দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। উপপরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্মার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ক্যাশ বইতে আয় কম দেখিয়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৮ হাজার ২৯৩ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৭২ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৬৪ হাজার টাকা, অনুরূপভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৬টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৫২ হাজার টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২০ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৯টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬২ টাকা। ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা লুটপাট হয়েছে।
এ ছাড়া ক্যাশ বইতে উত্তোলন না করে ৬টি জাল রসিদের মাধ্যমে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ১২০ টাকা, রসিদের মূল কপি ও কার্বন কপিতে টাকার পরিমাণ পরিবর্তন করে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা এবং ভিন্ন দুটি খাতে জাল ভাউচারের মাধ্যমে যথাক্রমে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৭ টাকা ও ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭১২ টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সদ্য সাবেক প্রভাষক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অধ্যক্ষের অপসারণ এবং বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে শিক্ষকেরা সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষকেরা অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
আক্কাস আলী আরও বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ৭ সদস্যের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পায়। সেসব তথ্যসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্তে অধ্যক্ষ অনাস্থা আনলে ইউএনও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে পুনরায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্তেও অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।
দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় দুদকের দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। উপপরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কলেজের অধ্যক্ষ মনজুর আলম ও অফিস সহকারী নির্মল চন্দ্র দেবশর্মার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মামলা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বিভিন্ন কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ক্যাশ বইতে আয় কম দেখিয়ে ১ কোটি ৯৭ লাখ ২৯ হাজার ৮৪৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এ ছাড়া ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন প্রায় ২৫ লাখ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৮ হাজার ২৯৩ টাকা, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৮টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৭২ টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৬৪ হাজার টাকা, অনুরূপভাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৬টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ৫২ হাজার টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৩টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২০ লাখ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১৯টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৭ হাজার ১৬২ টাকা। ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে সব মিলিয়ে ২৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা লুটপাট হয়েছে।
এ ছাড়া ক্যাশ বইতে উত্তোলন না করে ৬টি জাল রসিদের মাধ্যমে ৪৩ লাখ ৫৪ হাজার ১২০ টাকা, রসিদের মূল কপি ও কার্বন কপিতে টাকার পরিমাণ পরিবর্তন করে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৯০০ টাকা এবং ভিন্ন দুটি খাতে জাল ভাউচারের মাধ্যমে যথাক্রমে ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৭ টাকা ও ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়। সব মিলিয়ে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭১২ টাকা বিভিন্ন কৌশলে আত্মসাৎ করেন আসামিরা।
সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সদ্য সাবেক প্রভাষক ও শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে অধ্যক্ষের অপসারণ এবং বকেয়া বেতন আদায়ের দাবিতে শিক্ষকেরা সেতাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। এ সময় শিক্ষকেরা অধ্যক্ষের অনিয়মের বিরুদ্ধে মিছিল ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি দেন।
আক্কাস আলী আরও বলেন, অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে ৭ সদস্যের অভ্যন্তরীণ অডিট কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পায়। সেসব তথ্যসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রতিবেদনও দাখিল করা হয়েছিল। কিন্তু সেই তদন্তে অধ্যক্ষ অনাস্থা আনলে ইউএনও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক করে পুনরায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই তদন্তেও অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে