গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মরা পদ্মা নদীতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্রের মাধ্যমে বালুমাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা নতুন পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন। এতে করে নতুন পাড়ার বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে।
১২ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্রের সাহায্যে বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ইউএনও মো. জাকির হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৩০ আগস্ট মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেন। এ নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায় ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মরা পদ্মার বুকেও ড্রেজার’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেবগ্রামের তেনাপচা নতুনপাড়া এলাকায় মরা পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে কিছু বসতবাড়ি। এসব বাড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরেই অবস্থিত মরা পদ্মা নদী। একাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্র বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্থানে পাইপ টেনে মাটি ফেলা হচ্ছে।
খননযন্ত্র থেকে সামান্য দূরে বসতভিটা ভরাটে ব্যস্ত শাহজাহান শেখ বলেন, তিনি আর স্থানীয় লাল্টু মিলে মাটি তুলছেন। তাঁদের সঙ্গে চারজন শ্রমিক রয়েছেন। খননযন্ত্রের মালিক কে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
গভীর গর্ত করে মাটি উত্তোলন করায় মাটি ধসে বসতভিটা ভাঙনঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নে শাহজাহান শেখ বলেন, ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এবং মানুষের প্রয়োজন বলে এখান থেকে বালুমাটি উত্তোলন করছি। এ ছাড়া যাঁদের জমি, তাঁরা কাটতে দিয়েছেন। অন্যায়ভাবে কারও ক্ষতি করে কিছু করা হচ্ছে না।’ উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দেননি। খননযন্ত্রের সাহায্যে বালুমাটি উত্তোলন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই বলেও জানান তিনি।
মাটি তোলা প্রসঙ্গে স্থানীয় অনেকে কথা বলতে চান না। স্থানীয় অনেকে জড়িত থাকায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। স্থানীয় নাজিমদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার মতো এখানে অনেকে ৪-৫ কাঠা করে জমি কিনে নতুন করে ঘরবাড়ি তুলেছেন। আমরা নদীভাঙন এলাকার মানুষ। বাড়ির কাছে গর্ত করে মাটি কাটায় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছি। ঝুঁকি থাকলেও কিছুই বলতে পারছি না।’
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নদীভাঙনের শিকার পরিবারের বসতভিটা তৈরিতে বালুমাটি উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। না হলে এসব দরিদ্র মানুষ কোথা থেকে মাটি আনবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া বালুমাটি উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে যেখানে উত্তোলন হচ্ছে, সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার উজানচর নলিয়াপাড়ার খননযন্ত্র বন্ধ করার খবর পেয়ে তেনাপচা নতুনপাড়ার খননযন্ত্র বন্ধ হয় বলে শুনেছি।’
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মরা পদ্মা নদীতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্রের মাধ্যমে বালুমাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা নতুন পাড়ায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলন করে ব্যবসা করছেন। এতে করে নতুন পাড়ার বসতবাড়ি ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে।
১২ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উজানচর, দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়নের মরা পদ্মা নদীর বিভিন্ন স্থানে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্রের সাহায্যে বালুমিশ্রিত মাটি উত্তোলনের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। ইউএনও মো. জাকির হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুর রহমানকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। এ সময় পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ৩০ আগস্ট মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বালু উত্তোলনের অভিযোগ করেন। এ নিয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকায় ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মরা পদ্মার বুকেও ড্রেজার’ শিরোনামের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দেবগ্রামের তেনাপচা নতুনপাড়া এলাকায় মরা পদ্মা নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে কিছু বসতবাড়ি। এসব বাড়ির মাত্র ১০০ গজ দূরেই অবস্থিত মরা পদ্মা নদী। একাধিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত খননযন্ত্র বসিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিন ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন স্থানে পাইপ টেনে মাটি ফেলা হচ্ছে।
খননযন্ত্র থেকে সামান্য দূরে বসতভিটা ভরাটে ব্যস্ত শাহজাহান শেখ বলেন, তিনি আর স্থানীয় লাল্টু মিলে মাটি তুলছেন। তাঁদের সঙ্গে চারজন শ্রমিক রয়েছেন। খননযন্ত্রের মালিক কে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।
গভীর গর্ত করে মাটি উত্তোলন করায় মাটি ধসে বসতভিটা ভাঙনঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে কি না, এ প্রশ্নে শাহজাহান শেখ বলেন, ‘নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এবং মানুষের প্রয়োজন বলে এখান থেকে বালুমাটি উত্তোলন করছি। এ ছাড়া যাঁদের জমি, তাঁরা কাটতে দিয়েছেন। অন্যায়ভাবে কারও ক্ষতি করে কিছু করা হচ্ছে না।’ উপজেলা প্রশাসনের অনুমোদন আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দেননি। খননযন্ত্রের সাহায্যে বালুমাটি উত্তোলন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই বলেও জানান তিনি।
মাটি তোলা প্রসঙ্গে স্থানীয় অনেকে কথা বলতে চান না। স্থানীয় অনেকে জড়িত থাকায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না। স্থানীয় নাজিমদ্দিন মণ্ডলের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, ‘আমার মতো এখানে অনেকে ৪-৫ কাঠা করে জমি কিনে নতুন করে ঘরবাড়ি তুলেছেন। আমরা নদীভাঙন এলাকার মানুষ। বাড়ির কাছে গর্ত করে মাটি কাটায় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছি। ঝুঁকি থাকলেও কিছুই বলতে পারছি না।’
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, নদীভাঙনের শিকার পরিবারের বসতভিটা তৈরিতে বালুমাটি উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন। না হলে এসব দরিদ্র মানুষ কোথা থেকে মাটি আনবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুর রহমান বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ছাড়া বালুমাটি উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। অবৈধভাবে যেখানে উত্তোলন হচ্ছে, সেখানেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। গত মঙ্গলবার উজানচর নলিয়াপাড়ার খননযন্ত্র বন্ধ করার খবর পেয়ে তেনাপচা নতুনপাড়ার খননযন্ত্র বন্ধ হয় বলে শুনেছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে