আমানুর রহমান রনি, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে নিহতের ঘটনায় সারা দেশের সঙ্গে ঢাকায়ও মামলা করা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে তাঁর আমলের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি আসামি হচ্ছেন পুলিশের কর্মকর্তারাও। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। তাঁর পরই রয়েছেন সদ্য বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামির তালিকায় নাম থাকা এসব পুলিশ সদস্যের অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর, ওএসডি ও বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি মামলারও তদন্ত হচ্ছে। শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দৃশ্যমান হবে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্য কমান্ডিং পোস্টে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই আগে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
আদালত ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ডিএমপির ১৯ থানায় ১৩৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা প্রতিদিনই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়।
মামলার তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এরপর সদ্য বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নামে করা হয়েছে ৩৬টি মামলা। এ ছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৮টি, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ২৭টি এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে।
সাবেক আরও দুই আইজিপির বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে ৭টি, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি গুমের মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিরপুর, রামপুরা, আদাবর, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থানায় একটি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির ও জামিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি করে হত্যা মামলা হয়েছে। আর র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তারের বিরুদ্ধে ৫টি, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২টি ও ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক প্রলয় কুমার জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সাবেক প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিএমপির নিউমার্কেট, সূত্রাপুর ও রামপুরা থানায় ৩টি এবং সিটিটিসির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাবেক ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার ও রিপন সরদারের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব ও রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপিতে ৮টি, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একটি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা, হামলা ও লাশ গুমের অভিযোগে সাবেক ১৩ জন উপপুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮টি এবং ডিবির লালবাগ বিভাগের সাবেক ডিসি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা হয়েছে। তারা হলেন ডিএমপির রমনা বিভাগের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ, ডিএমপির সাবেক ডিসি তানভীর সালেহীন, মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি রাজীব আল মাসুদ, সিটিটিসির সাবেক ডিসি মাহফুজুল আলম রাসেল, ডিএমপির সাবেক ডিসি জাহিদ তালুকদার, মতিঝিলের সাবেক ডিসি হায়াতুল ইসলাম, উত্তরার সাবেক ডিসি আশরাফুল আজিম, তেজগাঁওয়ের সাবেক ডিসি আজিমুল হক, লালবাগের ডিসি মাহবুব-উজ-জামান, সাবেক ডিসি জাফর হোসেন এবং সাবেক ডিসি হাফিজ আল ফারুক। তাঁদের সবাইকে ওএসডি করা হয়েছে।
ডিএমপির ১৪ জন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের (এডিসি) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ওয়ারী জোনের এডিসি নুরুল আমিন, সবুজবাগ জোনের সাবেক এডিসি গোবিন্দ চন্দ্র, ডিবির সাবেক এডিসি শাহেন শাহ, নিউমার্কেট জোনের এডিসি হাফিজ আল আসাদ, কোতোয়ালির সাবেক এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, লালবাগের শহিদুল ইসলাম, জুয়েল রানা, আরাফাত, নাজমুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, আফজাল হোসেন টুটুল, ফজলে এলাহী, রওশানুল হক সৈকত ও শাকিল মোহাম্মদ শামীম।
সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম রিফাত, শাহীনুর রহমান, শহীদুল হক, মিজানুর রহমান, তানজিল আহমেদ, গোলাম রুহানীসহ ২১ জন এসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির ৫০ থানার মধ্যে ১৭ থানার সাবেক ওসি, ১৪ জন পরিদর্শকসহ আরও ২৮ জন এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে নিহতের ঘটনায় সারা দেশের সঙ্গে ঢাকায়ও মামলা করা হচ্ছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে তাঁর আমলের মন্ত্রী-এমপিদের পাশাপাশি আসামি হচ্ছেন পুলিশের কর্মকর্তারাও। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে। তাঁর পরই রয়েছেন সদ্য বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আসামির তালিকায় নাম থাকা এসব পুলিশ সদস্যের অনেককে বাধ্যতামূলক অবসর, ওএসডি ও বরখাস্ত করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার এআইজি ইনামুল হক সাগর আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, যাদের নামে মামলা করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি মামলারও তদন্ত হচ্ছে। শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা দৃশ্যমান হবে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যেসব পুলিশ সদস্য কমান্ডিং পোস্টে ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই আগে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
আদালত ও থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত ডিএমপির ১৯ থানায় ১৩৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা প্রতিদিনই বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়।
মামলার তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ৩৮টি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এরপর সদ্য বিদায়ী আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের নামে করা হয়েছে ৩৬টি মামলা। এ ছাড়া ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১৮টি, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ২৭টি এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা করা হয়েছে।
সাবেক আরও দুই আইজিপির বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের মামলা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাবেক আইজিপি শহীদুল হকের বিরুদ্ধে ৭টি, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি গুমের মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি, সাবেক ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ডিএমপির কোতোয়ালি থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।
র্যাবের সদ্য সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধেও হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মিরপুর, রামপুরা, আদাবর, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থানায় একটি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
এ ছাড়াও অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার লুৎফুল কবির ও জামিল আহম্মেদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি করে হত্যা মামলা হয়েছে। আর র্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তারের বিরুদ্ধে ৫টি, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে ২টি ও ঢাকা রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক প্রলয় কুমার জোয়াদ্দারের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) সাবেক প্রধান এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে ডিএমপির নিউমার্কেট, সূত্রাপুর ও রামপুরা থানায় ৩টি এবং সিটিটিসির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়াও সাবেক ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার ও রিপন সরদারের বিরুদ্ধে উত্তরা পূর্ব ও রামপুরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার এস এম মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ডিএমপিতে ৮টি, ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের সাবেক যুগ্ম পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি রশিদুল হক, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মারুফ হোসেন সরদার এবং ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার সঞ্জিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় একটি করে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যা, হামলা ও লাশ গুমের অভিযোগে সাবেক ১৩ জন উপপুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের সাবেক ডিসি ইকবাল হোসাইনের বিরুদ্ধে ৮টি এবং ডিবির লালবাগ বিভাগের সাবেক ডিসি মশিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া বাকি ১১ জনের বিরুদ্ধে একটি করে মামলা হয়েছে। তারা হলেন ডিএমপির রমনা বিভাগের সাবেক ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ, ডিএমপির সাবেক ডিসি তানভীর সালেহীন, মতিঝিল গোয়েন্দা বিভাগের সাবেক ডিসি রাজীব আল মাসুদ, সিটিটিসির সাবেক ডিসি মাহফুজুল আলম রাসেল, ডিএমপির সাবেক ডিসি জাহিদ তালুকদার, মতিঝিলের সাবেক ডিসি হায়াতুল ইসলাম, উত্তরার সাবেক ডিসি আশরাফুল আজিম, তেজগাঁওয়ের সাবেক ডিসি আজিমুল হক, লালবাগের ডিসি মাহবুব-উজ-জামান, সাবেক ডিসি জাফর হোসেন এবং সাবেক ডিসি হাফিজ আল ফারুক। তাঁদের সবাইকে ওএসডি করা হয়েছে।
ডিএমপির ১৪ জন অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনারের (এডিসি) বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা করা হয়েছে। তাঁরা হলেন ওয়ারী জোনের এডিসি নুরুল আমিন, সবুজবাগ জোনের সাবেক এডিসি গোবিন্দ চন্দ্র, ডিবির সাবেক এডিসি শাহেন শাহ, নিউমার্কেট জোনের এডিসি হাফিজ আল আসাদ, কোতোয়ালির সাবেক এডিসি মুহিত কবির সেরনিয়াবাত, লালবাগের শহিদুল ইসলাম, জুয়েল রানা, আরাফাত, নাজমুল ইসলাম, সাব্বির রহমান, আফজাল হোসেন টুটুল, ফজলে এলাহী, রওশানুল হক সৈকত ও শাকিল মোহাম্মদ শামীম।
সহকারী কমিশনার রেফাতুল ইসলাম রিফাত, শাহীনুর রহমান, শহীদুল হক, মিজানুর রহমান, তানজিল আহমেদ, গোলাম রুহানীসহ ২১ জন এসির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
ডিএমপির ৫০ থানার মধ্যে ১৭ থানার সাবেক ওসি, ১৪ জন পরিদর্শকসহ আরও ২৮ জন এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে