নুরুজ্জামান নয়ন
ব্রাজিলের খেলায় সেই শৈল্পিক ফুটবল, সেই সৌন্দর্যের পসরা—সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো।
ক্যামেরুন ম্যাচটা ছিল ব্রাজিলের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তারা তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলেছে। যেহেতু আগেই তাদের পরের পর্ব নিশ্চিত ছিল, ওই ম্যাচ নিয়ে আর চিন্তা করেনি। তাদের ভাবনায় ছিল দ্বিতীয় পর্ব। নকআউট পর্বে কাকে কোন জায়গায়, কখন খেলালে ভালো হয়, সেটাই দেখতে চেয়েছিলেন তিতে।
ক্যামেরুন ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে হার-জিতের কোনো ব্যাপারই ছিল না। বিষয়টা ছিল সবাইকে পরখ করে দেখার। সেটাই কাজে দিয়েছে ব্রাজিলের।
আর এভাবেই ব্রাজিল তাদের চিরচেনা ছন্দে ফিরেছে। দলীয় ফুটবল, একক ফুটবলের সৌন্দর্য বলে যদি কিছু থাকে সব মিলিয়ে ব্রাজিল ফুটবল। প্রথম আর কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সবকিছুই ছিল। ব্রাজিল তাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছে চিরচেনা ‘জেগো বনিতা’ ছন্দ। তারা নেচেছে। তারা নাচিয়েছে। নেইমার ফিরে আসায় ব্রাজিল ছন্দে ফিরেছে। প্রতি দলে একজন মূল তারকা থাকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, নেইমার—এরা থাকা মানে দলের অন্যদের ছন্দ পেতে সহায়তা করে। নেইমার যে দুই ম্যাচ খেলেনি, সে সব ম্যাচে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। একটা তো হেরেই গিয়েছে। নেইমার এলে বাড়তি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়।
তবে এরপরও ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এবারের বিশ্বকাপে অনেক অঘটন দেখা গেছে। অনেক বড় দল হেরে গেছে। তবে ব্রাজিল শিরোপার বড় দাবিদার। ব্রাজিলের ইনটেন্ট অনেক বেশি। ইনটেন্ট মানে গতি, ক্ষিপ্রতা। আক্রমণের সময় আক্রমণে গেছে। রক্ষণের সময় দ্রুত নেমে এসেছে। রক্ষণ থেকে আক্রমণে গেছে দ্রুত গতিতে। ব্রাজিলের এই দলের খেলোয়াড়েরা বিশ্বের সেরা সেরা ইউরোপীয় লিগে খেলে। অধিকাংশ খেলোয়াড়েরাই চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ দলে খেলে। তাদের জেতার মানসিকতা অনেক বেশি। যদি ১১ জন খেলোয়াড় বা ২৬ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে করা হয়, অধিকাংশ খেলোয়াড়েই জেতার মানসিকতা রাখে। অন্য দলের চেয়ে ব্রাজিল এখানে অনেক এগিয়ে আছে।
এবার বিশ্বকাপে লাতিন সৌন্দর্য ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। লাতিন সৌন্দর্যের কথা বললে ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও আসবে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ওরা বেশ চাপে ছিল।
সেখান থেকে বের হয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতছে। এটা আসলে সহজ বিষয় ছিল না। আর্জেন্টিনার সুবিধা হচ্ছে তারা দল হিসেবে খেলে এবং প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তাদের মেসির মতো মহাতারকা আছে, যে ৫ শতাংশ সম্ভাবনাকে ১০০ শতাংশে রূপান্তর করতে পারে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুটো দলই দারুণ ছন্দে আছে। দুটো দলই একটা দল হয়ে খেলছে। দুই দলের দুই সুপারস্টার তাদের প্লাস পয়েন্ট। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল হলে কে এগিয়ে থাকবে, তা বলা মুশকিল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মানে হচ্ছে পুরো বিশ্ব দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া। চরম শারীরিক চাপ ছাড়াও মানসিক চাপ থাকে। যারা চাপকে জয় করতে পারবে, তারাই ম্যাচ জিতবে।
কৌশলের কথা বললে আর্জেন্টিনা রক্ষণ ভেদ করে পাস খেলতে পছন্দ করে। তবে তাদের আক্রমণে বেশি উচ্চতার খেলোয়াড় নেই। এ কারণে মাটিতে বেশি খেলে। এটার অসুবিধা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ যদি পাস আটকে দেয়, তাহলে রক্ষণে চাপ বেড়ে যায়। যেমনটা দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া এক গোল খাওয়ার পর যখন ওপরে উঠল, পাঁচ-ছয়জন মেসিকে পাহারায় রেখেছে। আর্জেন্টিনাকে জায়গা দিলে তাঁরা বেশ ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
আর ব্রাজিলের আক্রমণ, রক্ষণ সবকিছুই ভারসাম্যপূর্ণ। তবে এখানে প্রতিপক্ষ যদি ক্যারিশমা দেখাতে পারে, প্রতি আক্রমণ যদি বন্ধ না করতে পারে তাহলে ব্রাজিলকে থামানো মুশকিল।
নুরুজ্জামান নয়ন, জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক কোচ
ব্রাজিলের খেলায় সেই শৈল্পিক ফুটবল, সেই সৌন্দর্যের পসরা—সত্যি মুগ্ধ হওয়ার মতো।
ক্যামেরুন ম্যাচটা ছিল ব্রাজিলের জন্য প্লাস পয়েন্ট। তারা তখন গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ফেলেছে। যেহেতু আগেই তাদের পরের পর্ব নিশ্চিত ছিল, ওই ম্যাচ নিয়ে আর চিন্তা করেনি। তাদের ভাবনায় ছিল দ্বিতীয় পর্ব। নকআউট পর্বে কাকে কোন জায়গায়, কখন খেলালে ভালো হয়, সেটাই দেখতে চেয়েছিলেন তিতে।
ক্যামেরুন ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে হার-জিতের কোনো ব্যাপারই ছিল না। বিষয়টা ছিল সবাইকে পরখ করে দেখার। সেটাই কাজে দিয়েছে ব্রাজিলের।
আর এভাবেই ব্রাজিল তাদের চিরচেনা ছন্দে ফিরেছে। দলীয় ফুটবল, একক ফুটবলের সৌন্দর্য বলে যদি কিছু থাকে সব মিলিয়ে ব্রাজিল ফুটবল। প্রথম আর কোরিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সবকিছুই ছিল। ব্রাজিল তাদের খেলায় ফিরিয়ে এনেছে চিরচেনা ‘জেগো বনিতা’ ছন্দ। তারা নেচেছে। তারা নাচিয়েছে। নেইমার ফিরে আসায় ব্রাজিল ছন্দে ফিরেছে। প্রতি দলে একজন মূল তারকা থাকে। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি, নেইমার—এরা থাকা মানে দলের অন্যদের ছন্দ পেতে সহায়তা করে। নেইমার যে দুই ম্যাচ খেলেনি, সে সব ম্যাচে কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। একটা তো হেরেই গিয়েছে। নেইমার এলে বাড়তি অনুপ্রেরণা তৈরি হয়।
তবে এরপরও ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতবেই এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। এবারের বিশ্বকাপে অনেক অঘটন দেখা গেছে। অনেক বড় দল হেরে গেছে। তবে ব্রাজিল শিরোপার বড় দাবিদার। ব্রাজিলের ইনটেন্ট অনেক বেশি। ইনটেন্ট মানে গতি, ক্ষিপ্রতা। আক্রমণের সময় আক্রমণে গেছে। রক্ষণের সময় দ্রুত নেমে এসেছে। রক্ষণ থেকে আক্রমণে গেছে দ্রুত গতিতে। ব্রাজিলের এই দলের খেলোয়াড়েরা বিশ্বের সেরা সেরা ইউরোপীয় লিগে খেলে। অধিকাংশ খেলোয়াড়েরাই চ্যাম্পিয়ন বা রানার্সআপ দলে খেলে। তাদের জেতার মানসিকতা অনেক বেশি। যদি ১১ জন খেলোয়াড় বা ২৬ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে করা হয়, অধিকাংশ খেলোয়াড়েই জেতার মানসিকতা রাখে। অন্য দলের চেয়ে ব্রাজিল এখানে অনেক এগিয়ে আছে।
এবার বিশ্বকাপে লাতিন সৌন্দর্য ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছে। লাতিন সৌন্দর্যের কথা বললে ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও আসবে। প্রথম ম্যাচ হারার পর ওরা বেশ চাপে ছিল।
সেখান থেকে বের হয়ে টানা দুই ম্যাচ জিতছে। এটা আসলে সহজ বিষয় ছিল না। আর্জেন্টিনার সুবিধা হচ্ছে তারা দল হিসেবে খেলে এবং প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে তাদের মেসির মতো মহাতারকা আছে, যে ৫ শতাংশ সম্ভাবনাকে ১০০ শতাংশে রূপান্তর করতে পারে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুটো দলই দারুণ ছন্দে আছে। দুটো দলই একটা দল হয়ে খেলছে। দুই দলের দুই সুপারস্টার তাদের প্লাস পয়েন্ট। তবে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সেমিফাইনাল হলে কে এগিয়ে থাকবে, তা বলা মুশকিল। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা মানে হচ্ছে পুরো বিশ্ব দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়া। চরম শারীরিক চাপ ছাড়াও মানসিক চাপ থাকে। যারা চাপকে জয় করতে পারবে, তারাই ম্যাচ জিতবে।
কৌশলের কথা বললে আর্জেন্টিনা রক্ষণ ভেদ করে পাস খেলতে পছন্দ করে। তবে তাদের আক্রমণে বেশি উচ্চতার খেলোয়াড় নেই। এ কারণে মাটিতে বেশি খেলে। এটার অসুবিধা হচ্ছে, প্রতিপক্ষ যদি পাস আটকে দেয়, তাহলে রক্ষণে চাপ বেড়ে যায়। যেমনটা দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া এক গোল খাওয়ার পর যখন ওপরে উঠল, পাঁচ-ছয়জন মেসিকে পাহারায় রেখেছে। আর্জেন্টিনাকে জায়গা দিলে তাঁরা বেশ ভয়ংকর হয়ে ওঠে।
আর ব্রাজিলের আক্রমণ, রক্ষণ সবকিছুই ভারসাম্যপূর্ণ। তবে এখানে প্রতিপক্ষ যদি ক্যারিশমা দেখাতে পারে, প্রতি আক্রমণ যদি বন্ধ না করতে পারে তাহলে ব্রাজিলকে থামানো মুশকিল।
নুরুজ্জামান নয়ন, জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক কোচ
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে