মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
স্ট্রবেরি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা। একসময় কৃষকেরা ভাবেননি, বিদেশি জাতের এ ফল চাষ হবে জয়পুরহাটের মাটিতে। অথচ কৃষকেরা এখন স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন ৭৩ জন কৃষক। এ বছর নতুন করে আরও ৯ জন কৃষকসহ ৮২ জন স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
এখন এই এলাকার কৃষকেরা স্ট্রবেরি চাষ করে চার গুণ লাভের মুখ দেখেছেন।
সরেজমিন জয়পুরহাটের জামালপুর ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের চান্দা মাঠে দেখা যায়, খেতের পর খেত জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে একেকটি ফসলের মাঠ। এর ভেতরেই কেউ করছেন স্ট্রবেরির পরিচর্যা, কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ কেউ তুলছেন স্ট্রবেরি ফল।
কালীবাড়ি গ্রামের সফল স্ট্রবেরিচাষি ইউনুস আলী সাগিদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ থেকে ৯ বছর আগে কৃষক আব্দুল মোমিন আমাদের এলাকায় প্রথম স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে ছয় বছর আগে দেড় বিঘা জমিতে আমিও স্ট্রবেরি চাষ শুরু করি। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকে ২ বিঘা জমিতে প্রতিবছর স্ট্রবেরি চাষ করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছি।’ এখন অন্য চাষিরা তাঁর কাছ থেকে স্ট্রবেরি চারা সংগ্রহ করেন। অনেকে পরামর্শও নেন। ফলে দিন দিন এলাকায় স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে।
ইউনুস আলী সাগিদার আরও বলেন, ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করতে হয়। এ জন্য পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর দিয়ে ৫ থেকে ৬টি চাষ করে জমির মাটি ঝরঝরে করে নিতে হয়। তারপর সার, গোবর ও ক্যালসিয়ামের অন্য উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
সফল এই স্ট্রবেরিচাষি আরও বলেন, স্ট্রবেরি মৌসুমের শুরুতে সাদা ফুল ফোটে, পরে হলুদ রঙের ফল ধরে। সবশেষে পাকা লাল টুকটুকে রং ধারণ করে স্ট্রবেরি। উইন্টারডন জাতের একটি চারা গাছ থেকে মৌসুমে কমপক্ষে দুই কেজি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এ ফল বিক্রি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এলাকায় স্ট্রবেরি সরাসরি বিক্রি করা যায় না। জমি থেকে তোলা স্ট্রবেরি ঢাকায় আড়তদারের কাছে পাঠাতে হয়। সেই স্ট্রবেরি বিক্রির পরে তাঁরা টাকা দেন। কোনো কারণে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই স্ট্রবেরি নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে লোকসান হয়।
তাই সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই এলাকায় স্থানীয়ভাবে স্ট্রবেরি ক্রয়-বিক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান কৃষকেরা। পাশাপাশি এ কাজে তাঁরা সহযোগিতা হিসেবে সরকারি প্রণোদনা চেয়েছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এবার প্রায় আট হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্বই কৃষকদের। কারণ, কৃষকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। কৃষকেরা যাতে লাভজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারেন, সে জন্য আমরা তাঁদের পরামর্শসেবা দেই। আর আমাদের যাঁরা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে মাঠেই থাকেন। তবে আমরাও মাঝেমধ্যে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাঠে যাই।’
স্ট্রবেরি চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা। একসময় কৃষকেরা ভাবেননি, বিদেশি জাতের এ ফল চাষ হবে জয়পুরহাটের মাটিতে। অথচ কৃষকেরা এখন স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর স্ট্রবেরি চাষ করেছিলেন ৭৩ জন কৃষক। এ বছর নতুন করে আরও ৯ জন কৃষকসহ ৮২ জন স্ট্রবেরি চাষ করেছেন।
এখন এই এলাকার কৃষকেরা স্ট্রবেরি চাষ করে চার গুণ লাভের মুখ দেখেছেন।
সরেজমিন জয়পুরহাটের জামালপুর ইউনিয়নের কালীবাড়ি গ্রামের চান্দা মাঠে দেখা যায়, খেতের পর খেত জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে একেকটি ফসলের মাঠ। এর ভেতরেই কেউ করছেন স্ট্রবেরির পরিচর্যা, কেউ সেচ দিচ্ছেন, কেউ কেউ তুলছেন স্ট্রবেরি ফল।
কালীবাড়ি গ্রামের সফল স্ট্রবেরিচাষি ইউনুস আলী সাগিদার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ থেকে ৯ বছর আগে কৃষক আব্দুল মোমিন আমাদের এলাকায় প্রথম স্ট্রবেরি চাষ শুরু করেন। তাঁর সাফল্য দেখে ছয় বছর আগে দেড় বিঘা জমিতে আমিও স্ট্রবেরি চাষ শুরু করি। অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় পরের বছর থেকে ২ বিঘা জমিতে প্রতিবছর স্ট্রবেরি চাষ করে ইতিমধ্যে স্বাবলম্বী হয়েছি।’ এখন অন্য চাষিরা তাঁর কাছ থেকে স্ট্রবেরি চারা সংগ্রহ করেন। অনেকে পরামর্শও নেন। ফলে দিন দিন এলাকায় স্ট্রবেরির চাষ বাড়ছে।
ইউনুস আলী সাগিদার আরও বলেন, ভাদ্র মাসের প্রথম দিকে স্ট্রবেরি চাষ শুরু করতে হয়। এ জন্য পাওয়ার টিলার বা ট্রাক্টর দিয়ে ৫ থেকে ৬টি চাষ করে জমির মাটি ঝরঝরে করে নিতে হয়। তারপর সার, গোবর ও ক্যালসিয়ামের অন্য উপাদান ব্যবহার করে জমি প্রস্তুত করতে হয়। স্ট্রবেরি চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। আর সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ থাকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা।
সফল এই স্ট্রবেরিচাষি আরও বলেন, স্ট্রবেরি মৌসুমের শুরুতে সাদা ফুল ফোটে, পরে হলুদ রঙের ফল ধরে। সবশেষে পাকা লাল টুকটুকে রং ধারণ করে স্ট্রবেরি। উইন্টারডন জাতের একটি চারা গাছ থেকে মৌসুমে কমপক্ষে দুই কেজি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু এ ফল বিক্রি করতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এলাকায় স্ট্রবেরি সরাসরি বিক্রি করা যায় না। জমি থেকে তোলা স্ট্রবেরি ঢাকায় আড়তদারের কাছে পাঠাতে হয়। সেই স্ট্রবেরি বিক্রির পরে তাঁরা টাকা দেন। কোনো কারণে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই স্ট্রবেরি নষ্ট হলে বা হারিয়ে গেলে লোকসান হয়।
তাই সংশ্লিষ্টদের প্রতি এই এলাকায় স্থানীয়ভাবে স্ট্রবেরি ক্রয়-বিক্রয়ের পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান কৃষকেরা। পাশাপাশি এ কাজে তাঁরা সহযোগিতা হিসেবে সরকারি প্রণোদনা চেয়েছেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘জয়পুরহাট সদর উপজেলায় এবার প্রায় আট হেক্টর জমিতে স্ট্রবেরি চাষ হয়েছে। এর পুরো কৃতিত্বই কৃষকদের। কারণ, কৃষকেরা স্বপ্রণোদিতভাবে স্ট্রবেরি চাষ করেছেন। কৃষকেরা যাতে লাভজনকভাবে স্ট্রবেরি চাষ করতে পারেন, সে জন্য আমরা তাঁদের পরামর্শসেবা দেই। আর আমাদের যাঁরা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের সঙ্গে মাঠেই থাকেন। তবে আমরাও মাঝেমধ্যে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য মাঠে যাই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে