থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
একসময় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর চরের পুরোটা দখল করে ছিল তামাক। গত এক যুগ যেসব জমিতে তামাকে দাপট দেখা গেছে, সেসব জমিতে আজ নেই তামাকের অস্তিত্ব। বর্তমানে তামাকের জায়গা দখলে নিচ্ছে চীনা বাদাম। কৃষকেরা জানিয়েছেন, থানচি উপজেলায় চীনা বাদামের ফলন ভালো হয়। গত বছরও বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। এ জন্য এবার অনেকেই বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
থানচি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সূত্রমতে, এবার ২৩০ হেক্টর জমিতে চীনা বাদাম চাষ হচ্ছে। হেক্টরপ্রতি আড়াই মেট্রিক টন করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট সাড়ে ৫০০ মেট্রিক টন বাদাম, যা দুই বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদন হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী বলিপাড়া বাজার ঘাট, ক্রংক্ষ্যং পাড়া, ঙাইক্ষ্যংপাড়া, জিনিঅং পাড়া, আপ্রুমংপাড়া, নারিকেলপাড়া, থানচি বাজার ঘাট এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চীনা বাদাম চাষ চলছে।
কথা হয় সদর ইউনিয়নের আমতলি পাড়ার বাসিন্দা চাষি উচিংমং মারমার (৪১) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আমরা এখানে তামাক চাষ করে আসছিলাম। গত বছরও জমির অর্ধেক অংশে তামাক চাষ করেছি। প্রতিবার ফলন তুলে কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে হিসাবে গেলে কমবেশি লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এবার তামাক ছেড়েছি। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৩৫ হাজার টাকায় তিন একর জমি বর্গা নিয়ে এবার চীনা বাদাম চাষ করছি।’
এভাবে তামাক ছেড়ে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন আপ্রুমং পাড়ার চাষিরাও। আপ্রুমং পাড়ার বাসিন্দা চিংসাথুই মারমার (৫৭) জানান, ওই এলাকায় আলাদা আলাদা মালিকানায় ২১ একর জমিতে ১৪ পরিবার বাদাম চাষ করছেন। বর্তমানে এখানে আর কেউ তামাক চাষ করছেন না।’
ক্রংক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা মংশৈপ্রু মারমা জানান, তামাক চাষে সব সময় লেগে থাকতে হয়। আর পরিশ্রমও বেশি। তবে সে তুলনায় বাদাম চাষ সহজ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও নেই।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাজারে বাদাম বিক্রি হয়। তখন কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১১০ টাকায় কেনেন তাঁরা। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিক্রি করলে দাম বেশি পাওয়া যায়। এপ্রিলের শেষ দিকে বৃষ্টির পানি লাগলে ফলনে কালো দাগ হয়। ফলে বাজারজাত সুবিধা হয় না।’
থানচি বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটি সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস (৬০) বলেন, এখন চাষিদের চড়া সুদে দাদন দেওয়া হয় না। ২০ জনকে কাঁচামালের অগ্রিম টাকা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাদাম ফলন তোলার সময় চলমান দর থেকে প্রতিমণে দেড় থেকে ২০০ টাকা কমে দেবে—এ শর্তে কাঁচামাল পেতে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপলভ মারমা জানান, এখন তামাক চাষের সঙ্গে যুক্ত এমন কৃষক নেই বললে চলে। এবার প্রায় ৫০০ চাষি ২৩০ হেক্টর জমিতে চীনা বাদাম আবাদ করছেন। এসব বাদাম বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
একসময় বান্দরবানের সাঙ্গু নদীর চরের পুরোটা দখল করে ছিল তামাক। গত এক যুগ যেসব জমিতে তামাকে দাপট দেখা গেছে, সেসব জমিতে আজ নেই তামাকের অস্তিত্ব। বর্তমানে তামাকের জায়গা দখলে নিচ্ছে চীনা বাদাম। কৃষকেরা জানিয়েছেন, থানচি উপজেলায় চীনা বাদামের ফলন ভালো হয়। গত বছরও বাদামের ভালো ফলন হয়েছে। এ জন্য এবার অনেকেই বাদাম চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
থানচি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সূত্রমতে, এবার ২৩০ হেক্টর জমিতে চীনা বাদাম চাষ হচ্ছে। হেক্টরপ্রতি আড়াই মেট্রিক টন করে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে মোট সাড়ে ৫০০ মেট্রিক টন বাদাম, যা দুই বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ উৎপাদন হবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, সাঙ্গু নদীর তীরবর্তী বলিপাড়া বাজার ঘাট, ক্রংক্ষ্যং পাড়া, ঙাইক্ষ্যংপাড়া, জিনিঅং পাড়া, আপ্রুমংপাড়া, নারিকেলপাড়া, থানচি বাজার ঘাট এলাকাসহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চীনা বাদাম চাষ চলছে।
কথা হয় সদর ইউনিয়নের আমতলি পাড়ার বাসিন্দা চাষি উচিংমং মারমার (৪১) সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আমরা এখানে তামাক চাষ করে আসছিলাম। গত বছরও জমির অর্ধেক অংশে তামাক চাষ করেছি। প্রতিবার ফলন তুলে কোম্পানির লোকজনের সঙ্গে হিসাবে গেলে কমবেশি লোকসান গুনতে হয়েছে। তাই এবার তামাক ছেড়েছি। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের পরামর্শে ৩৫ হাজার টাকায় তিন একর জমি বর্গা নিয়ে এবার চীনা বাদাম চাষ করছি।’
এভাবে তামাক ছেড়ে বাদাম চাষে ঝুঁকছেন আপ্রুমং পাড়ার চাষিরাও। আপ্রুমং পাড়ার বাসিন্দা চিংসাথুই মারমার (৫৭) জানান, ওই এলাকায় আলাদা আলাদা মালিকানায় ২১ একর জমিতে ১৪ পরিবার বাদাম চাষ করছেন। বর্তমানে এখানে আর কেউ তামাক চাষ করছেন না।’
ক্রংক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা মংশৈপ্রু মারমা জানান, তামাক চাষে সব সময় লেগে থাকতে হয়। আর পরিশ্রমও বেশি। তবে সে তুলনায় বাদাম চাষ সহজ। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিও নেই।
ব্যবসায়ীরা জানায়, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে বাজারে বাদাম বিক্রি হয়। তখন কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ১১০ টাকায় কেনেন তাঁরা। তবে মার্চের প্রথম সপ্তাহে বিক্রি করলে দাম বেশি পাওয়া যায়। এপ্রিলের শেষ দিকে বৃষ্টির পানি লাগলে ফলনে কালো দাগ হয়। ফলে বাজারজাত সুবিধা হয় না।’
থানচি বাজারে কাঁচামাল ব্যবসায়ী ও বাজার পরিচালনা কমিটি সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস (৬০) বলেন, এখন চাষিদের চড়া সুদে দাদন দেওয়া হয় না। ২০ জনকে কাঁচামালের অগ্রিম টাকা দেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বাদাম ফলন তোলার সময় চলমান দর থেকে প্রতিমণে দেড় থেকে ২০০ টাকা কমে দেবে—এ শর্তে কাঁচামাল পেতে অগ্রিম টাকা দিয়ে রাখা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিপলভ মারমা জানান, এখন তামাক চাষের সঙ্গে যুক্ত এমন কৃষক নেই বললে চলে। এবার প্রায় ৫০০ চাষি ২৩০ হেক্টর জমিতে চীনা বাদাম আবাদ করছেন। এসব বাদাম বিক্রি করে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে