রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য হালনাগাদ (ভেরিফাইড ডেটাবেইস প্রণয়ন কার্যক্রম) করার নামে সুবিধাভোগীদের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষরিত চিঠিতে সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৮৯২ জন সুবিধাভোগীকে ডিজিটাল ডেটাবেইসের আওতায় আনতে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিজিটাল ডেটাবেইস তৈরির জন্য সরকার থেকে কার্ডপ্রতি উদ্যোক্তারা ১৫ টাকা করে পাবেন।
উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ডেটাবেইসের কাজ করছেন ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম। এ সময় ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হতে আসেন কফিলা খাতুন নামের এক সুবিধাভোগী। কাজ শেষে উপস্থিত সবার সামনেই ৩০ টাকা দাবি করেন ওই উদ্যোক্তা। কেন ৩০ টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমাদের কোনো বেতন না থাকায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই টাকা নিচ্ছি। সরকার থেকে কার্ডপ্রতি ১৫ টাকা করে কবে পাব, তার ঠিক আছে নাকি?’
এ সময় সুবিধাভোগী নূর মোহাম্মদ, জুলেখাসহ অনেকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তিন দিন আগে কার্ডপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা নিয়েছেন রফিকুল, কিন্তু আজও কোনো কাজ করে দেয়নি।’ রৌমারী সদর ইউপিতে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে, তাঁরা বলেন, কার্ডপ্রতি ৫০ টাকা করে জমা না দিলে অনলাইনে তুলে না কম্পিউটার অপারেটররা। তাই বাধ্য হয়ে টাকাসহ কার্ড জমা দিই। কিন্তু চার দিনেও কোনো কাজ হয়নি। একই অবস্থা দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে।
টাকা নেওয়ার বিষয়ে শৌলমারী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মিনিমাম যে টাকা না নিলে নয়, সেই টাকা নিতে বলেছি।’ ৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ৩০ টাকা করে নিতে বলেছি। যাঁরা ৫০ টাকা করে নেন, তাঁদের নাম বলেন, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
একাধিকবার অভিযোগ পেয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রৌমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন, ‘আমার পরিদর্শককে বলেছি সরেজমিনে দেখে প্রতিবেদন তৈরি করতে।’ অভিযোগ পাওয়ার পরেও ব্যবস্থা নিতে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার একা তিনটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে হয়, আমারও তো শরীর আছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ডেটাবেইসের কাজে সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা আদায়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের কাছে শুনেছি। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তথ্য হালনাগাদ (ভেরিফাইড ডেটাবেইস প্রণয়ন কার্যক্রম) করার নামে সুবিধাভোগীদের থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার না পাওয়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) স্বাক্ষরিত চিঠিতে সরকারের ১০ টাকা কেজি দরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ১৪ হাজার ৮৯২ জন সুবিধাভোগীকে ডিজিটাল ডেটাবেইসের আওতায় আনতে ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিজিটাল ডেটাবেইস তৈরির জন্য সরকার থেকে কার্ডপ্রতি উদ্যোক্তারা ১৫ টাকা করে পাবেন।
উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ডেটাবেইসের কাজ করছেন ওই ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রফিকুল ইসলাম। এ সময় ডেটাবেইসে অন্তর্ভুক্ত হতে আসেন কফিলা খাতুন নামের এক সুবিধাভোগী। কাজ শেষে উপস্থিত সবার সামনেই ৩০ টাকা দাবি করেন ওই উদ্যোক্তা। কেন ৩০ টাকা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নে উদ্যোক্তা বলেন, ‘আমাদের কোনো বেতন না থাকায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে এই টাকা নিচ্ছি। সরকার থেকে কার্ডপ্রতি ১৫ টাকা করে কবে পাব, তার ঠিক আছে নাকি?’
এ সময় সুবিধাভোগী নূর মোহাম্মদ, জুলেখাসহ অনেকে বলেন, ‘আমাদের কাছে তিন দিন আগে কার্ডপ্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকা নিয়েছেন রফিকুল, কিন্তু আজও কোনো কাজ করে দেয়নি।’ রৌমারী সদর ইউপিতে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন সুবিধাভোগীদের সঙ্গে, তাঁরা বলেন, কার্ডপ্রতি ৫০ টাকা করে জমা না দিলে অনলাইনে তুলে না কম্পিউটার অপারেটররা। তাই বাধ্য হয়ে টাকাসহ কার্ড জমা দিই। কিন্তু চার দিনেও কোনো কাজ হয়নি। একই অবস্থা দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে।
টাকা নেওয়ার বিষয়ে শৌলমারী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মিনিমাম যে টাকা না নিলে নয়, সেই টাকা নিতে বলেছি।’ ৫০ টাকা নেওয়ার বিষয়ে রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমি ৩০ টাকা করে নিতে বলেছি। যাঁরা ৫০ টাকা করে নেন, তাঁদের নাম বলেন, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
একাধিকবার অভিযোগ পেয়ে কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রৌমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আলাউদ্দিন বসুনিয়া বলেন, ‘আমার পরিদর্শককে বলেছি সরেজমিনে দেখে প্রতিবেদন তৈরি করতে।’ অভিযোগ পাওয়ার পরেও ব্যবস্থা নিতে এত দেরি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার একা তিনটি উপজেলার দায়িত্ব পালন করতে হয়, আমারও তো শরীর আছে।’
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘ডেটাবেইসের কাজে সুবিধাভোগীদের কাছে টাকা আদায়ের বিষয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনের কাছে শুনেছি। খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে বিষয়টি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে