মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা
দেশে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসনভিত্তিক ভোটারের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে কোনো আসনে ভোটার রয়েছে দুই লাখের সামান্য কিছু বেশি; আবার কোনো আসনে রয়েছে প্রায় আট লাখ।
ইসির হালনাগাদ ভোটার তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২ লাখের বেশি কিন্তু ৩ লাখের কম এমন ভোটারের আসন রয়েছে ৩৩টি; ৩ লাখের বেশি কিন্তু ৪ লাখের কম এমন আসন রয়েছে ১৩০টি; ৪ লাখের বেশি কিন্তু ৫ লাখের কম এমন আসন আছে ১০৭টি; ৫ লাখের বেশি কিন্তু ৬ লাখের কম ভোটারের আসন আছে ২১টি। এ ছাড়া ৬ লাখের বেশি, তবে ৭ লাখের কম ভোটারের এমন আসন রয়েছে ৭টি এবং ৭ লাখের বেশি, তবে ৮ লাখের কম এমন আসন রয়েছে ২টি।
ইসি ইতিমধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় হতে হবে ১০ টাকা। কিন্তু আসনভেদে ভোটারের সংখ্যায় যে পার্থক্য, তাতে ‘২৫ লাখ’ ও ‘১০ টাকার’ হিসাব মেনে ভোট করা বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার সব থেকে কম ভোটার ঝালকাঠি-১ আসনে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ১২ জন। আসনটিতে একজন প্রার্থী ভোটারপ্রতি ১০ টাকা খরচ করলেও ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে না। অন্যদিকে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার গাজীপুর-২ আসনে। এই আসনের ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৬ জন। আসনটির একজন প্রার্থী ২৫ লাখ টাকার নির্দেশনা মানলে ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৩ টাকা ২১ পয়সা খরচ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে কথা হলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
ফলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে ভোটার বেশি থাকে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ভোটার কম থাকে। আর ব্যয়টা যেহেতু ভোটারপ্রতি ১০ টাকা, এ ক্ষেত্রে কোনো আসনের প্রার্থীরা কোটি টাকার মতো খরচ করার সুযোগ পান, অনেকে আবার ১০ লাখ টাকাও খরচ করতে পারেন না। এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুব একটা উপযোগী না। খরচের বিষয়ে প্রার্থীদের একটি প্রতিবেদন দিতে হয়। এটি অনেকটাই মিথ্যা তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনে কোনো সত্য থাকে না। কারণ, নির্বাচন কমিশনের এটি মনিটরিং করার কোনো ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা নেই।
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আরও বলেন, ‘সঠিক তথ্যের পরিবর্তে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ফলে এই আইনটা দিয়ে টাকা ও পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণের যে প্রয়াস করা হয়েছিল, এটা পুরোটাই অকেজো হয়ে গেছে, ব্যর্থ হয়ে গেছে বলতে পারেন।’
ইসির তথ্যমতে, ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি; বাকিগুলোয় পুরুষ ভোটারের আধিক্য। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেরা যেভাবে ভোটার হচ্ছেন, মেয়েরা হয়তো সেভাবে হচ্ছেন না বা আগ্রহী হয়ে উঠছেন না। আবার বয়স্ক নারী যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে হয়তো মেসেজটা ওইভাবে যাচ্ছে না। অনেকের হয়তো এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রয়োজন হচ্ছে না, সে জন্য ভোটারও হচ্ছে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কবিতা খানম আরও বলেন, ‘যারা মধ্যবিত্তের নিচের লেভেলে বসবাস করে তারা কিন্তু ভোট দিতে আগ্রহী থাকে। আবার ২০০৮ সাল থেকে ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির একটা সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছে। আমার কাছে আসা এ রকম অনেককে দেখেছি, যাদের এনআইডিও নেই, ভোটারও হননি। পরে এনআইডির জন্য ভোটার হয়েছে।’
ভোটার তালিকা বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিজড়া ভোটার সব থেকে বেশি ঢাকা অঞ্চলে ১৬৬ জন। আর সব থেকে কম সিলেট অঞ্চলে ৪০ জন। আর ৫২ আসনে কোনো হিজড়া ভোটার নেই।
ইসির দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯ জন। নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটার বেশি রয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১ জন। এ ছাড়া তালিকায় ৮৪৮ জন হিজড়া ভোটারও রয়েছেন।
দেশে এখন মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন (ইসি) আসনভিত্তিক ভোটারের যে হিসাব প্রকাশ করেছে, তাতে কোনো আসনে ভোটার রয়েছে দুই লাখের সামান্য কিছু বেশি; আবার কোনো আসনে রয়েছে প্রায় আট লাখ।
ইসির হালনাগাদ ভোটার তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২ লাখের বেশি কিন্তু ৩ লাখের কম এমন ভোটারের আসন রয়েছে ৩৩টি; ৩ লাখের বেশি কিন্তু ৪ লাখের কম এমন আসন রয়েছে ১৩০টি; ৪ লাখের বেশি কিন্তু ৫ লাখের কম এমন আসন আছে ১০৭টি; ৫ লাখের বেশি কিন্তু ৬ লাখের কম ভোটারের আসন আছে ২১টি। এ ছাড়া ৬ লাখের বেশি, তবে ৭ লাখের কম ভোটারের এমন আসন রয়েছে ৭টি এবং ৭ লাখের বেশি, তবে ৮ লাখের কম এমন আসন রয়েছে ২টি।
ইসি ইতিমধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় হতে হবে ১০ টাকা। কিন্তু আসনভেদে ভোটারের সংখ্যায় যে পার্থক্য, তাতে ‘২৫ লাখ’ ও ‘১০ টাকার’ হিসাব মেনে ভোট করা বেশ কঠিন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার সব থেকে কম ভোটার ঝালকাঠি-১ আসনে। এই আসনে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১২ হাজার ১২ জন। আসনটিতে একজন প্রার্থী ভোটারপ্রতি ১০ টাকা খরচ করলেও ২৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে না। অন্যদিকে এবার সবচেয়ে বেশি ভোটার গাজীপুর-২ আসনে। এই আসনের ভোটার সংখ্যা ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৬ জন। আসনটির একজন প্রার্থী ২৫ লাখ টাকার নির্দেশনা মানলে ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৩ টাকা ২১ পয়সা খরচ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে কথা হলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়।
ফলে ঢাকার মতো ঘনবসতিপূর্ণ শহরে ভোটার বেশি থাকে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে ভোটার কম থাকে। আর ব্যয়টা যেহেতু ভোটারপ্রতি ১০ টাকা, এ ক্ষেত্রে কোনো আসনের প্রার্থীরা কোটি টাকার মতো খরচ করার সুযোগ পান, অনেকে আবার ১০ লাখ টাকাও খরচ করতে পারেন না। এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি খুব একটা উপযোগী না। খরচের বিষয়ে প্রার্থীদের একটি প্রতিবেদন দিতে হয়। এটি অনেকটাই মিথ্যা তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন। এই প্রতিবেদনে কোনো সত্য থাকে না। কারণ, নির্বাচন কমিশনের এটি মনিটরিং করার কোনো ক্ষমতা বা সুযোগ-সুবিধা নেই।
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল আরও বলেন, ‘সঠিক তথ্যের পরিবর্তে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। ফলে এই আইনটা দিয়ে টাকা ও পেশিশক্তি নিয়ন্ত্রণের যে প্রয়াস করা হয়েছিল, এটা পুরোটাই অকেজো হয়ে গেছে, ব্যর্থ হয়ে গেছে বলতে পারেন।’
ইসির তথ্যমতে, ৩০০ আসনের মধ্যে ৬৪টিতে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটার বেশি; বাকিগুলোয় পুরুষ ভোটারের আধিক্য। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন প্রজন্মের ছেলেরা যেভাবে ভোটার হচ্ছেন, মেয়েরা হয়তো সেভাবে হচ্ছেন না বা আগ্রহী হয়ে উঠছেন না। আবার বয়স্ক নারী যাঁরা আছেন, তাঁদের কাছে হয়তো মেসেজটা ওইভাবে যাচ্ছে না। অনেকের হয়তো এখনো জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) প্রয়োজন হচ্ছে না, সে জন্য ভোটারও হচ্ছে না। মেয়েদের ক্ষেত্রে এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক নয়।
কবিতা খানম আরও বলেন, ‘যারা মধ্যবিত্তের নিচের লেভেলে বসবাস করে তারা কিন্তু ভোট দিতে আগ্রহী থাকে। আবার ২০০৮ সাল থেকে ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির একটা সম্পর্ক তৈরি করা হয়েছে। আমার কাছে আসা এ রকম অনেককে দেখেছি, যাদের এনআইডিও নেই, ভোটারও হননি। পরে এনআইডির জন্য ভোটার হয়েছে।’
ভোটার তালিকা বিশ্লেষণ করে আরও দেখা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হিজড়া ভোটার সব থেকে বেশি ঢাকা অঞ্চলে ১৬৬ জন। আর সব থেকে কম সিলেট অঞ্চলে ৪০ জন। আর ৫২ আসনে কোনো হিজড়া ভোটার নেই।
ইসির দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৯৩৭ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭২০ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৯ জন। নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটার বেশি রয়েছে ১৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১ জন। এ ছাড়া তালিকায় ৮৪৮ জন হিজড়া ভোটারও রয়েছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে