রাহুল শর্মা, ঢাকা
শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মামলার সংখ্যা এখনই সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দপ্তরগুলোর কাছ থেকে ‘যথাযথ’ সমাধান না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মামলা করেন। আবার বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে দেওয়ার জন্যও কেউ কেউ মামলার আশ্রয় নেন। মামলার দীর্ঘসূত্রতা থেকে ফায়দা লোটারও চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক দপ্তর ও কর্মকর্তা মামলা সামাল দিতে ব্যস্ত। মামলার জন্য অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত আটকে যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসছে।
মামলার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য ইউজিসির তদন্তে বেরিয়ে আসে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করে তা স্থগিত করেন। মামলার কারণে পরিকল্পনামাফিক অনেক কাজ শেষ করা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মামলার কারণে আটকে যাচ্ছে।
আবার ভিন্ন চিত্রও আছে। এমপিওর মাসিক বেতনের বকেয়া টাকা পেতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) আবেদন করেন রাজশাহীর আলীপুর মডেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। কাজ না হওয়ায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেন। সেই রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয় মাউশির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ও মাউশির বিপক্ষে রায় হয়। এভাবে মামলা হচ্ছে। কোনো কোনোটির নিষ্পন্ন হচ্ছে। আর অনিষ্পন্ন মামলার সারি হচ্ছে দীর্ঘ।
কেন দিন দিন মামলার সংখ্যা বাড়ছে—এমন প্রশ্নে সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা সেবা দিতে যত্নবান নন। ফলে দিন দিন মামলা বাড়ছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথ সমাধান পান না বলেই মামলা করেন। কেউ কেউ আবার উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে দেন।
দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা দেখভাল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভাগ রয়েছে দুটি। একটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, অন্যটি কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগ। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ১০টি আর শিক্ষা বোর্ড ৯টি। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অধীন দপ্তর রয়েছে ৬টি। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ৫টি।
মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার সর্বশেষ প্রতিবেদন (আগস্ট মাসের) থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তরের অনিষ্পন্ন মামলা ৪ হাজার ২৬১টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ১ হাজার ৩৭৮টি। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরগুলোর অনিষ্পন্ন মামলা ৩ হাজার ৩৯টি। এই হিসাবে শিক্ষা প্রশাসনে চলমান মামলার সংখ্যা ৮ হাজার ৬৭৮টি।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশকারী সংস্থা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি। আর শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে কুমিল্লা বোর্ডে। বিপুলসংখ্যক মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মামলার সংখ্যা এখনই সাড়ে ৮ হাজারের বেশি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দপ্তরগুলোর কাছ থেকে ‘যথাযথ’ সমাধান না পেয়ে ভুক্তভোগীরা মামলা করেন। আবার বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে দেওয়ার জন্যও কেউ কেউ মামলার আশ্রয় নেন। মামলার দীর্ঘসূত্রতা থেকে ফায়দা লোটারও চেষ্টা করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনেক দপ্তর ও কর্মকর্তা মামলা সামাল দিতে ব্যস্ত। মামলার জন্য অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্ত আটকে যাচ্ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দপ্তরের কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসছে।
মামলার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে যাওয়ার উদাহরণ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য ইউজিসির তদন্তে বেরিয়ে আসে। পরে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিলে তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করে তা স্থগিত করেন। মামলার কারণে পরিকল্পনামাফিক অনেক কাজ শেষ করা যাচ্ছে না জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মামলার কারণে আটকে যাচ্ছে।
আবার ভিন্ন চিত্রও আছে। এমপিওর মাসিক বেতনের বকেয়া টাকা পেতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) আবেদন করেন রাজশাহীর আলীপুর মডেল কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীরা। কাজ না হওয়ায় তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত শিক্ষক ও কর্মচারীদের পক্ষে রায় দেন। সেই রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত অবমাননার মামলা হয় মাউশির বিরুদ্ধে। সেই মামলায়ও মাউশির বিপক্ষে রায় হয়। এভাবে মামলা হচ্ছে। কোনো কোনোটির নিষ্পন্ন হচ্ছে। আর অনিষ্পন্ন মামলার সারি হচ্ছে দীর্ঘ।
কেন দিন দিন মামলার সংখ্যা বাড়ছে—এমন প্রশ্নে সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতরা সেবা দিতে যত্নবান নন। ফলে দিন দিন মামলা বাড়ছে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যথাযথ সমাধান পান না বলেই মামলা করেন। কেউ কেউ আবার উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা করে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আটকে দেন।
দেশের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা দেখভাল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভাগ রয়েছে দুটি। একটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, অন্যটি কারিগরি ও মাদ্রাসাশিক্ষা বিভাগ। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তর ১০টি আর শিক্ষা বোর্ড ৯টি। কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের অধীন দপ্তর রয়েছে ৬টি। অন্যদিকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর ৫টি।
মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার সর্বশেষ প্রতিবেদন (আগস্ট মাসের) থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন দপ্তরের অনিষ্পন্ন মামলা ৪ হাজার ২৬১টি, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের ১ হাজার ৩৭৮টি। আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তরগুলোর অনিষ্পন্ন মামলা ৩ হাজার ৩৯টি। এই হিসাবে শিক্ষা প্রশাসনে চলমান মামলার সংখ্যা ৮ হাজার ৬৭৮টি।
জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মামলার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে বেসরকারি স্কুল-কলেজ শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশকারী সংস্থা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ। এর পরের অবস্থানে রয়েছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দেখভালের দায়িত্বে থাকা ইউজিসি। আর শিক্ষা বোর্ডগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা রয়েছে কুমিল্লা বোর্ডে। বিপুলসংখ্যক মামলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী বলেন, চলমান মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ ও অন্যান্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে