শরীয়তপুর প্রতিনিধি
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের দুলুখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বুধবার বিদ্যালয়ে আগুন দেয়। এতে পুড়ে যায় বিদ্যালয়ের ৩টি শ্রেণি কক্ষের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও অন্য আসবাবপত্র। ফলে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষ। ফলে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পরতে হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। পুড়ে বিদ্যালয়ের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের চেষ্টা করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পাশে একটি কক্ষে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। পাশপাশি রাখা কয়েকটি বেঞ্চে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। একটি মাত্র কক্ষ হওয়ায় অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। দলের সদস্যরা আগুনে পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত আসবাবপত্রের তালিকা প্রস্তুত করেন। দলের অন্য সদস্যরা বিদ্যালয় কক্ষের ভেতর পুড়ে যাওয়া বেঞ্চ, টেবিল, আলমারিসহ অন্য আসবাবপত্র বাইরে আনার চেষ্টা করেন। যে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ পুড়ে যায়নি তা আলাদা করে রাখা হয়। পরে কক্ষগুলো পরিষ্কার করে সেখানে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে শিগগিরই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা অভিভাবকদের।
৫ম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আক্তার জানায়, বিদ্যালয়ের পাশেই আমাদের বাড়ি। গত দিন বোমার শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি বিদ্যালয়টি পুড়ে যাচ্ছে। দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আমরা এখন কীভাবে লেখাপড়া করব?’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, ‘নির্বাচনের দিন অন্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলাম। রাতেই বিদ্যালয় পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সকালে এসে দেখি ৩টি শ্রেণি কক্ষ পুড়ে গেছে। অস্থায়ী ভাবে শিশুদের ক্লাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ মেরামত করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হতে পারে।’
এ বিষয়ে কথা হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগুনে বিদ্যালয়ের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুড়ে যাওয়া ভবনটি পুরোনো। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। দ্রুত নিলামে মাধ্যমে পুরোনো এই ভবনটি বিক্রয় করা হবে।’
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের দুলুখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত বুধবার বিদ্যালয়ে আগুন দেয়। এতে পুড়ে যায় বিদ্যালয়ের ৩টি শ্রেণি কক্ষের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ও অন্য আসবাবপত্র। ফলে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিদ্যালয়ের ৩টি কক্ষ। ফলে নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিপাকে পরতে হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেন। পুড়ে বিদ্যালয়ের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরূপণের চেষ্টা করেন তাঁরা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির পাশে একটি কক্ষে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। পাশপাশি রাখা কয়েকটি বেঞ্চে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। একটি মাত্র কক্ষ হওয়ায় অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। দলের সদস্যরা আগুনে পুড়ে যাওয়া বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষে প্রবেশ করেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত আসবাবপত্রের তালিকা প্রস্তুত করেন। দলের অন্য সদস্যরা বিদ্যালয় কক্ষের ভেতর পুড়ে যাওয়া বেঞ্চ, টেবিল, আলমারিসহ অন্য আসবাবপত্র বাইরে আনার চেষ্টা করেন। যে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ পুড়ে যায়নি তা আলাদা করে রাখা হয়। পরে কক্ষগুলো পরিষ্কার করে সেখানে ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তবে শিগগিরই বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা অভিভাবকদের।
৫ম শ্রেণির ছাত্রী সামিয়া আক্তার জানায়, বিদ্যালয়ের পাশেই আমাদের বাড়ি। গত দিন বোমার শব্দ শুনে বাইরে এসে দেখি বিদ্যালয়টি পুড়ে যাচ্ছে। দেখে খুবই খারাপ লেগেছে। আমরা এখন কীভাবে লেখাপড়া করব?’
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার বলেন, ‘নির্বাচনের দিন অন্য কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলাম। রাতেই বিদ্যালয় পুড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সকালে এসে দেখি ৩টি শ্রেণি কক্ষ পুড়ে গেছে। অস্থায়ী ভাবে শিশুদের ক্লাস চালিয়ে নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। করোনার জন্য শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার অনেক ক্ষতি হয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষ মেরামত করে পাঠদানের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। তা না হলে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হতে পারে।’
এ বিষয়ে কথা হয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগুনে বিদ্যালয়ের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুড়ে যাওয়া ভবনটি পুরোনো। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হবে। দ্রুত নিলামে মাধ্যমে পুরোনো এই ভবনটি বিক্রয় করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৮ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে