আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সুনামগঞ্জে বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি অংশের কাজ এখনো শুরু হয়নি। অথচ এ কাজ শুরু হওয়ায় কথা ছিল গত ১৫ ডিসেম্বর আর শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে এক মাসের বেশি সময় পরও গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে আগাম বন্যা হলে ফসলহানির আশৃঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ৫২টি হাওরে এবার ৭২০টি বাঁধের কাজ করা হবে। এ কাজ বাস্তবায়ন করবে ৬৯৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। যা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এদিকে গত রোববার পর্যন্ত ৭২০টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৫১টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের সংখ্যা ২০৬। এর মধ্যে ১৩১টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলায় এখনো দৃশ্যমান কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়ে শঙ্কা।
শাল্লা: শাল্লার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য এবার ১৩৮টি প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কিত হাওরপাড়ের কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষক বাদল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট নই। পাউবো কাজের হিসাবের সঙ্গে মাঠের অবস্থার কোনো মিল নেই। সিংহভাগ প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি। পুরোদমে বাঁধ নির্মাণ শুরু নিয়ে চিন্তিত রয়েছি।’
পাউবোর কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, হাওর থেকে পানি ধীরে নামায় জরিপের কাজ ও প্রকল্প নির্ধারণে সময় বেশি লেগেছে। আবার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন থাকায় পিআইসি গঠনও সময়মতো করা যায়নি।
জগন্নাথপুর: জগন্নাথপুর ১৫ ডিসেম্বর হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের একটি প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এক মাসের বেশি সময় বাঁধ নির্মাণে অগ্রগতি না থাকায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা পাউবোর তথ্যমতে, ২৮টি প্রকল্পের জন্য এবার প্রাথমিকভাবে তিন কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৫ জানুয়ারি উপজেলা কমিটির সভায় ২৮ প্রকল্পের কমিটি অনুমোদন করা হয়।
পাউবো উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির সদস্যসচিব হাসান গাজী বলেন, ‘নানা কারণে এবার হাওরে বাঁধের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা প্রকল্প কমিটিগুলোকে কার্যাদেশ ও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে সব কটি প্রকল্প কমিটিকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে কাজ শুরু করাতে পারব।’
তাহিরপুর: তাহিরপুর উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৬২টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ (পিআইসি) কমিটি গঠন করা হয়েছে। যথাসময়ে পিআইসি কমিটি গঠন করা হলেও হাওরে মাত্র হাতে গোনা দু-চারটি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের শুরু হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোর কাজ এখনো শুরু হয়নি।
মাটিয়ান হাওরপাড়ের কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘অকাল বন্যা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে উপজেলার সব কটি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হবে।’
জামালগঞ্জ: ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাবিটার ৩৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার হালি, পাগনা, মিনি পাগনা, শনিসহ ছোট-বড় ছয়টি হাওরের প্রায় ২৬ হাজার কৃষকের ২৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল রক্ষায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাওরে এ বছর বাঁধের কাজে আমরা হতাশ। যে প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে এভাবে চলতে থাকলে ফসলের জন্য হুমকি।’
সুনামগঞ্জ পাউবো-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বাঁধের কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে বলা হয়েছে।’
(প্রতিবেদন করতে তথ্য দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জাকির হোসেন, শাল্লার বিপ্লব চন্দ্র রায়, জগন্নাথপুরের জুয়েল আহমেদ, তাহিরপুরের রাজন চন্দ ও জামালগঞ্জের মো. বায়েজিদ বিন ওয়াহিদ)
সুনামগঞ্জে বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধের গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি অংশের কাজ এখনো শুরু হয়নি। অথচ এ কাজ শুরু হওয়ায় কথা ছিল গত ১৫ ডিসেম্বর আর শেষ হওয়ার কথা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। তবে এক মাসের বেশি সময় পরও গুরুত্বপূর্ণ ৭৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এ কারণে আগাম বন্যা হলে ফসলহানির আশৃঙ্কা করছেন কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তথ্যমতে, সুনামগঞ্জের ৫২টি হাওরে এবার ৭২০টি বাঁধের কাজ করা হবে। এ কাজ বাস্তবায়ন করবে ৬৯৫টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি)। যা প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
এদিকে গত রোববার পর্যন্ত ৭২০টি প্রকল্পের মধ্যে ৪৫১টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের সংখ্যা ২০৬। এর মধ্যে ১৩১টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। তবে তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও শাল্লা উপজেলায় এখনো দৃশ্যমান কাজ শুরু না হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে দেখা দিয়ে শঙ্কা।
শাল্লা: শাল্লার হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য এবার ১৩৮টি প্রকল্প নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৩৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় শঙ্কিত হাওরপাড়ের কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষক বাদল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা বর্তমান পরিস্থিতিতে সন্তুষ্ট নই। পাউবো কাজের হিসাবের সঙ্গে মাঠের অবস্থার কোনো মিল নেই। সিংহভাগ প্রকল্পের কাজই শুরু হয়নি। পুরোদমে বাঁধ নির্মাণ শুরু নিয়ে চিন্তিত রয়েছি।’
পাউবোর কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী (এসও) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, হাওর থেকে পানি ধীরে নামায় জরিপের কাজ ও প্রকল্প নির্ধারণে সময় বেশি লেগেছে। আবার উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন থাকায় পিআইসি গঠনও সময়মতো করা যায়নি।
জগন্নাথপুর: জগন্নাথপুর ১৫ ডিসেম্বর হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধের একটি প্রকল্পের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এক মাসের বেশি সময় বাঁধ নির্মাণে অগ্রগতি না থাকায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
উপজেলা পাউবোর তথ্যমতে, ২৮টি প্রকল্পের জন্য এবার প্রাথমিকভাবে তিন কোটি ২১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ৫ জানুয়ারি উপজেলা কমিটির সভায় ২৮ প্রকল্পের কমিটি অনুমোদন করা হয়।
পাউবো উপজেলার মাঠ কর্মকর্তা ও ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার তদারক কমিটির সদস্যসচিব হাসান গাজী বলেন, ‘নানা কারণে এবার হাওরে বাঁধের কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। আমরা প্রকল্প কমিটিগুলোকে কার্যাদেশ ও প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া শুরু করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহে সব কটি প্রকল্প কমিটিকে প্রথম কিস্তির টাকা দিয়ে কাজ শুরু করাতে পারব।’
তাহিরপুর: তাহিরপুর উপজেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট ৬২টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ (পিআইসি) কমিটি গঠন করা হয়েছে। যথাসময়ে পিআইসি কমিটি গঠন করা হলেও হাওরে মাত্র হাতে গোনা দু-চারটি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের শুরু হয়েছে। বাকি প্রকল্পগুলোর কাজ এখনো শুরু হয়নি।
মাটিয়ান হাওরপাড়ের কৃষক ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘অকাল বন্যা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাই।’
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি মো. রায়হান কবির বলেন, ‘চলতি সপ্তাহে উপজেলার সব কটি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে। আশা করি নির্দিষ্ট সময়ে বাঁধ নির্মাণকাজ শেষ হবে।’
জামালগঞ্জ: ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাবিটার ৩৬টি প্রকল্পের বিপরীতে ১ কোটি ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলার হালি, পাগনা, মিনি পাগনা, শনিসহ ছোট-বড় ছয়টি হাওরের প্রায় ২৬ হাজার কৃষকের ২৫ হাজার হেক্টর জমির বোরো ফসল রক্ষায় এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হাওরে এ বছর বাঁধের কাজে আমরা হতাশ। যে প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে এভাবে চলতে থাকলে ফসলের জন্য হুমকি।’
সুনামগঞ্জ পাউবো-২ নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বাঁধের কাজ শুরু করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে বলা হয়েছে।’
(প্রতিবেদন করতে তথ্য দিয়েছেন সুনামগঞ্জের জাকির হোসেন, শাল্লার বিপ্লব চন্দ্র রায়, জগন্নাথপুরের জুয়েল আহমেদ, তাহিরপুরের রাজন চন্দ ও জামালগঞ্জের মো. বায়েজিদ বিন ওয়াহিদ)
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে