নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
নিয়ম অনুযায়ী খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রত্যেক পরিবেশকের সঙ্গে থাকবেন একজন করে খাদ্য বিভাগের তদারক কর্মকর্তা। কিন্তু রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জনবলসংকট থাকায় মেকানিক, নৈশপ্রহরী, স্প্রেম্যানকে তদারক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলছে খাদ্য অফিস।
সারা দেশের মতো রাজশাহীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ওএমএস চাল বিক্রির কার্যক্রম। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় ৩০ টাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫ টাকা কেজি দরে নির্ধারিত পরিবেশকের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে এই চাল।
শহরের ১৯ জন পরিবেশকের সঙ্গে থেকে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোন কোন তদারক কর্মকর্তা থাকবেন, তাঁর একটি তালিকা করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এতে দেখা যায়, সাতজন পরিদর্শকের পাশাপাশি দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আছেন। অন্য আটজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে তদারক কর্মকর্তা করা হয়েছে।
নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদারক কর্মকর্তা ডেটা এন্ট্রি পদে কর্মরত মো. আবু হায়দার আনোয়ার উজ্জামান। ভেহিক্যাল মেশিনচালক এস এম সেলিম রেজা হয়েছেন শিরোইল কলোনি এলাকার তদারক কর্মকর্তা। অফিস সহকারী রুবি পারভিনকে করা হয়েছে নগরীর লিচুবাগান এলাকার তদারক কর্মকর্তা। স্প্রেম্যান সুমন আলী ও ইসতিয়াক আহম্মেদ পেয়েছেন বেলদারপাড়া ও নগরপাড়া মোড়ের দায়িত্ব। আর নৈশপ্রহরী খোন্দকার আব্দুল আলীম পেয়েছেন সিঅ্যান্ডবি মোড়ের দায়িত্ব।
এ বিষয়ে কথা হয় নৈশপ্রহরী আব্দুল আলীমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাকে অফিস যখন যে দায়িত্ব দেয়, সেটাই করি। এখন তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে, এটাই করছি। এর আগেও এ দায়িত্ব পালন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হতে দেই না। ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করি।’
তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে তদারক কর্মকর্তা করার সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ডিলাররা নানা অনিয়ম করেন। এ ধরনের কর্মচারীরা কঠোর হতে পারেন না। আবার কেউ কেউ ম্যানেজও হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ওই ডিলারের সঙ্গে দায়িত্ব পড়লে তাঁরা আমাদেরও একইভাবে মূল্যায়ন করেন। এতে কাজ করতে সমস্যা হয়।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ বলেন, ‘আমার অফিসে জনবল থাকার কথা ৩০ জন। সব মিলিয়ে আছেন ১২-১৩ জন। তাহলে আমি লোক দেব কোত্থেকে? সবাইকে আবার মনিটরিং করতে পাঠালে অফিসের কাজ করবে কে? কোনোভাবেই মেলানো যায় না। বাধ্য হয়েই নৈশপ্রহরী কিংবা মেকানিককে দায়িত্ব দিতে হচ্ছে।’
সারা দেশে ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে ১৫ টাকা ও ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ভোক্তাকে চাল দেওয়া হবে। শুধু রাজশাহী জেলায় ৮১ হাজার ৪০০ জন চাল পাবেন। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন এ কর্মসূচি চলছে।
নিয়ম অনুযায়ী খোলাবাজারে (ওএমএস) চাল বিক্রি কার্যক্রম তদারকির জন্য প্রত্যেক পরিবেশকের সঙ্গে থাকবেন একজন করে খাদ্য বিভাগের তদারক কর্মকর্তা। কিন্তু রাজশাহী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে জনবলসংকট থাকায় মেকানিক, নৈশপ্রহরী, স্প্রেম্যানকে তদারক কর্মকর্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলছে খাদ্য অফিস।
সারা দেশের মতো রাজশাহীতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ওএমএস চাল বিক্রির কার্যক্রম। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় ৩০ টাকা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৫ টাকা কেজি দরে নির্ধারিত পরিবেশকের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে এই চাল।
শহরের ১৯ জন পরিবেশকের সঙ্গে থেকে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে কোন কোন তদারক কর্মকর্তা থাকবেন, তাঁর একটি তালিকা করেছে খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়। এতে দেখা যায়, সাতজন পরিদর্শকের পাশাপাশি দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), দুজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আছেন। অন্য আটজন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে তদারক কর্মকর্তা করা হয়েছে।
নগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তদারক কর্মকর্তা ডেটা এন্ট্রি পদে কর্মরত মো. আবু হায়দার আনোয়ার উজ্জামান। ভেহিক্যাল মেশিনচালক এস এম সেলিম রেজা হয়েছেন শিরোইল কলোনি এলাকার তদারক কর্মকর্তা। অফিস সহকারী রুবি পারভিনকে করা হয়েছে নগরীর লিচুবাগান এলাকার তদারক কর্মকর্তা। স্প্রেম্যান সুমন আলী ও ইসতিয়াক আহম্মেদ পেয়েছেন বেলদারপাড়া ও নগরপাড়া মোড়ের দায়িত্ব। আর নৈশপ্রহরী খোন্দকার আব্দুল আলীম পেয়েছেন সিঅ্যান্ডবি মোড়ের দায়িত্ব।
এ বিষয়ে কথা হয় নৈশপ্রহরী আব্দুল আলীমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাকে অফিস যখন যে দায়িত্ব দেয়, সেটাই করি। এখন তদারকির দায়িত্ব দিয়েছে, এটাই করছি। এর আগেও এ দায়িত্ব পালন করেছি। কোথাও কোনো সমস্যা হতে দেই না। ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করি।’
তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে তদারক কর্মকর্তা করার সমস্যা আছে বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ডিলাররা নানা অনিয়ম করেন। এ ধরনের কর্মচারীরা কঠোর হতে পারেন না। আবার কেউ কেউ ম্যানেজও হয়ে যান। পরবর্তী সময়ে ওই ডিলারের সঙ্গে দায়িত্ব পড়লে তাঁরা আমাদেরও একইভাবে মূল্যায়ন করেন। এতে কাজ করতে সমস্যা হয়।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ বলেন, ‘আমার অফিসে জনবল থাকার কথা ৩০ জন। সব মিলিয়ে আছেন ১২-১৩ জন। তাহলে আমি লোক দেব কোত্থেকে? সবাইকে আবার মনিটরিং করতে পাঠালে অফিসের কাজ করবে কে? কোনোভাবেই মেলানো যায় না। বাধ্য হয়েই নৈশপ্রহরী কিংবা মেকানিককে দায়িত্ব দিতে হচ্ছে।’
সারা দেশে ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় খোলাবাজারে ১৫ টাকা ও ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় রাজশাহী বিভাগে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ভোক্তাকে চাল দেওয়া হবে। শুধু রাজশাহী জেলায় ৮১ হাজার ৪০০ জন চাল পাবেন। শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি পাঁচ দিন এ কর্মসূচি চলছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে