গোপালপুর প্রতিনিধি
মাতৃত্বকালীন ছুটি একজন কর্মজীবী নারীর অধিকার। কিন্তু সেই ছুটি নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকেরা। অস্ত্রোপচার করার পর নবজাতককে নিয়ে প্রসূতিকে সরাসরি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। এমন অমানবিক রেওয়াজে ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার শিক্ষকদের মধ্যে।
সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাকছুদা বেগমের সন্তান প্রসবের তারিখ ছিল ৩ অক্টোবর। কিন্তু তাঁর এক মাস আগেই গত ২ সেপ্টেম্বর পৌর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন আগেই করা ছিল। পরদিন ছুটি নিশ্চিতের জন্য এক আত্মীয়কে ডাক্তারের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠান।
কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন প্রসূতি ও নবজাতককে সরাসরি অফিস আসতে বলেন। নিজের চোখে না দেখে ছুটি মঞ্জুরের নিয়ম নেই বলে সাফ জানান। পরে ২০ সেপ্টেম্বর মাকছুদা অসুস্থ বাচ্চা ও বৃদ্ধা মাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে শিক্ষা অফিসে যান। অসুস্থ মাকছুদাকে সিঁড়িতে হাঁপাতে দেখে এগিয়ে আসেন দুই মহিলা কর্মচারী।
মাকছুদা বলেন, ‘সিজারের পর পেটের সেলাই নিয়ে যন্ত্রণায় ছিলাম। বাচ্চাটার ঠান্ডা কমছিল না। কিন্তু ম্যাডামের কড়া নির্দেশ। তাই কাহিল শরীরে অতিকষ্টে সিঁড়ি ডিঙিয়ে অফিসে গিয়ে ছুটি নিশ্চিত করি।’
মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে একইভাবে হয়রানি হয়েছেন ভেঙ্গুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা। তাঁকে ‘ছুটি না নিয়েই কেন সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করলেন অভিযোগে’ শোকজ করা হয়। একইভাবে হয়রানি শিকার হন ভোলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উম্মে হাবীবা, সুতি হিজলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালমা খাতুন এবং জোত আতাউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলীমা খাতুন।
উপজেলা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, গত আগস্টে মর্জিনা পারভীন যোগদানের পর থেকেই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানি চলছে। অফিসের বারান্দায় নোটিশ টানিয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষক বেলা ৩টার আগে অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ এতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত প্রসূতিদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিঁড়িতে অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক হয়রানির সত্যতা স্বীকার করে জানান, নোটিশ টানিয়ে শিক্ষকদের অফিসে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারও কোনো এখতিয়ার নেই। সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শত অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মর্জিনা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি সরকারি নিয়মানুযায়ী অফিস চালান। কাউকে কখনো হয়রানি করেননি। নিয়ম অনুযায়ীই বারান্দায় নোটিশ দিয়েছেন।
মাতৃত্বকালীন ছুটি একজন কর্মজীবী নারীর অধিকার। কিন্তু সেই ছুটি নিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষকেরা। অস্ত্রোপচার করার পর নবজাতককে নিয়ে প্রসূতিকে সরাসরি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে ছুটি মঞ্জুর করতে হবে। এমন অমানবিক রেওয়াজে ক্ষোভ বিরাজ করছে উপজেলার শিক্ষকদের মধ্যে।
সাজনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাকছুদা বেগমের সন্তান প্রসবের তারিখ ছিল ৩ অক্টোবর। কিন্তু তাঁর এক মাস আগেই গত ২ সেপ্টেম্বর পৌর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। মাতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন আগেই করা ছিল। পরদিন ছুটি নিশ্চিতের জন্য এক আত্মীয়কে ডাক্তারের সনদসহ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠান।
কিন্তু শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন প্রসূতি ও নবজাতককে সরাসরি অফিস আসতে বলেন। নিজের চোখে না দেখে ছুটি মঞ্জুরের নিয়ম নেই বলে সাফ জানান। পরে ২০ সেপ্টেম্বর মাকছুদা অসুস্থ বাচ্চা ও বৃদ্ধা মাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা পরিষদ ভবনের তিনতলার সিঁড়ি বেয়ে শিক্ষা অফিসে যান। অসুস্থ মাকছুদাকে সিঁড়িতে হাঁপাতে দেখে এগিয়ে আসেন দুই মহিলা কর্মচারী।
মাকছুদা বলেন, ‘সিজারের পর পেটের সেলাই নিয়ে যন্ত্রণায় ছিলাম। বাচ্চাটার ঠান্ডা কমছিল না। কিন্তু ম্যাডামের কড়া নির্দেশ। তাই কাহিল শরীরে অতিকষ্টে সিঁড়ি ডিঙিয়ে অফিসে গিয়ে ছুটি নিশ্চিত করি।’
মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে একইভাবে হয়রানি হয়েছেন ভেঙ্গুলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা। তাঁকে ‘ছুটি না নিয়েই কেন সন্তান প্রসব ও স্কুল কামাই করলেন অভিযোগে’ শোকজ করা হয়। একইভাবে হয়রানি শিকার হন ভোলারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উম্মে হাবীবা, সুতি হিজলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সালমা খাতুন এবং জোত আতাউল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাসলীমা খাতুন।
উপজেলা শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল করিম বলেন, গত আগস্টে মর্জিনা পারভীন যোগদানের পর থেকেই মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়ে হয়রানি চলছে। অফিসের বারান্দায় নোটিশ টানিয়ে বলা হয়েছে, ‘কোনো শিক্ষক বেলা ৩টার আগে অফিসে প্রবেশ করতে পারবেন না।’ এতে দূর-দূরান্ত থেকে আগত প্রসূতিদের মাতৃত্বকালীন ছুটির জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিঁড়িতে অপেক্ষা করতে হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. পারভেজ মল্লিক হয়রানির সত্যতা স্বীকার করে জানান, নোটিশ টানিয়ে শিক্ষকদের অফিসে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারও কোনো এখতিয়ার নেই। সবার সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণের শত অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
মর্জিনা পারভীন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি সরকারি নিয়মানুযায়ী অফিস চালান। কাউকে কখনো হয়রানি করেননি। নিয়ম অনুযায়ীই বারান্দায় নোটিশ দিয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে