প্রদীপ কুমার গোস্বামী, মিঠাপুকুর
মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় বিভক্তি আর বিদ্রোহীদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, এই বিড়ম্বনা তত বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে নির্বাচন হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এতে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন ১২৯ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত আছেন।
সবগুলো ইউনিয়নেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদ্রোহী ১৩ প্রার্থী সক্রিয় আছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বর্তমান এবং তিনজন সাবেক চেয়ারম্যান।
বর্তমান চেয়ারম্যানরা হলেন খোড়াগাছে মো. আসাদুজ্জামান, ভাংনীতে মো. কামরুল হাসান, লতিবপুরে ইদ্রিস আলী, চেংমারীতে রেজাউল কবীর টুটুল, বড়হযরতপুরে রুস্তম আলী ও বড়বালায় সাহেব সরকার। সাবেক চেয়ারম্যানরা হলেন দুর্গাপুরে রবিউল ইসলাম প্রামাণিক, ময়েনপুরে শামছুল আলম ও খোড়াগাছে নুর আলম। আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন ইমাদপুরে লিপন খান, বালুয়ামাসিমপুরে রুহুল আমিন ও আল মিজান এবং ময়েনপুরে মঞ্জুরুল আলম লেলিন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ২০ জানুয়ারি মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আহ্বানে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সাড়া দেয়নি, তাঁরা বরং কোমর বেঁধে জনসংযোগসহ নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভক্ত রাজনীতির জাঁতাকলে পড়েছেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সক্রিয়। একটি অংশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের পক্ষে। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত ও শামীমা আখতার জেসমিন এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ভিপি মো. কামরুজ্জামান।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড মিঠাপুকুরে ভাগাভাগি করে মনোনয়ন দিয়েছে। সাংসদ আশিকুর সমর্থিত পক্ষের আটজন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির সমর্থিত পক্ষের সাতজন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। অপর দুজনের একজন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলার তদবিরে মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যজনের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভক্ত রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। নেতাদের কেউ কেউ এক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবার অন্য ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এই সুযোগে উপজেলায় চাঙা হয়ে উঠেছে জামায়াতের রাজনীতি। এত দিন তাঁদের দৃশ্যমান কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। তাঁরা এখন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জনসংযোগ করছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া ভাংনীর মো. কামরুল হাসানের দাবি, তিনি আগে চেয়ারম্যান হয়ে দলকে সুসংগঠিত ও সততার সঙ্গে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করেছেন। এবার তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
অপর বিদ্রোহী প্রার্থী বড়হযরতপুরের রুস্তম আলী বলেন, ‘জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করা যায় না বলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন না করায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
তবে দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইদুর রহমান তালুকদার জানান, নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পরও নেতা-কর্মী ও ভোটাররা তাঁর সঙ্গে আছেন। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মেসবাহুর রহমান জানান, মনোনয়ন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। কারণ প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। তবুও জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত জানান, তাঁরা নৌকার পক্ষে দিনরাত সভা-সমাবেশ করছেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন এই নেতা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছি।’
মিঠাপুকুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দলীয় বিভক্তি আর বিদ্রোহীদের নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মী-সমর্থকেরা। ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, এই বিড়ম্বনা তত বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মিঠাপুকুরের ১৭ ইউনিয়নে নির্বাচন হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। এতে বৈধ চেয়ারম্যান প্রার্থী আছেন ১২৯ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলেও নির্বাচনী প্রচার থেকে বিরত আছেন।
সবগুলো ইউনিয়নেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রয়েছেন। সেই সঙ্গে বিদ্রোহী ১৩ প্রার্থী সক্রিয় আছেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বর্তমান এবং তিনজন সাবেক চেয়ারম্যান।
বর্তমান চেয়ারম্যানরা হলেন খোড়াগাছে মো. আসাদুজ্জামান, ভাংনীতে মো. কামরুল হাসান, লতিবপুরে ইদ্রিস আলী, চেংমারীতে রেজাউল কবীর টুটুল, বড়হযরতপুরে রুস্তম আলী ও বড়বালায় সাহেব সরকার। সাবেক চেয়ারম্যানরা হলেন দুর্গাপুরে রবিউল ইসলাম প্রামাণিক, ময়েনপুরে শামছুল আলম ও খোড়াগাছে নুর আলম। আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন ইমাদপুরে লিপন খান, বালুয়ামাসিমপুরে রুহুল আমিন ও আল মিজান এবং ময়েনপুরে মঞ্জুরুল আলম লেলিন।
জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ২০ জানুয়ারি মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আহ্বানে বিদ্রোহী প্রার্থীরা সাড়া দেয়নি, তাঁরা বরং কোমর বেঁধে জনসংযোগসহ নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করেন, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিভক্ত রাজনীতির জাঁতাকলে পড়েছেন। এ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুটি পক্ষ সক্রিয়। একটি অংশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কোষাধ্যক্ষ ও স্থানীয় সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমানের পক্ষে। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত ও শামীমা আখতার জেসমিন এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ভিপি মো. কামরুজ্জামান।
আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ড মিঠাপুকুরে ভাগাভাগি করে মনোনয়ন দিয়েছে। সাংসদ আশিকুর সমর্থিত পক্ষের আটজন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির সমর্থিত পক্ষের সাতজন নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। অপর দুজনের একজন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মণ্ডল মওলার তদবিরে মনোনয়ন পেয়েছেন। অন্যজনের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভক্ত রাজনীতির কারণে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই। নেতাদের কেউ কেউ এক ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আবার অন্য ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছেন। এই সুযোগে উপজেলায় চাঙা হয়ে উঠেছে জামায়াতের রাজনীতি। এত দিন তাঁদের দৃশ্যমান কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চোখে পড়েনি। তাঁরা এখন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে জনসংযোগ করছেন।
বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া ভাংনীর মো. কামরুল হাসানের দাবি, তিনি আগে চেয়ারম্যান হয়ে দলকে সুসংগঠিত ও সততার সঙ্গে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করেছেন। এবার তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তিনি স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের অনুরোধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
অপর বিদ্রোহী প্রার্থী বড়হযরতপুরের রুস্তম আলী বলেন, ‘জনমতের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে রাজনীতি করা যায় না বলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। মনোনয়ন বোর্ড তৃণমূল পর্যায়ের জনপ্রিয় নেতাদের মূল্যায়ন না করায় দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’
তবে দুর্গাপুরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইদুর রহমান তালুকদার জানান, নৌকার বিপক্ষে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দেওয়ার পরও নেতা-কর্মী ও ভোটাররা তাঁর সঙ্গে আছেন। জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থনে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদী তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মেসবাহুর রহমান জানান, মনোনয়ন নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। কারণ প্রার্থী বাছাই সঠিক হয়নি। তবুও জয়ের ব্যাপারে তাঁরা আশাবাদী।
অন্যদিকে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিরঞ্জন চন্দ্র মহন্ত জানান, তাঁরা নৌকার পক্ষে দিনরাত সভা-সমাবেশ করছেন। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করেন এই নেতা।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে