জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময়মতো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দুই বছর আগে কেনা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন। কিন্তু করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো টানা দেড় বছর বন্ধ থাকায় অধিকাংশ বায়োমেট্রিক ডিভাইস অকেজো অবস্থায় আছে। ফলে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হলেও সেগুলো তেমন কোনো কাজেই আসছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলার সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া বাকি ৩৬৪টি বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন আছে। এগুলো কেনা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৮ টাকায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রতিটা সরকারি বিদ্যালয়ে প্রতি অর্থবছরে উন্নয়ন-সংস্কারের জন্য সরকার কিছু অর্থ বরাদ্দ দেয়। এই তহবিল থেকে জয়পুরহাটের বিদ্যালয়গুলোকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কিনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি মূল্যে হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের মেশিন কেনা হয়েছে ১৫ থেকে সাড়ে ১৫ হাজার টাকায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো সচল রাখতে অনলাইনে বার্ষিক সার্ভিস চার্জ রিচার্জ করতে হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। না হলে তা কোনো কাজেই আসে না। তবে জয়পুরহাটের অধিকাংশ বিদ্যালয়েই এই অনলাইন সংযোগ নেই। ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। এসব বায়োমেট্রিক ডিভাইস কেনার উদ্দেশ্য ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এসব মেশিনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কোন শিক্ষক কখন বিদ্যালয়ে আসবেন, সেটি তাঁরা কার্যালয়ে বসেই জানতে পারবেন। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আর রিচার্জের অভাবে অনলাইন সংযোগ না থাকায় চালুর আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেশিনগুলো।
কালাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, স্লিপের টাকায় তাঁরা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনেছেন। কিন্তু রিচার্জ করা হয়নি, তাই অনলাইন সংযোগ নেই। আক্কেলপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মো. রাইহানও একই কথা বলেছেন। অবশ্য পাঁচবিবি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা জানান, এই উপজেলায় ৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। সবগুলোর খবর তাঁর জানা নেই। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অনলাইন সংযোগসহ সক্রিয় আছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, স্লিপের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনেছেন। তাঁর জানামতে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯৩টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অনলাইন সংযোগসহ সক্রিয় আছে। আর ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেশিন অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয় আছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার উপজেলার ৪৭টি বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন আছে। কিন্তু এই মেশিন সক্রিয় রাখার জন্য অনলাইনে বছরে ১ হাজার ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হয়। সেটা অধিকাংশ স্কুলেই নাই। ফলে বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কোনো কাজে আসছে না।’
জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজোয়ান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু করোনার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দেড় বছর বন্ধ থাকায় এসব মেশিনের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যায়নি। জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েই ১ হাজার ৫০ টাকা রিচার্জের মাধ্যমে অনলাইন ডিভাইস চালু রাখা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয় খুললে মেশিনগুলো সচল রাখার সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জয়পুরহাটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সময়মতো প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে দুই বছর আগে কেনা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন। কিন্তু করোনার কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো টানা দেড় বছর বন্ধ থাকায় অধিকাংশ বায়োমেট্রিক ডিভাইস অকেজো অবস্থায় আছে। ফলে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হলেও সেগুলো তেমন কোনো কাজেই আসছে না।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ জেলার পাঁচটি উপজেলায় মোট ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এর মধ্যে কালাই উপজেলার সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া বাকি ৩৬৪টি বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন আছে। এগুলো কেনা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৮ টাকায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, প্রতিটা সরকারি বিদ্যালয়ে প্রতি অর্থবছরে উন্নয়ন-সংস্কারের জন্য সরকার কিছু অর্থ বরাদ্দ দেয়। এই তহবিল থেকে জয়পুরহাটের বিদ্যালয়গুলোকে ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কিনতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্ধারিত মূল্যের চেয়েও বেশি মূল্যে হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে। ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মূল্যের মেশিন কেনা হয়েছে ১৫ থেকে সাড়ে ১৫ হাজার টাকায়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো সচল রাখতে অনলাইনে বার্ষিক সার্ভিস চার্জ রিচার্জ করতে হয় ১ হাজার ৫০ টাকা। না হলে তা কোনো কাজেই আসে না। তবে জয়পুরহাটের অধিকাংশ বিদ্যালয়েই এই অনলাইন সংযোগ নেই। ডিজিটাল হাজিরা মেশিনগুলো কেনা হয় ২০১৮-১৯ অর্থবছরে। এসব বায়োমেট্রিক ডিভাইস কেনার উদ্দেশ্য ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। এসব মেশিনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। কোন শিক্ষক কখন বিদ্যালয়ে আসবেন, সেটি তাঁরা কার্যালয়ে বসেই জানতে পারবেন। কিন্তু করোনার কারণে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকায় আর রিচার্জের অভাবে অনলাইন সংযোগ না থাকায় চালুর আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে মেশিনগুলো।
কালাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম জানান, স্লিপের টাকায় তাঁরা ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনেছেন। কিন্তু রিচার্জ করা হয়নি, তাই অনলাইন সংযোগ নেই। আক্কেলপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল ফজল মো. রাইহানও একই কথা বলেছেন। অবশ্য পাঁচবিবি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সিরাজুম মুনিরা জানান, এই উপজেলায় ৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। সবগুলোর খবর তাঁর জানা নেই। তবে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অনলাইন সংযোগসহ সক্রিয় আছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার সগুনা গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক জানান, স্লিপের ১৫ হাজার টাকা দিয়ে তিনি তাঁর প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কিনেছেন। তাঁর জানামতে, জয়পুরহাট সদর উপজেলার ১০৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে ৯৩টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন অনলাইন সংযোগসহ সক্রিয় আছে। আর ১২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেশিন অজ্ঞাত কারণে নিষ্ক্রিয় আছে।
ক্ষেতলাল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার উপজেলার ৪৭টি বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন আছে। কিন্তু এই মেশিন সক্রিয় রাখার জন্য অনলাইনে বছরে ১ হাজার ৫০ টাকা রিচার্জ করতে হয়। সেটা অধিকাংশ স্কুলেই নাই। ফলে বেশির ভাগ বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কোনো কাজে আসছে না।’
জেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রেজোয়ান হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলার ৩৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৬৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয়েছে প্রায় দুই বছর আগে। কিন্তু করোনার কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো দেড় বছর বন্ধ থাকায় এসব মেশিনের কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যায়নি। জেলার অধিকাংশ বিদ্যালয়েই ১ হাজার ৫০ টাকা রিচার্জের মাধ্যমে অনলাইন ডিভাইস চালু রাখা হয়নি। আশা করা হচ্ছে, পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয় খুললে মেশিনগুলো সচল রাখার সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে