রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
বর্ষার বৃষ্টিপাতে পাহাড়ে এখন সবুজের সমারোহ। জীবন্ত হয়ে উঠেছে সব ঝরনা। হ্রদগুলো এখন পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই সময় ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পাহাড়ে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে রাঙামাটির অধিকাংশ হোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বরাদ্দ হয়ে গেছে। এদিকে খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল ঈদের বুকিং শুরু হয়েছে। ঈদের পরবর্তী দুই দিনের জন্য হোটেলগুলোর অর্ধেক কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। পাহাড়ের পর্যটক সমাগম বাড়লে করোনাকালীন ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, জেলার কাপ্তাই হ্রদ এখন পানিতে পরিপূর্ণ। উঁচু সবুজ পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে ঝরনার পানি। স্বচ্ছ নীল পানির পাশে সবুজ পাহাড়ের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। জেলাজুড়ে এ দৃশ্যের দেখা মিলছে। ঈদে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু পর্যটক রাঙামাটিতে আসবেন বলে ধারণা করছে পর্যটন করপোরেশনের জেলা কার্যালয়।
এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।
পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাঙামাটির হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকেরা। ইতিমধ্যে পর্যটক আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। পর্যটকদের সেবা দিতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারের হোটেল মতি মহলের পরিচালক শফিউল আজম বলেন, ‘আমরা ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে পর্যটকদের ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। পর্যটক বরণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’ শহরের হোটেল সোনার বাংলার ম্যানেজার রবিউল হক বলেন, ‘আমাদের হোটেলে ইতিমধ্যে ৬০ কক্ষ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি, বাকিগুলো শিগগির বুকিং হয়ে যাবে।’
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আগের মতোই পাশে থাকবে। পর্যটকেরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটক আগমন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে জেলার হোটেল-মোটেলে ঈদ-পরবর্তী কক্ষ বুকিং শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার কারণে খাগড়াছড়িতে তেমন পর্যটক আসেননি। এবার সেই অবস্থা নেই, করোনাও কমেছে। এবার পর্যটক সমাগম বাড়তে পারে। জেলায় ৩০টি আবাসিক হোটেল আছে। এর মধ্যে ঈদের বুকিং শুরু হয়েছে। ঈদের পরবর্তী দুই দিনে হোটেলের অর্ধেক কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।’
খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে রহস্যময় আলুটিলা সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝরনা ও জেলা পরিষদের ঝুলন্ত সেতু দেখতে ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘আলুটিলা জেলার প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের আলুটিলায় ঝুলন্ত সেতু, নন্দন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে পর্যটনবান্ধব স্থাপন আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।’
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমাদের হোটেল গোছানোর চলছে। পর্যটকদের জন্য রেস্টুরেন্ট সংস্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অতিথি বরণে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। হোটেলের কক্ষগুলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে খাগড়াছড়ি পর্যটন খাতে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবার ঈদুল আজহায় পর্যটক সমাগম বাড়লে সেই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। ঈদকে সামনে রেখে হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বর্ষার বৃষ্টিপাতে পাহাড়ে এখন সবুজের সমারোহ। জীবন্ত হয়ে উঠেছে সব ঝরনা। হ্রদগুলো এখন পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। এই সময় ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পাহাড়ে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ইতিমধ্যে রাঙামাটির অধিকাংশ হোটেলের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কক্ষ বরাদ্দ হয়ে গেছে। এদিকে খাগড়াছড়ির আবাসিক হোটেল ঈদের বুকিং শুরু হয়েছে। ঈদের পরবর্তী দুই দিনের জন্য হোটেলগুলোর অর্ধেক কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। পাহাড়ের পর্যটক সমাগম বাড়লে করোনাকালীন ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে ওঠা যাবে বলে মনে করেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, জেলার কাপ্তাই হ্রদ এখন পানিতে পরিপূর্ণ। উঁচু সবুজ পাহাড় থেকে আছড়ে পড়ছে ঝরনার পানি। স্বচ্ছ নীল পানির পাশে সবুজ পাহাড়ের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। জেলাজুড়ে এ দৃশ্যের দেখা মিলছে। ঈদে এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে বহু পর্যটক রাঙামাটিতে আসবেন বলে ধারণা করছে পর্যটন করপোরেশনের জেলা কার্যালয়।
এদিকে ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন হোটেল-মোটেল পর্যটকদের জন্য বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে। অধিকাংশ হোটেলের কক্ষ ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে।
পর্যটন ব্যবসা-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, রাঙামাটির হোটেল-মোটেলের কক্ষ বুকিং দিয়েছেন পর্যটকেরা। ইতিমধ্যে পর্যটক আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। পর্যটকদের সেবা দিতে বাড়তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
রাঙামাটির রিজার্ভ বাজারের হোটেল মতি মহলের পরিচালক শফিউল আজম বলেন, ‘আমরা ঈদুল আজহা কেন্দ্র করে পর্যটকদের ২০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছি। পর্যটক বরণে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।’ শহরের হোটেল সোনার বাংলার ম্যানেজার রবিউল হক বলেন, ‘আমাদের হোটেলে ইতিমধ্যে ৬০ কক্ষ শতাংশ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করছি, বাকিগুলো শিগগির বুকিং হয়ে যাবে।’
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ আগের মতোই পাশে থাকবে। পর্যটকেরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’
খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, ঈদুল আজহার ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটক আগমন বাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে জেলার হোটেল-মোটেলে ঈদ-পরবর্তী কক্ষ বুকিং শুরু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘গত দুই বছরে করোনার কারণে খাগড়াছড়িতে তেমন পর্যটক আসেননি। এবার সেই অবস্থা নেই, করোনাও কমেছে। এবার পর্যটক সমাগম বাড়তে পারে। জেলায় ৩০টি আবাসিক হোটেল আছে। এর মধ্যে ঈদের বুকিং শুরু হয়েছে। ঈদের পরবর্তী দুই দিনে হোটেলের অর্ধেক কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।’
খাগড়াছড়ি শহরের অদূরে রহস্যময় আলুটিলা সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝরনা ও জেলা পরিষদের ঝুলন্ত সেতু দেখতে ঈদ মৌসুমে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে।
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘আলুটিলা জেলার প্রধান পর্যটনকেন্দ্র। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগের আলুটিলায় ঝুলন্ত সেতু, নন্দন পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকদের কাছে পর্যটনবান্ধব স্থাপন আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।’
খাগড়াছড়ি আবাসিক হোটেল গাইরিংয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রান্ত ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদকে সামনে রেখে আমাদের হোটেল গোছানোর চলছে। পর্যটকদের জন্য রেস্টুরেন্ট সংস্কার করা হচ্ছে। এর মধ্যে অতিথি বরণে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। হোটেলের কক্ষগুলো আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে।’
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলের ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনাকালে খাগড়াছড়ি পর্যটন খাতে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এবার ঈদুল আজহায় পর্যটক সমাগম বাড়লে সেই ক্ষতি অনেকটাই পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। ঈদকে সামনে রেখে হোটেল ব্যবসায়ীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে