সম্পাদকীয়
যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, শিক্ষার্থীরা তো থাকবে পড়াশোনার টেবিলে, রাজপথে এসে ট্রাফিক সামলাতে হবে কেন তাদের? কিন্তু পুলিশ বাহিনী ধর্মঘটে যাওয়ার পর রাস্তাঘাটে যানবাহনের আইনকানুন মেনে চলার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে যে যার মতো চালাচ্ছিল বাহন। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুহূর্তের মধ্যেই দাঁড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার তুলে নিয়েছে বলিষ্ঠ হাতে।
শিক্ষার্থীদের কাজ পড়াশোনার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করা এবং পড়ালেখা শেষে সেই জ্ঞান বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো। এ তো সত্য কথা। কিন্তু জাতির প্রয়োজন বুঝে তারা যখন রাস্তা সামলানোর ক্লেশ সয়ে চলাচলকারী মানুষের জীবন একটু সহজ করে দিতে চাইল, তখনই তাদের সচেতনতার বিষয়টিই ফুটে উঠল।
যারা এই দিনগুলোয় রাজধানী ঢাকায় চলাচল করেছে, তারা লক্ষ করেছে শিক্ষার্থীরা যানবাহন যেন আইন মেনে চলে, সে জন্য নিজেরাই দাঁড়িয়ে গেছে রাস্তায়। মাঝের সাদা লেন নির্ধারকগুলোয় দাঁড়িয়ে লেন ভাঙার চালিয়াতি রুখে দিয়েছে। বিনা কারণে এবং বেজায়গায় ওভারটেক করার মতো ঘটনাগুলো থামানোর চেষ্টা করেছে।
বস্তুত শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে কোনো সরকারের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে না। যে যেমন ইচ্ছে নিজের মতো করে চলছে। এরই ফাঁকে লুটপাট, ডাকাতি, নৃশংস হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে রূপরেখা তৈরি করেছে, সেটাও রাজনীতিবিদেরা লোপাট করে দেয় কি না, সে রকম প্রশ্ন জেগেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে আন্দোলনের ফসল তাদের ঘরে নেওয়ার একটা তাড়নারও দেখা পাওয়া যাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলেছে, এখনই তারা মাঠ ছেড়ে দেবে না। কোনো মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে; নতুন সরকার পুরানো সরকারের ঐতিহ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সম্পদ লোপাট করবে—এই অন্যায়ের ধারাবাহিকতা চায় না শিক্ষার্থীরা। তবে রাজনীতির মাঠ এত পিচ্ছিল যে কখন কোন পথে আন্দোলন ধাবিত হয়, তা আগে থেকে বোঝা যায় না। সচেতন মানুষ চায় না, এই আন্দোলনের ফসল চুরি হয়ে যাক।
যুগটি একেবারে অন্য রকম। এখন ভার্চুয়াল এবং বাস্তব জগতের সমন্বয়েই গড়ে ওঠে ভাবনার ভিত। পৃথিবীর নানা প্রান্তের অভিজ্ঞতায় নিজেকে জারিয়ে নেওয়া যায় স্রেফ হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই। ফলে এই সময়ের তরুণেরা আগের যুগের তরুণদের চেয়ে কিছুটা হলেও প্রযুক্তি-দক্ষতায় এগিয়ে আছে। এখন যেকোনো আশ্বাসবাণীতে মোহিত হয়ে তারা নিজেদের মত পরিবর্তন করবে না। ছাত্রদের বন্ধনও সুদৃঢ় হয়েছে বলেই মনে হয়। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের এই কাজে তাদের উপস্থিতির বড় প্রয়োজন। তাদের ধারণাও থাকতে হবে স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন। তাদের মধ্যে স্বাধীনতার বিভিন্ন প্রতীক দেখা গেছে। কিন্তু তাদের চোখের সামনেই ভাঙচুর, লুটতরাজ হয়েছে। প্রতিশোধপরায়ণ মানুষ হত্যা করেছে মানুষকে। সমাজের সর্বস্তরে তারা যদি আইন ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করতে পারে, তাহলে লাভবান হবে সবাই।
শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত না হয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এগিয়ে নিক।
যে কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, শিক্ষার্থীরা তো থাকবে পড়াশোনার টেবিলে, রাজপথে এসে ট্রাফিক সামলাতে হবে কেন তাদের? কিন্তু পুলিশ বাহিনী ধর্মঘটে যাওয়ার পর রাস্তাঘাটে যানবাহনের আইনকানুন মেনে চলার মতো কোনো ব্যবস্থা ছিল না। ফলে যে যার মতো চালাচ্ছিল বাহন। এই অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুহূর্তের মধ্যেই দাঁড়িয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার তুলে নিয়েছে বলিষ্ঠ হাতে।
শিক্ষার্থীদের কাজ পড়াশোনার মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করা এবং পড়ালেখা শেষে সেই জ্ঞান বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো। এ তো সত্য কথা। কিন্তু জাতির প্রয়োজন বুঝে তারা যখন রাস্তা সামলানোর ক্লেশ সয়ে চলাচলকারী মানুষের জীবন একটু সহজ করে দিতে চাইল, তখনই তাদের সচেতনতার বিষয়টিই ফুটে উঠল।
যারা এই দিনগুলোয় রাজধানী ঢাকায় চলাচল করেছে, তারা লক্ষ করেছে শিক্ষার্থীরা যানবাহন যেন আইন মেনে চলে, সে জন্য নিজেরাই দাঁড়িয়ে গেছে রাস্তায়। মাঝের সাদা লেন নির্ধারকগুলোয় দাঁড়িয়ে লেন ভাঙার চালিয়াতি রুখে দিয়েছে। বিনা কারণে এবং বেজায়গায় ওভারটেক করার মতো ঘটনাগুলো থামানোর চেষ্টা করেছে।
বস্তুত শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দেশে কোনো সরকারের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে না। যে যেমন ইচ্ছে নিজের মতো করে চলছে। এরই ফাঁকে লুটপাট, ডাকাতি, নৃশংস হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্ররা রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে রূপরেখা তৈরি করেছে, সেটাও রাজনীতিবিদেরা লোপাট করে দেয় কি না, সে রকম প্রশ্ন জেগেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাতে আন্দোলনের ফসল তাদের ঘরে নেওয়ার একটা তাড়নারও দেখা পাওয়া যাচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীরা বলেছে, এখনই তারা মাঠ ছেড়ে দেবে না। কোনো মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে; নতুন সরকার পুরানো সরকারের ঐতিহ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সম্পদ লোপাট করবে—এই অন্যায়ের ধারাবাহিকতা চায় না শিক্ষার্থীরা। তবে রাজনীতির মাঠ এত পিচ্ছিল যে কখন কোন পথে আন্দোলন ধাবিত হয়, তা আগে থেকে বোঝা যায় না। সচেতন মানুষ চায় না, এই আন্দোলনের ফসল চুরি হয়ে যাক।
যুগটি একেবারে অন্য রকম। এখন ভার্চুয়াল এবং বাস্তব জগতের সমন্বয়েই গড়ে ওঠে ভাবনার ভিত। পৃথিবীর নানা প্রান্তের অভিজ্ঞতায় নিজেকে জারিয়ে নেওয়া যায় স্রেফ হাতে একটা স্মার্টফোন থাকলেই। ফলে এই সময়ের তরুণেরা আগের যুগের তরুণদের চেয়ে কিছুটা হলেও প্রযুক্তি-দক্ষতায় এগিয়ে আছে। এখন যেকোনো আশ্বাসবাণীতে মোহিত হয়ে তারা নিজেদের মত পরিবর্তন করবে না। ছাত্রদের বন্ধনও সুদৃঢ় হয়েছে বলেই মনে হয়। তাই রাষ্ট্র সংস্কারের এই কাজে তাদের উপস্থিতির বড় প্রয়োজন। তাদের ধারণাও থাকতে হবে স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতহীন। তাদের মধ্যে স্বাধীনতার বিভিন্ন প্রতীক দেখা গেছে। কিন্তু তাদের চোখের সামনেই ভাঙচুর, লুটতরাজ হয়েছে। প্রতিশোধপরায়ণ মানুষ হত্যা করেছে মানুষকে। সমাজের সর্বস্তরে তারা যদি আইন ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করতে পারে, তাহলে লাভবান হবে সবাই।
শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্ত না হয়ে রাষ্ট্র সংস্কার এগিয়ে নিক।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২১ ঘণ্টা আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে