বিনোদন ডেস্ক
গান লেখা, সুর করা, সিনেমা নির্মাণ—সব ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন আব্বু (গাজী মাজহারুল আনোয়ার)। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ, ভালো মনের মানুষ। কখনোই অহংকার করতেন না। সবার সঙ্গে মিশতে ভালোবাসতেন। সম্মানহানি হবে—এমন কাজ কখনোই করতেন না, সন্তানদেরও করতে দিতেন না। তাঁর মধ্যে অসম্ভব কৃতজ্ঞতাবোধ ছিল।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যাঁদের সহায়তা পেয়েছেন, সব সময় তাঁদের স্মরণ করতেন। বিশেষ করে সত্য সাহা, যাঁর হাত ধরে মিডিয়ায় তাঁর পথচলা শুরু হয়েছিল। আব্বু বলতেন, ‘সত্য সাহার কারণেই আমি গাজী মাজহারুল আনোয়ার হতে পেরেছি।’
ছোটবেলা থেকেই আব্বু ছিলেন আমার ও আমার ভাইয়ের পুরো পৃথিবী। তখন থেকেই দেখেছি, আব্বু কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সকালে বাসা থেকে বের হতেন, ফিরতেন রাতে। আমি অপেক্ষা করতাম। সারা দিন যা যা করেছি তা আব্বুকে না বলে ঘুমোতে পারতাম না। যত বড় হয়েছি, আব্বুর সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে। তিনি গান নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করতেন। দেখা যেত, বাসায় পায়চারি করছেন, এর মাঝেই দুটো লাইন মাথায় এল। তখন আমাকে বলতেন, ‘মা এই সুরটা তুলে রাখো তো।’ যখন কাজে বসতেন, আমি সেটা শোনাতাম। এরপর পরিমার্জন করে তৈরি হতো নতুন গান। এমন অনেক কালজয়ী গান আছে, যেটা প্রথম আমি গেয়েছি। পরে অন্য শিল্পীদের কণ্ঠে উঠেছে।
আমি যখন গান নিয়ে মনোযোগী হয়ে পড়লাম, আব্বু বললেন, আগে পড়ালেখা। বিয়ের পর বললেন, আগে সংসার। গানটা আমার আর নিয়মিত করা হলো না। তবে আব্বুর জন্যই আজ আমি সুশিক্ষিত ও সুন্দরভাবে সংসার করছি। জীবনটা গুছিয়ে নিতে পেরেছি। গর্ব হয় যখন ভাবি, আমি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সন্তান।
আব্বু মারা যান ৪ সেপ্টেম্বর। আগের দিন ফোনে তাঁকে বললাম, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই যাচ্ছি। সেখানে ১০ দিন থেকে বাংলাদেশে ফিরব। তিনি বললেন, দুবাই নেমেই যেন তাঁকে ফোন করি। বিমান থেকে নেমেই ফেসবুকে দেখলাম, আব্বু নেই। আমার বুকের ভেতরটা গুঁড়িয়ে গেল, চোখটা ঝাপসা হয়ে এল। দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসতে সময় লেগেছিল ৫ ঘণ্টার মতো। মনে হচ্ছিল, আমি যেন পাঁচ যুগের বেশি সময় ধরে বিমানে আছি।
আব্বু চলে যাওয়ার পর তাঁর গানগুলো সংরক্ষণে কাজ করছি। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা গান নিয়ে ‘অল্প কথার গল্প গান’ বইয়ের তিনটি সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে। আরও কাজ চলছে। আমার জন্য তিনি ১৭টি গান লিখে গেছেন। সেগুলো প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। ৫টি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। মিউজিক ভিডিও আকারে ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ করব। তাঁর নামে একটি মিউজিক একাডেমি চালু করার পরিকল্পনা করছি। সরকারের কাছে আব্বুর নামে একটি সড়ক ও পাঠ্যপুস্তকে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান করেছি। তথ্যমন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
গান লেখা, সুর করা, সিনেমা নির্মাণ—সব ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন আব্বু (গাজী মাজহারুল আনোয়ার)। তিনি ছিলেন মাটির মানুষ, ভালো মনের মানুষ। কখনোই অহংকার করতেন না। সবার সঙ্গে মিশতে ভালোবাসতেন। সম্মানহানি হবে—এমন কাজ কখনোই করতেন না, সন্তানদেরও করতে দিতেন না। তাঁর মধ্যে অসম্ভব কৃতজ্ঞতাবোধ ছিল।
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যাঁদের সহায়তা পেয়েছেন, সব সময় তাঁদের স্মরণ করতেন। বিশেষ করে সত্য সাহা, যাঁর হাত ধরে মিডিয়ায় তাঁর পথচলা শুরু হয়েছিল। আব্বু বলতেন, ‘সত্য সাহার কারণেই আমি গাজী মাজহারুল আনোয়ার হতে পেরেছি।’
ছোটবেলা থেকেই আব্বু ছিলেন আমার ও আমার ভাইয়ের পুরো পৃথিবী। তখন থেকেই দেখেছি, আব্বু কাজ নিয়ে ব্যস্ত। সকালে বাসা থেকে বের হতেন, ফিরতেন রাতে। আমি অপেক্ষা করতাম। সারা দিন যা যা করেছি তা আব্বুকে না বলে ঘুমোতে পারতাম না। যত বড় হয়েছি, আব্বুর সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে। তিনি গান নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা করতেন। দেখা যেত, বাসায় পায়চারি করছেন, এর মাঝেই দুটো লাইন মাথায় এল। তখন আমাকে বলতেন, ‘মা এই সুরটা তুলে রাখো তো।’ যখন কাজে বসতেন, আমি সেটা শোনাতাম। এরপর পরিমার্জন করে তৈরি হতো নতুন গান। এমন অনেক কালজয়ী গান আছে, যেটা প্রথম আমি গেয়েছি। পরে অন্য শিল্পীদের কণ্ঠে উঠেছে।
আমি যখন গান নিয়ে মনোযোগী হয়ে পড়লাম, আব্বু বললেন, আগে পড়ালেখা। বিয়ের পর বললেন, আগে সংসার। গানটা আমার আর নিয়মিত করা হলো না। তবে আব্বুর জন্যই আজ আমি সুশিক্ষিত ও সুন্দরভাবে সংসার করছি। জীবনটা গুছিয়ে নিতে পেরেছি। গর্ব হয় যখন ভাবি, আমি গাজী মাজহারুল আনোয়ারের সন্তান।
আব্বু মারা যান ৪ সেপ্টেম্বর। আগের দিন ফোনে তাঁকে বললাম, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই যাচ্ছি। সেখানে ১০ দিন থেকে বাংলাদেশে ফিরব। তিনি বললেন, দুবাই নেমেই যেন তাঁকে ফোন করি। বিমান থেকে নেমেই ফেসবুকে দেখলাম, আব্বু নেই। আমার বুকের ভেতরটা গুঁড়িয়ে গেল, চোখটা ঝাপসা হয়ে এল। দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসতে সময় লেগেছিল ৫ ঘণ্টার মতো। মনে হচ্ছিল, আমি যেন পাঁচ যুগের বেশি সময় ধরে বিমানে আছি।
আব্বু চলে যাওয়ার পর তাঁর গানগুলো সংরক্ষণে কাজ করছি। ইতিমধ্যে তাঁর লেখা গান নিয়ে ‘অল্প কথার গল্প গান’ বইয়ের তিনটি সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে। আরও কাজ চলছে। আমার জন্য তিনি ১৭টি গান লিখে গেছেন। সেগুলো প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। ৫টি গানের রেকর্ডিং সম্পন্ন হয়েছে। মিউজিক ভিডিও আকারে ধারাবাহিকভাবে গানগুলো প্রকাশ করব। তাঁর নামে একটি মিউজিক একাডেমি চালু করার পরিকল্পনা করছি। সরকারের কাছে আব্বুর নামে একটি সড়ক ও পাঠ্যপুস্তকে তাঁকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান করেছি। তথ্যমন্ত্রী মহোদয় এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে