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। দীর্ঘদিন পর একত্র হয় তারা। মেতে ওঠে আনন্দ আর হইহুল্লোড়ে। কিন্তু তাদের সেই আনন্দ একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়, যখন এক ব্যক্তি একটি রহস্যময় স্যুটকেস নিয়ে হাজির হয় সেই আয়োজনে। লোকটি তাদের একটি বিপজ্জনক খেলায় টেনে নেয়, ভেঙে দেয় তাদের বন্ধন।