নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদীর খনন করা প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালু ও মাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিলাম সম্পন্ন না করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার আটটি প্যাকেজে নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। সাত নেতা-কর্মী সমঝোতার মাধ্যমে প্রতি প্যাকেজে তিনজন করে নিলামে অংশ নেন। অন্যরা নিলামে অংশ নিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন।
এভাবে বালু ও মাটি ভাগ করে নেওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নিলাম প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে পুনরায় নিলামের দাবি জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান। মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে তিনি এ দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গাজীখালী নদী খনন করে। সাটুরিয়া অংশে খনন করা বালু ও মাটি উপজেলার দড়গ্রাম, বরাইদ, হরগজ, সাটুরিয়া ও ধানকোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। স্তূপ করে রাখা বালু ও মাটি আটটি প্যাকেজে মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রকাশ্যে নিলামের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সবাইকে নিলামে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে আটটি প্যাকেজের প্রতিটিতে তিনজন করে নিলামে অংশ নেন। তাঁরা ৩৫ থেকে ৫৫ পয়সা ঘনফুট দরে ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৬১ ঘনফুট বালু ও মাটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪ টাকায় কিনে নেন। এ বালু ও মাটির স্থানীয় বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
নিলামে বালু ও মাটি কেনা এ নেতা-কর্মীরা হলেন সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান, তিল্লি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ছেলে বিপ্লব হোসেন, দড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলীনূর বক্স এবং ধানকোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ।
জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, তাঁকে নিলামে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। যাঁরা নিলামের বালু কিনেছেন, তাঁদের আগে থেকেই নির্ধারিত করে রাখা হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য অন্যদের নিলামে অংশ নিতে দেননি। এই সুযোগে তাঁরা নামমাত্র মূল্যে বিপুল পরিমাণ বালু ও মাটি কিনে নিয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এতে সরকার বেশ কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিল্লি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন বাবু বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিলাম হয়েছে। যাঁরা সর্বোচ্চ দাম হেঁকেছেন তাঁরাই মাটি কিনতে পেরেছেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এভাবে বালু ও মাটি কেনার ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘অংশ নিলেও বালু ও মাটি নিলামে কিনতে পারবেন না মনে করে অন্যরা নিলাম প্রক্রিয়ার বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিলামে অংশ নিয়ে বালু ও মাটি কিনে নিয়েছেন।’ যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিলাম সম্পন্ন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আফাজ উদ্দিন কোনো মন্তব্য করেননি।
যোগাযোগ করা হলে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদীর খনন করা প্রায় ১ কোটি ঘনফুট বালু ও মাটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিলাম সম্পন্ন না করে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার আটটি প্যাকেজে নিলাম সম্পন্ন হয়েছে। সাত নেতা-কর্মী সমঝোতার মাধ্যমে প্রতি প্যাকেজে তিনজন করে নিলামে অংশ নেন। অন্যরা নিলামে অংশ নিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন।
এভাবে বালু ও মাটি ভাগ করে নেওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নিলাম প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ এনে পুনরায় নিলামের দাবি জানিয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান। মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগে তিনি এ দাবি জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঢাকার ধামরাই উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত গাজীখালী নদী খনন করে। সাটুরিয়া অংশে খনন করা বালু ও মাটি উপজেলার দড়গ্রাম, বরাইদ, হরগজ, সাটুরিয়া ও ধানকোড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। স্তূপ করে রাখা বালু ও মাটি আটটি প্যাকেজে মঙ্গলবার সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে প্রকাশ্যে নিলামের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সবাইকে নিলামে অংশগ্রহণ করতে না দিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে আটটি প্যাকেজের প্রতিটিতে তিনজন করে নিলামে অংশ নেন। তাঁরা ৩৫ থেকে ৫৫ পয়সা ঘনফুট দরে ৮০ লাখ ১০ হাজার ১৬১ ঘনফুট বালু ও মাটি ৩৭ লাখ ৯৩ হাজার ৭৪ টাকায় কিনে নেন। এ বালু ও মাটির স্থানীয় বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
নিলামে বালু ও মাটি কেনা এ নেতা-কর্মীরা হলেন সাটুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক মজিবর রহমান, তিল্লি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলতাফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের ছেলে বিপ্লব হোসেন, দড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আলীনূর বক্স এবং ধানকোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুর রউফ।
জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা লুৎফর রহমান অভিযোগ করেন, তাঁকে নিলামে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্যে নিলাম হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। যাঁরা নিলামের বালু কিনেছেন, তাঁদের আগে থেকেই নির্ধারিত করে রাখা হয়েছিল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য অন্যদের নিলামে অংশ নিতে দেননি। এই সুযোগে তাঁরা নামমাত্র মূল্যে বিপুল পরিমাণ বালু ও মাটি কিনে নিয়েছেন। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এতে সরকার বেশ কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে তিল্লি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন বাবু বলেন, ‘নিয়মতান্ত্রিকভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে নিলাম হয়েছে। যাঁরা সর্বোচ্চ দাম হেঁকেছেন তাঁরাই মাটি কিনতে পেরেছেন।’
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের এভাবে বালু ও মাটি কেনার ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘অংশ নিলেও বালু ও মাটি নিলামে কিনতে পারবেন না মনে করে অন্যরা নিলাম প্রক্রিয়ার বাইরে ছিলেন। এই সুযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিলামে অংশ নিয়ে বালু ও মাটি কিনে নিয়েছেন।’ যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিলাম সম্পন্ন হয়েছে কি না, জানতে চাইলে আফাজ উদ্দিন কোনো মন্তব্য করেননি।
যোগাযোগ করা হলে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পানি উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে