জাহীদ রেজা নূর রূপপুর (পাবনা) থেকে ফিরে
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমরা পুরোনো বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চোখে পড়ল কেন্দ্রের বাইরে সারি সারি মোটরসাইকেল। অদ্ভুত দৃশ্য! মোটর-সাইকেলগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা, যেন ধুলোয় অপরিচ্ছন্ন হয়ে না যায়। চট করে মনে হলো, এ এক বিরাট পরিবর্তন!
রাস্তা থেকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বেশ কিছু কাঠামো দেখা যাচ্ছে। যার একটি যে রিয়্যাক্টার, সেটা সহজেই বোঝা যায়। গেটপাস দিয়ে কেউ কেউ ঢুকছে কেন্দ্রে, কেউ বের হচ্ছে। শাঁ করে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বাস। তাতে রুশ নাগরিকেরা যাচ্ছেন নিজস্ব আবাসে। সেখানে দুপুরের খাবার পর্ব সেরে আবার ফিরবেন কাজে।
সময় বেলা ১টা। আমাদের পথপ্রদর্শক বন্ধুর দেখা মেলে। তিনি জানিয়ে দেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত দুপুরের খাবারের বিরতি থাকে। এরপর আবার ফিরতে হয় কাজে।
গাড়ি ঘুরিয়ে আমরা ইপিজেডের পথে যেতে থাকি। সেদিকেই আমাদের থাকার জায়গা ঠিক হয়েছে। এক ধরনের রোমাঞ্চে ছেয়ে যায় মন। একটু পরেই আমরা এমন এক জায়গায় যাব, যা পরিণত হয়েছে এক টুকরো রাশিয়ায়। বহুদিনের পুরোনো একটি টানেলের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলে যায় অন্যদিকে। টানেলের ওপর দিয়ে চলে গেছে রেললাইন। এই রেলপথের সুবাদেই, আরও নির্দিষ্ট করে বললে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কারণেই পাকশী একসময় নানা জায়গার মানুষের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছিল। সেই পাকশীরই একটা গ্রাম রূপপুর। সেই রূপপুরে এ রকম একটি কেন্দ্র হবে, সেটাও বছর ষাট আগের কথা।
আমরা রিসোর্টে পোঁছাই। পুরো পথে মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকেরা হেঁটে, সাইকেলে, মোটরসাইকেলে কিংবা ইজিবাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছেন অথবা ফিরছেন। প্রত্যেকের চেহারাতেই তৃপ্তির রেশ। ব্যাগ-স্যুটকেস রেখে বিশ্রাম ছাড়াই গাড়ি ছুটে চলে গ্রিন সিটির দিকে।
গাড়ি ফের বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিল। এখানেই একটি বাড়ির দোতলায় খাবার দোকান। নাম ‘রুস কাফে’। বাংলায় লেখা আছে, তার সঙ্গে রুশ ভাষায়ও। এখান থেকে ছোট্ট রাশিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের শুরু। পাশেই একটা সেলুন, সেখানে রুশ ভাষায় লেখা আছে ‘পারিখমাখেরস্কায়া’। ছোট ছোট দোকানেবাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি রুশ ভাষায় লেখা নাম।
প্রাথমিকভাবে রাস্তার দুপাশে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়ে না। শেষবারের মতো যখন বাঁয়ে মোড় নিল গাড়িটি, তার কিছুক্ষণ পরেই চোখের সামনে ভেসে উঠল সুউচ্চ দালানগুলো। হ্যাঁ, এবার মনে হচ্ছে, আমরা আলাদা কোথাও এসেছি, যা এই এলাকার পুরো আবহ থেকে আলাদা। ঢাকার বাইরে কোনো শহরে একসঙ্গে এতগুলো উনিশতলা ভবন আছে কি না, আমার জানা নেই। এই বাড়িগুলোতেই তিন হাজারের বেশি রুশ নাগরিকের বাস। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গড়ে তোলার জন্য তাঁরা এসেছেন বাংলাদেশে।
ভবনগুলোয় ঢুকতে অনুমতি লাগে। খুব দরকার না হলে রুশদেরও বাইরে আসা বারণ। কিন্তু মানুষ তো সব সময়ই নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে ভালোবাসে। সেটাই আমাদের চোখে পড়ল। একটু পরপরই দেখা যায়, ললাট লিখন পড়েই রাস্তার ধারের দোকানগুলোয় ঢুকছেন রুশরা। তাঁরা কীভাবে কথাবার্তা চালান, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করি আমরা।
এখানে এসে কোন পরিবর্তনগুলো আমাদের চোখে পড়ে?
বিশাল অট্টালিকাগুলো মনে করিয়ে দেয় রাশিয়ার এক একটা মাইক্রোরাইয়নের কথা। সেসব মাইক্রোরাইয়ন যেন এক একটা শহর। সেই শহরের মধ্যেই আছে স্কুল, আছে দোকানপাট, আছে ব্যায়ামাগার, আছে পাঠাগার। জানতে ইচ্ছে করে, এই ভবনগুলোতেও সেই সব আছে কি না। স্কুলের বিষয়টি শুরুতেই খারিজ করে দিতে হলো। কারণ, এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই এসেছেন একা। পরিবার-পরিজন ফেলে।
বাড়িগুলোর বিপরীত দিকে রাস্তা পার হলেই গড়ে উঠেছে দোকানপাট। যেকোনো উন্নয়নের অনুষঙ্গ হিসেবেই এ ধরনের দোকানপাট গড়ে ওঠে। রয়েছে পরিকল্পিত স্থাপনা, রয়েছে অস্থায়ী সবজির মার্কেট। রয়েছে অসংখ্য ফলের দোকান। রূপপুরের বিশিষ্টজন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আগে এখানে বলতে গেলে ফলের ব্যবসা ছিলই না। কে আপেল, নাশপাতি, আঙুর কিনে খাবে?’ রুশরা এখানে আসার পর ব্যাপকভাবে ফলের দোকানের জন্ম হয়েছে। অনেকেই ফল বিক্রি করে ভাগ্য ফিরিয়েছেন।
পথে যে দোকান হয়েছে তার অনেকগুলোই খাবারের। কাপড়ের দোকানও আছে। সেখানে হাল ফ্যাশনের নানা কাপড়। আর আছে মুক্তোর জুয়েলারি। খাবার তালিকায় রয়েছে রুশ খাবার, বাংলাদেশি খাবার, চায়নিজ-থাই খাবার। কয়েকটি ক্লাব রয়েছে, যেখানে প্রবেশাধিকার শুধু রুশদের। যদিও লেখা আছে, ‘অনলি ফর ফরেনার্স’।
উনিশতলা ভবনগুলোর মূল ফটকের পাশে কম্বল আর গরম কাপড় নিয়ে বসে পড়েছেন একজন। বাংলাদেশের ফুটপাতের চিরাচরিত দৃশ্য। সেখানে এক এক করে রুশ নাগরিকেরা জড়ো হচ্ছেন। দরদাম করছেন। এই বিক্রেতারা নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই রুশ ভাষার প্রয়োজনীয় শব্দাবলি শিখে নিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ এতটাই নিখুঁতভাবে রুশ উচ্চারণ করেন যে মনেই হয় না, এটা তাঁদের মাতৃভাষা নয়। এই শিক্ষা শুধু নেট থেকে আহরণ করা হয়নি। রুশদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই তা শেখা। ভাষাতত্ত্বে বলা হয়, ভিনদেশি ভাষা ঠিকভাবে শেখার সেরা উপায় হলো সে ভাষায় যারা কথা বলে, তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া। এখানে সেই তত্ত্বের বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেল।
এখানেই প্রথম যে দুজন রাশানকে পাওয়া গেল, তাঁরা গল্প করছিলেন নিজেদের মধ্যে। কথা বলা যাবে কি না, সেটা জানতে চাইলে তারা বললেন, ‘কেন যাবে না?’
শুরু হলো গল্প।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আমরা পুরোনো বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। চোখে পড়ল কেন্দ্রের বাইরে সারি সারি মোটরসাইকেল। অদ্ভুত দৃশ্য! মোটর-সাইকেলগুলো কাপড় দিয়ে ঢাকা, যেন ধুলোয় অপরিচ্ছন্ন হয়ে না যায়। চট করে মনে হলো, এ এক বিরাট পরিবর্তন!
রাস্তা থেকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বেশ কিছু কাঠামো দেখা যাচ্ছে। যার একটি যে রিয়্যাক্টার, সেটা সহজেই বোঝা যায়। গেটপাস দিয়ে কেউ কেউ ঢুকছে কেন্দ্রে, কেউ বের হচ্ছে। শাঁ করে বেরিয়ে যাচ্ছে প্রাইভেট বাস। তাতে রুশ নাগরিকেরা যাচ্ছেন নিজস্ব আবাসে। সেখানে দুপুরের খাবার পর্ব সেরে আবার ফিরবেন কাজে।
সময় বেলা ১টা। আমাদের পথপ্রদর্শক বন্ধুর দেখা মেলে। তিনি জানিয়ে দেন, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত দুপুরের খাবারের বিরতি থাকে। এরপর আবার ফিরতে হয় কাজে।
গাড়ি ঘুরিয়ে আমরা ইপিজেডের পথে যেতে থাকি। সেদিকেই আমাদের থাকার জায়গা ঠিক হয়েছে। এক ধরনের রোমাঞ্চে ছেয়ে যায় মন। একটু পরেই আমরা এমন এক জায়গায় যাব, যা পরিণত হয়েছে এক টুকরো রাশিয়ায়। বহুদিনের পুরোনো একটি টানেলের ভেতর দিয়ে গাড়ি চলে যায় অন্যদিকে। টানেলের ওপর দিয়ে চলে গেছে রেললাইন। এই রেলপথের সুবাদেই, আরও নির্দিষ্ট করে বললে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কারণেই পাকশী একসময় নানা জায়গার মানুষের মিলনস্থলে পরিণত হয়েছিল। সেই পাকশীরই একটা গ্রাম রূপপুর। সেই রূপপুরে এ রকম একটি কেন্দ্র হবে, সেটাও বছর ষাট আগের কথা।
আমরা রিসোর্টে পোঁছাই। পুরো পথে মাঝে মাঝেই চোখে পড়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকেরা হেঁটে, সাইকেলে, মোটরসাইকেলে কিংবা ইজিবাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছেন অথবা ফিরছেন। প্রত্যেকের চেহারাতেই তৃপ্তির রেশ। ব্যাগ-স্যুটকেস রেখে বিশ্রাম ছাড়াই গাড়ি ছুটে চলে গ্রিন সিটির দিকে।
গাড়ি ফের বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিল। এখানেই একটি বাড়ির দোতলায় খাবার দোকান। নাম ‘রুস কাফে’। বাংলায় লেখা আছে, তার সঙ্গে রুশ ভাষায়ও। এখান থেকে ছোট্ট রাশিয়ার সঙ্গে পরিচয়ের শুরু। পাশেই একটা সেলুন, সেখানে রুশ ভাষায় লেখা আছে ‘পারিখমাখেরস্কায়া’। ছোট ছোট দোকানেবাংলা, ইংরেজির পাশাপাশি রুশ ভাষায় লেখা নাম।
প্রাথমিকভাবে রাস্তার দুপাশে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন চোখে পড়ে না। শেষবারের মতো যখন বাঁয়ে মোড় নিল গাড়িটি, তার কিছুক্ষণ পরেই চোখের সামনে ভেসে উঠল সুউচ্চ দালানগুলো। হ্যাঁ, এবার মনে হচ্ছে, আমরা আলাদা কোথাও এসেছি, যা এই এলাকার পুরো আবহ থেকে আলাদা। ঢাকার বাইরে কোনো শহরে একসঙ্গে এতগুলো উনিশতলা ভবন আছে কি না, আমার জানা নেই। এই বাড়িগুলোতেই তিন হাজারের বেশি রুশ নাগরিকের বাস। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গড়ে তোলার জন্য তাঁরা এসেছেন বাংলাদেশে।
ভবনগুলোয় ঢুকতে অনুমতি লাগে। খুব দরকার না হলে রুশদেরও বাইরে আসা বারণ। কিন্তু মানুষ তো সব সময়ই নিষেধাজ্ঞা ভাঙতে ভালোবাসে। সেটাই আমাদের চোখে পড়ল। একটু পরপরই দেখা যায়, ললাট লিখন পড়েই রাস্তার ধারের দোকানগুলোয় ঢুকছেন রুশরা। তাঁরা কীভাবে কথাবার্তা চালান, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করি আমরা।
এখানে এসে কোন পরিবর্তনগুলো আমাদের চোখে পড়ে?
বিশাল অট্টালিকাগুলো মনে করিয়ে দেয় রাশিয়ার এক একটা মাইক্রোরাইয়নের কথা। সেসব মাইক্রোরাইয়ন যেন এক একটা শহর। সেই শহরের মধ্যেই আছে স্কুল, আছে দোকানপাট, আছে ব্যায়ামাগার, আছে পাঠাগার। জানতে ইচ্ছে করে, এই ভবনগুলোতেও সেই সব আছে কি না। স্কুলের বিষয়টি শুরুতেই খারিজ করে দিতে হলো। কারণ, এখানে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই এসেছেন একা। পরিবার-পরিজন ফেলে।
বাড়িগুলোর বিপরীত দিকে রাস্তা পার হলেই গড়ে উঠেছে দোকানপাট। যেকোনো উন্নয়নের অনুষঙ্গ হিসেবেই এ ধরনের দোকানপাট গড়ে ওঠে। রয়েছে পরিকল্পিত স্থাপনা, রয়েছে অস্থায়ী সবজির মার্কেট। রয়েছে অসংখ্য ফলের দোকান। রূপপুরের বিশিষ্টজন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ কথা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ‘আগে এখানে বলতে গেলে ফলের ব্যবসা ছিলই না। কে আপেল, নাশপাতি, আঙুর কিনে খাবে?’ রুশরা এখানে আসার পর ব্যাপকভাবে ফলের দোকানের জন্ম হয়েছে। অনেকেই ফল বিক্রি করে ভাগ্য ফিরিয়েছেন।
পথে যে দোকান হয়েছে তার অনেকগুলোই খাবারের। কাপড়ের দোকানও আছে। সেখানে হাল ফ্যাশনের নানা কাপড়। আর আছে মুক্তোর জুয়েলারি। খাবার তালিকায় রয়েছে রুশ খাবার, বাংলাদেশি খাবার, চায়নিজ-থাই খাবার। কয়েকটি ক্লাব রয়েছে, যেখানে প্রবেশাধিকার শুধু রুশদের। যদিও লেখা আছে, ‘অনলি ফর ফরেনার্স’।
উনিশতলা ভবনগুলোর মূল ফটকের পাশে কম্বল আর গরম কাপড় নিয়ে বসে পড়েছেন একজন। বাংলাদেশের ফুটপাতের চিরাচরিত দৃশ্য। সেখানে এক এক করে রুশ নাগরিকেরা জড়ো হচ্ছেন। দরদাম করছেন। এই বিক্রেতারা নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই রুশ ভাষার প্রয়োজনীয় শব্দাবলি শিখে নিয়েছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ এতটাই নিখুঁতভাবে রুশ উচ্চারণ করেন যে মনেই হয় না, এটা তাঁদের মাতৃভাষা নয়। এই শিক্ষা শুধু নেট থেকে আহরণ করা হয়নি। রুশদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই তা শেখা। ভাষাতত্ত্বে বলা হয়, ভিনদেশি ভাষা ঠিকভাবে শেখার সেরা উপায় হলো সে ভাষায় যারা কথা বলে, তাদের সঙ্গে মিশে যাওয়া। এখানে সেই তত্ত্বের বাস্তব উদাহরণ পাওয়া গেল।
এখানেই প্রথম যে দুজন রাশানকে পাওয়া গেল, তাঁরা গল্প করছিলেন নিজেদের মধ্যে। কথা বলা যাবে কি না, সেটা জানতে চাইলে তারা বললেন, ‘কেন যাবে না?’
শুরু হলো গল্প।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে