সম্পাদকীয়
এখন যখন দেশব্যাপী প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে, তখন পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে একমাত্র গাছই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু উন্নয়ন নামক নানা প্রকল্প গ্রহণ করতে গিয়ে পরিবেশ রক্ষাকারী গাছকেই কেটে ফেলা হচ্ছে। এ ধরনের গাছ কাটার উদ্যোগ কোনোভাবেই পরিবেশের তো উপকার করবেই না; বরং এটিকে পরিবেশ ধ্বংস করার নতুন অপতৎপরতা বলতে হবে।
ফরিদপুর শহরের মধ্যে অবস্থিত টেপাখোলা লেকপাড়কে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদনকেন্দ্র বা রিসোর্ট গড়ে তোলার জন্য অর্ধশতবর্ষী ২৯টি মেহগনিগাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে জেলা পরিষদ। আজকের পত্রিকায় রোববার এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
রিদপুরের সচেতন মানুষসহ স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা গাছ কাটার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তার পরেও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা তাঁদের দাবিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
স্থানীয়রা গরমের সময় এখানে এসে মুক্ত বাতাস উপভোগ করেন। পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা করার জন্য এ সময় গাছের নিচে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু গাছগুলো কেটে ফেললে তাঁরা আর সেই প্রশান্তি পাবেন না।
পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, একটি পরিপূর্ণ গাছ বছরে ৪৮ পাউন্ড হারে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং একই সঙ্গে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছাড়ে তাতে অন্তত দুজন মানুষ নিশ্বাস নিতে পারে। অর্থাৎ যে গাছটি দুজন মানুষকে জীবিত রাখার দায়িত্ব পালন করে, আমরা তাদের নির্বিচারে কেটে ফেলতে এতটুকু দ্বিধা করছি না। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, একটা গাছ কেটে ফেলা মানেই হচ্ছে দুজন মানুষ হত্যার শামিল।
আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। কিন্তু গাছ কাটার পরিণাম কী ভয়াবহ, তা আমরা আমাদের বোধের মধ্যে নিয়ে আসতে পারছি না। এ ধরনের ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাছ কাটার সিদ্ধান্তগুলো সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিচ্ছে। এসব অকাণ্ড হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই। কী বিদ্রূপ দেখুন—এর পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’ স্লোগানও প্রচার করা হচ্ছে! এটি দ্বিচারিতা নয় কি?
উন্নয়ন তো করা উচিত মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু উন্নয়ন যদি মানুষের ক্ষতি করে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একটু মাথা খাটিয়ে পরিকল্পনামাফিক প্রকল্পের কাজগুলো করলে গাছ কাটার প্রয়োজন হয় না।
একটি দীর্ঘজীবী গাছ একবার টিকে গেলে তা পরিবেশকে সেবা দিতে থাকবে বছরের পর বছর। আমাদের মধ্যে যত দিন পরিবেশ রক্ষার বোধ জাতিগতভাবে জাগ্রত হবে না, তত দিন আমরা গাছ কাটা রোধ করতে পারব না। সে জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আগে বন্ধ করতে হবে এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
পরিবেশবিধ্বংসী কোনো উন্নয়ন আমাদের দরকার নেই। গাছ কেটেই কেন স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে? আমরা প্রত্যাশা করব, ফরিদপুর জেলা পরিষদসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও তাদের ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
এখন যখন দেশব্যাপী প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে, তখন পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে একমাত্র গাছই প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু উন্নয়ন নামক নানা প্রকল্প গ্রহণ করতে গিয়ে পরিবেশ রক্ষাকারী গাছকেই কেটে ফেলা হচ্ছে। এ ধরনের গাছ কাটার উদ্যোগ কোনোভাবেই পরিবেশের তো উপকার করবেই না; বরং এটিকে পরিবেশ ধ্বংস করার নতুন অপতৎপরতা বলতে হবে।
ফরিদপুর শহরের মধ্যে অবস্থিত টেপাখোলা লেকপাড়কে আন্তর্জাতিক মানের বিনোদনকেন্দ্র বা রিসোর্ট গড়ে তোলার জন্য অর্ধশতবর্ষী ২৯টি মেহগনিগাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে জেলা পরিষদ। আজকের পত্রিকায় রোববার এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
রিদপুরের সচেতন মানুষসহ স্থানীয় পরিবেশকর্মীরা গাছ কাটার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। তার পরেও জেলা পরিষদের কর্মকর্তারা তাঁদের দাবিকে কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
স্থানীয়রা গরমের সময় এখানে এসে মুক্ত বাতাস উপভোগ করেন। পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা করার জন্য এ সময় গাছের নিচে বসে আড্ডায় মেতে ওঠেন তাঁরা। কিন্তু গাছগুলো কেটে ফেললে তাঁরা আর সেই প্রশান্তি পাবেন না।
পরিবেশবিজ্ঞানীদের মতে, একটি পরিপূর্ণ গাছ বছরে ৪৮ পাউন্ড হারে কার্বন ডাই-অক্সাইড শোষণ করে এবং একই সঙ্গে যে পরিমাণ অক্সিজেন ছাড়ে তাতে অন্তত দুজন মানুষ নিশ্বাস নিতে পারে। অর্থাৎ যে গাছটি দুজন মানুষকে জীবিত রাখার দায়িত্ব পালন করে, আমরা তাদের নির্বিচারে কেটে ফেলতে এতটুকু দ্বিধা করছি না। একটু চিন্তা করলেই বোঝা যায়, একটা গাছ কেটে ফেলা মানেই হচ্ছে দুজন মানুষ হত্যার শামিল।
আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত উন্নয়নের নামে গাছ কাটা হচ্ছে। কিন্তু গাছ কাটার পরিণাম কী ভয়াবহ, তা আমরা আমাদের বোধের মধ্যে নিয়ে আসতে পারছি না। এ ধরনের ঘটনায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গাছ কাটার সিদ্ধান্তগুলো সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিচ্ছে। এসব অকাণ্ড হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই। কী বিদ্রূপ দেখুন—এর পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার জন্য ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’ স্লোগানও প্রচার করা হচ্ছে! এটি দ্বিচারিতা নয় কি?
উন্নয়ন তো করা উচিত মানুষের ভালোর জন্য, মানুষের সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার জন্য। কিন্তু উন্নয়ন যদি মানুষের ক্ষতি করে, সেটা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। একটু মাথা খাটিয়ে পরিকল্পনামাফিক প্রকল্পের কাজগুলো করলে গাছ কাটার প্রয়োজন হয় না।
একটি দীর্ঘজীবী গাছ একবার টিকে গেলে তা পরিবেশকে সেবা দিতে থাকবে বছরের পর বছর। আমাদের মধ্যে যত দিন পরিবেশ রক্ষার বোধ জাতিগতভাবে জাগ্রত হবে না, তত দিন আমরা গাছ কাটা রোধ করতে পারব না। সে জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে আগে বন্ধ করতে হবে এ ধরনের অপরিকল্পিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।
পরিবেশবিধ্বংসী কোনো উন্নয়ন আমাদের দরকার নেই। গাছ কেটেই কেন স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে? আমরা প্রত্যাশা করব, ফরিদপুর জেলা পরিষদসহ অন্যান্য উন্নয়ন পরিকল্পনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরাও তাদের ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে