সাইফুল মাসুম, ঠাকুরগাঁও থেকে
প্রতীক বরাদ্দের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে এখনো নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়নি। এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। তাঁর পক্ষে মাইকিং হচ্ছে। তবে কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। চায়ের দোকানে ভোটের গপ্প খুব একটা জমছে না। সবারই একটা কথা, ‘এখানে ভোট কম-বেশি যা পড়ুক, এমপি হবেন রমেশ বাবুই।’
এই আসনে একসময় সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ভোটের মাঠে নেই। আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী প্রার্থী হলেও ভোটের ময়দানে তাঁর অবস্থান খুবই দুর্বল। এ ছাড়া অন্য কোনো শক্ত প্রার্থীও নেই। বলা হচ্ছে, ভোটের দিন ভোটার কেন্দ্রে আনাই হবে রমেশ চন্দ্র সেনের জন্য চ্যালেঞ্জ।
ঠাকুরগাঁও শহরে রিকশায় চলতে চলতে কথা হয় এর চালক মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা শেখ ফরিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মাইকিং ছাড়া আর কোনো প্রচারই নেই। সবাই জানে ভোটকেন্দ্রে না গেলেও জিতবে নৌকা। আমি নিজেও ভোট দিতে যাব না।’
শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মির্জা ফখরুলের বাড়ির সামনে স্থানীয় দবির আলী ও অলক কুমার দাশ জানালেন, নৌকা এমনিতেই জিতবে, তাই ভোটারদের কোনো দাম নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ ভোটের বিষয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।
তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে অনেক হুমকির সুরেই কথা বলছেন রমেশ চন্দ্র সেন। বুধবার এক হাটসভায় তিনি বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে।
আবার নিরুত্তাপ মাঠে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির পক্ষে সেখানকার সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁর স্বাক্ষরিত সেই চিঠি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রহসনের এই নির্বাচনে যারা সম্পৃক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা চিহ্নিত দালাল এবং গণশত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে।’
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পাতানো খেলা। এই ডামি নির্বাচন বর্জনে আমরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।’ তাঁর মতে, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনে কেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি ১০ শতাংশেরও কম হবে।
এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারসহ রাজনৈতিক নানা সমীকরণে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) এবং ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসনেও ভোটারদের উপস্থিতি কম হতে পারে।
তিন প্রার্থীই দবিরুলের স্বজন
তবে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) আসনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে আওয়ামী লীগের মনোনীত মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন যুবলীগ নেতা ও দবিরুলের ভাতিজা আলী আসলাম জুয়েল। ট্রাক প্রতীকের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বালিয়াডাঙ্গীর সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন দবিরুল ইসলামের ভাগনি নুরুন নাহার বেগম। নিজেদের স্বজনদের মধ্যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ ভোটারেরা নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
এ নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর হরিণমারি বাজারে কথা হয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, ‘ভোটের মাঠ জমানোর জন্য নিজেদের মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন। এতে বিএনপির কর্মীরা না আসলেও সাধারণ ভোটারেরা কেন্দ্রে আসবেন।’
ভোটে নেই আওয়ামী লীগ
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসনে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হককে। পরে আসন ভাগাভাগির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মাঠে নেই আওয়ামী লীগের কেউ। ফলে সেখানেও কোনো উত্তাপ নেই। রাণীশংকৈল পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তামিম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌকার প্রার্থী না থাকায় মন খারাপ। এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে কারও জন্য ভোট চাইছেন না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও শাখার সভাপতি মনতোষ কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দুর্বল হলে কেন্দ্রে ভোটার আনা কঠিন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি]
প্রতীক বরাদ্দের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও ঠাকুরগাঁও জেলা শহরে এখনো নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়নি। এ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন। তাঁর পক্ষে মাইকিং হচ্ছে। তবে কোনো পোস্টার চোখে পড়েনি। চায়ের দোকানে ভোটের গপ্প খুব একটা জমছে না। সবারই একটা কথা, ‘এখানে ভোট কম-বেশি যা পড়ুক, এমপি হবেন রমেশ বাবুই।’
এই আসনে একসময় সংসদ সদস্য ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ভোটের মাঠে নেই। আসনটিতে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির মো. রেজাউর রাজী স্বপন চৌধুরী প্রার্থী হলেও ভোটের ময়দানে তাঁর অবস্থান খুবই দুর্বল। এ ছাড়া অন্য কোনো শক্ত প্রার্থীও নেই। বলা হচ্ছে, ভোটের দিন ভোটার কেন্দ্রে আনাই হবে রমেশ চন্দ্র সেনের জন্য চ্যালেঞ্জ।
ঠাকুরগাঁও শহরে রিকশায় চলতে চলতে কথা হয় এর চালক মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা শেখ ফরিদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে মাইকিং ছাড়া আর কোনো প্রচারই নেই। সবাই জানে ভোটকেন্দ্রে না গেলেও জিতবে নৌকা। আমি নিজেও ভোট দিতে যাব না।’
শহরের কালীবাড়ি এলাকায় মির্জা ফখরুলের বাড়ির সামনে স্থানীয় দবির আলী ও অলক কুমার দাশ জানালেন, নৌকা এমনিতেই জিতবে, তাই ভোটারদের কোনো দাম নেই। বিএনপি নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ অনেক মানুষ ভোটের বিষয়ে উৎসাহ দেখাচ্ছেন না।
তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে অনেক হুমকির সুরেই কথা বলছেন রমেশ চন্দ্র সেন। বুধবার এক হাটসভায় তিনি বলেন, সরকারি সুবিধাভোগী ভোটাররা যদি কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে সুবিধাভোগীর তালিকা থেকে তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হবে।
আবার নিরুত্তাপ মাঠে ভোট বর্জনের ডাক দিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বিএনপি। জেলা বিএনপির পক্ষে সেখানকার সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন একটি চিঠি দিয়েছেন। তাঁর স্বাক্ষরিত সেই চিঠি আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রহসনের এই নির্বাচনে যারা সম্পৃক্ত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকেই সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সঙ্গে গণতন্ত্রকামী সাধারণ মানুষের কাছে তাঁরা চিহ্নিত দালাল এবং গণশত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে।’
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা আওয়ামী লীগের পাতানো খেলা। এই ডামি নির্বাচন বর্জনে আমরা অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি।’ তাঁর মতে, ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনে কেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি ১০ শতাংশেরও কম হবে।
এদিকে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহারসহ রাজনৈতিক নানা সমীকরণে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) এবং ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসনেও ভোটারদের উপস্থিতি কম হতে পারে।
তিন প্রার্থীই দবিরুলের স্বজন
তবে ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) আসনে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলামের বড় ছেলে আওয়ামী লীগের মনোনীত মাজহারুল ইসলাম সুজনের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়ছেন যুবলীগ নেতা ও দবিরুলের ভাতিজা আলী আসলাম জুয়েল। ট্রাক প্রতীকের এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বালিয়াডাঙ্গীর সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এ ছাড়া এই আসনে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে লড়ছেন দবিরুল ইসলামের ভাগনি নুরুন নাহার বেগম। নিজেদের স্বজনদের মধ্যে সব গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থী হওয়ায় সাধারণ ভোটারেরা নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
এ নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর হরিণমারি বাজারে কথা হয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঙ্গে। তাঁর ভাষ্য, ‘ভোটের মাঠ জমানোর জন্য নিজেদের মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন। এতে বিএনপির কর্মীরা না আসলেও সাধারণ ভোটারেরা কেন্দ্রে আসবেন।’
ভোটে নেই আওয়ামী লীগ
ঠাকুরগাঁও-৩ (পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল) আসনে প্রথমে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হককে। পরে আসন ভাগাভাগির অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে মাঠে নেই আওয়ামী লীগের কেউ। ফলে সেখানেও কোনো উত্তাপ নেই। রাণীশংকৈল পৌরসভা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তামিম হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নৌকার প্রার্থী না থাকায় মন খারাপ। এই মুহূর্তে সক্রিয়ভাবে কারও জন্য ভোট চাইছেন না।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ঠাকুরগাঁও শাখার সভাপতি মনতোষ কুমার দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনে প্রতিপক্ষ দুর্বল হলে কেন্দ্রে ভোটার আনা কঠিন।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন আজকের পত্রিকার ঠাকুরগাঁও জেলা, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ও রাণীশংকৈল উপজেলা প্রতিনিধি]
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে