লক্ষ্মীপুর ও রায়পুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে চার বছর আগে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত একতলার কাজ শেষ হয়নি। নির্মিত হয়েছে শুধু পিলার। ছাদ থেকে শুরু করে বাকি রয়েছে সব কাজই। কবে হবে বাকি কাজ, তা-ও অনিশ্চিত। এদিকে ভবন না থাকায় অস্থায়ী জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
লক্ষ্মীপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রায়পুর উপজেলার গাইয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। বছরখানেক চলার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিডেট। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় শ। কাজ শুরুর আগে বিদ্যালয়টি ভেঙে অস্থায়ীভাবে অন্যত্র জরাজীর্ণ চারটি কক্ষে পাঠদান শুরু করে। এরপর থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কারণে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
শুধু ওই বিদ্যালয় নয়, নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে একই অবস্থায় পড়েছে শিক্ষার্থী সদর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার আরও ৩৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বিশ্বব্যাংকের ঋণের সহায়তায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীপুরে ৫টি উপজেলার ৩৪টি সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। প্রতিটি বিদ্যালয় তিনতলা হওয়ার কথা। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর এসব ভবন হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে।
কিন্তু প্রায় চার বছর পরও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। বন্ধ হয়ে যাওয়া ভবন নির্মাণকাজ কবে শুরু হবে বা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকতা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
রায়পুর উপজেলার গাইয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মাসুদুর রহমান ও চররুহিতা এলাকার কাফিল উদ্দিন বলেন, ছয় মাসের ভেতর তিনতলা নতুন ভবন তৈরি শেষ হবে—এমন আশায় টিনশেড ভবনটি ভেঙে খালি করে দেওয়া হয়েছিল নতুন ভবন তৈরির জন্য। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভবন তৈরির কাজও শুরু হয়। ৬ মাস কাজ করে ১০ ফুট পর্যন্ত কয়েকটি পিলার ওঠানোর পর কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। চার বছরের বেশি সময় পরও সেই ভবনের পিলার ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা কোথায় বসে পাঠদান করবেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
নাভানা কনস্ট্রাকশনের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, এখন পর্যন্ত পিলার ছাড়া কিছুই হয়নি। রডগুলোও মরিচা ধরে খারাপ অবস্থা। দীর্ঘদিন অন্যের জায়গায় অস্থায়ী টিনের ঘর তুলে বিদ্যালয়টির অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষ করা হলেও এখন সেখানে বিরোধ দেখা দিয়েছে। জমির মালিকেরা ঘরগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের চাপ দিচ্ছেন। আসবাবগুলো অব্যবহৃত ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নেই কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা। এরপর থেকে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কারণে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সঠিক সময়ে ভবন নির্মাণ শেষ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, কী কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবন-সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে।
লক্ষ্মীপুরে চার বছর আগে ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত একতলার কাজ শেষ হয়নি। নির্মিত হয়েছে শুধু পিলার। ছাদ থেকে শুরু করে বাকি রয়েছে সব কাজই। কবে হবে বাকি কাজ, তা-ও অনিশ্চিত। এদিকে ভবন না থাকায় অস্থায়ী জরাজীর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
লক্ষ্মীপুর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে রায়পুর উপজেলার গাইয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। বছরখানেক চলার পর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নাভানা কনস্ট্রাকশন লিমিডেট। এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় দেড় শ। কাজ শুরুর আগে বিদ্যালয়টি ভেঙে অস্থায়ীভাবে অন্যত্র জরাজীর্ণ চারটি কক্ষে পাঠদান শুরু করে। এরপর থেকে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কারণে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।
শুধু ওই বিদ্যালয় নয়, নতুন ভবন নির্মাণ নিয়ে একই অবস্থায় পড়েছে শিক্ষার্থী সদর, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার আরও ৩৩টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। বিশ্বব্যাংকের ঋণের সহায়তায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীপুরে ৫টি উপজেলার ৩৪টি সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল ভবনের নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়। প্রতিটি বিদ্যালয় তিনতলা হওয়ার কথা। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর এসব ভবন হস্তান্তর করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আর কাজের তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে।
কিন্তু প্রায় চার বছর পরও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। বন্ধ হয়ে যাওয়া ভবন নির্মাণকাজ কবে শুরু হবে বা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এতে করে বিদ্যালয়ে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকতা চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে।
রায়পুর উপজেলার গাইয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মাসুদুর রহমান ও চররুহিতা এলাকার কাফিল উদ্দিন বলেন, ছয় মাসের ভেতর তিনতলা নতুন ভবন তৈরি শেষ হবে—এমন আশায় টিনশেড ভবনটি ভেঙে খালি করে দেওয়া হয়েছিল নতুন ভবন তৈরির জন্য। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভবন তৈরির কাজও শুরু হয়। ৬ মাস কাজ করে ১০ ফুট পর্যন্ত কয়েকটি পিলার ওঠানোর পর কাজটি বন্ধ হয়ে যায়। চার বছরের বেশি সময় পরও সেই ভবনের পিলার ছাড়া আর কিছুই দৃশ্যমান নেই। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা কোথায় বসে পাঠদান করবেন তা নিয়েও তৈরি হয়েছে চরম অনিশ্চয়তা।
নাভানা কনস্ট্রাকশনের এমন গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলেন, এখন পর্যন্ত পিলার ছাড়া কিছুই হয়নি। রডগুলোও মরিচা ধরে খারাপ অবস্থা। দীর্ঘদিন অন্যের জায়গায় অস্থায়ী টিনের ঘর তুলে বিদ্যালয়টির অস্থায়ী শ্রেণিকক্ষ করা হলেও এখন সেখানে বিরোধ দেখা দিয়েছে। জমির মালিকেরা ঘরগুলো সরিয়ে নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের চাপ দিচ্ছেন। আসবাবগুলো অব্যবহৃত ও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। নেই কোনো টয়লেটের ব্যবস্থা। এরপর থেকে শ্রেণিকার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে চরম বিপাকে পড়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই কারণে কমছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। দ্রুত ভবন নির্মাণকাজ শুরু করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা।
এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সঠিক সময়ে ভবন নির্মাণ শেষ না করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার ঘটনাটি কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দ্রুত নির্মাণকাজ শুরু করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন বলেন, কী কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ হয়েছে, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যালয় ভবন-সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা যেন ব্যাহত না হয়, সেদিকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে