হোসেন রায়হান, পঞ্চগড়
কক্ষের ভেতর রাখা বিভিন্ন শিলাপাথর। এসবের আকৃতিও ভিন্ন। কোনোটি গোল, কোনোটি লম্বা। অনেক পাথরে আঁকা রয়েছে সাংকেতিক চিহ্ন। নদীতে পাওয়া দুটি ডিঙি নৌকাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কক্ষে। এমন চিত্র দেখা যাবে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে অবস্থিত জাদুঘরে ঢুকলে। এটি আসলে একটি পাথরের জাদুঘর। কেউ কেউ একে রকস মিউজিয়াম বলে অভিহিত করেন।
১৯৯৭ সালে ওই কলেজের অভ্যন্তরে তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজমুল হক গড়ে তোলেন জাদুঘরটি। এই অঞ্চলের ভূ-বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধান, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নৃতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়।
জাদুঘরের বাইরে রাখা হয়েছে বড় আকারের নানান পাথর। প্রতিটি পাথরের নাম ও সংগ্রহের পদ্ধতি লেখা রয়েছে সাইনবোর্ডে। জাদুঘরের ভেতর উন্মুক্ত গ্যালারিতে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় পাথর। এখানে একটি জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালাও স্থাপন করা হয়েছে। এতে রয়েছে পঞ্চগড় অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং ৩০০ থেকে ২ হাজার বছরের পুরোনো ইমারতের ইট, পাথরের মূর্তি ও পোড়ামাটির নকশা।
স্থানীয় লোকজন জানান, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত কয়েকটি বড় আকৃতির পাথরে নিয়মিত পূজা নিবেদন করা হতো। কয়েকটি পাথর সম্পর্কে প্রচলিত ছিল অলৌকিক কাহিনি। একটি পাথরের নাম ছিল ‘পাথর ঠাকুর’। বড় কয়েকটি পাথর সম্পর্কে স্থানীয় মানুষের ছিল খুব ভীতি। পাথর মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছে, এমন কথা প্রচলিত ছিল স্থানীয় অধিবাসীদের মনে।
পঞ্চগড় রকস মিউজিয়ামে রক্ষিত কোনো কোনো পাথরে রয়েছে নান্দনিক কারুকাজ। একটি পাথরে খোদিত রয়েছে ‘তীর-ধনুক’ ও দেবীর চোখের চিত্র। একটিতে খোদিত রয়েছে ‘শ্রী’ শব্দটি, অন্য একটি পাথরে খোদাই করা আছে তিব্বতি-চায়নিজ বর্ণমালা।
পাথরগুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, পঞ্চগড় অঞ্চলে নব্য প্রস্তরযুগের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ ভালোভাবেই বিস্তার লাভ করেছিল।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামস্ রায়হান হৃদি বলেন, ‘জেলার প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে এই রকস মিউজিয়াম একটি গবেষণার কেন্দ্র হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।’
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘সবার জন্য উন্মুক্ত এই জাদুঘর দেখতে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আসছে। কিন্তু এটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা তেমন দেখা যায় না। মিউজিয়ামটি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।’
কক্ষের ভেতর রাখা বিভিন্ন শিলাপাথর। এসবের আকৃতিও ভিন্ন। কোনোটি গোল, কোনোটি লম্বা। অনেক পাথরে আঁকা রয়েছে সাংকেতিক চিহ্ন। নদীতে পাওয়া দুটি ডিঙি নৌকাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে কক্ষে। এমন চিত্র দেখা যাবে পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজে অবস্থিত জাদুঘরে ঢুকলে। এটি আসলে একটি পাথরের জাদুঘর। কেউ কেউ একে রকস মিউজিয়াম বলে অভিহিত করেন।
১৯৯৭ সালে ওই কলেজের অভ্যন্তরে তৎকালীন অধ্যক্ষ নাজমুল হক গড়ে তোলেন জাদুঘরটি। এই অঞ্চলের ভূ-বৈশিষ্ট্য অনুসন্ধান, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নৃতাত্ত্বিক নিদর্শন সংগ্রহ করার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়।
জাদুঘরের বাইরে রাখা হয়েছে বড় আকারের নানান পাথর। প্রতিটি পাথরের নাম ও সংগ্রহের পদ্ধতি লেখা রয়েছে সাইনবোর্ডে। জাদুঘরের ভেতর উন্মুক্ত গ্যালারিতে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের ছোট-বড় পাথর। এখানে একটি জাতিতাত্ত্বিক সংগ্রহশালাও স্থাপন করা হয়েছে। এতে রয়েছে পঞ্চগড় অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং ৩০০ থেকে ২ হাজার বছরের পুরোনো ইমারতের ইট, পাথরের মূর্তি ও পোড়ামাটির নকশা।
স্থানীয় লোকজন জানান, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগৃহীত কয়েকটি বড় আকৃতির পাথরে নিয়মিত পূজা নিবেদন করা হতো। কয়েকটি পাথর সম্পর্কে প্রচলিত ছিল অলৌকিক কাহিনি। একটি পাথরের নাম ছিল ‘পাথর ঠাকুর’। বড় কয়েকটি পাথর সম্পর্কে স্থানীয় মানুষের ছিল খুব ভীতি। পাথর মানুষকে স্বপ্ন দেখিয়েছে, এমন কথা প্রচলিত ছিল স্থানীয় অধিবাসীদের মনে।
পঞ্চগড় রকস মিউজিয়ামে রক্ষিত কোনো কোনো পাথরে রয়েছে নান্দনিক কারুকাজ। একটি পাথরে খোদিত রয়েছে ‘তীর-ধনুক’ ও দেবীর চোখের চিত্র। একটিতে খোদিত রয়েছে ‘শ্রী’ শব্দটি, অন্য একটি পাথরে খোদাই করা আছে তিব্বতি-চায়নিজ বর্ণমালা।
পাথরগুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, পঞ্চগড় অঞ্চলে নব্য প্রস্তরযুগের সংস্কৃতি ও জীবনাচরণ ভালোভাবেই বিস্তার লাভ করেছিল।
কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামস্ রায়হান হৃদি বলেন, ‘জেলার প্রাগৈতিহাসিক প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে এই রকস মিউজিয়াম একটি গবেষণার কেন্দ্র হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।’
পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘সবার জন্য উন্মুক্ত এই জাদুঘর দেখতে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন আসছে। কিন্তু এটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা তেমন দেখা যায় না। মিউজিয়ামটি ঘিরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে