নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্যক্তি মালিকানাধীন যশোর পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে।
লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নানা দিক নিয়ে তদন্ত এবং অভিযান শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে গত সোমবার দিবাগত রাতে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তাঁরা বলছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পঙ্গু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান, লিফটম্যান আব্দুর রহমান ও শিমুল এবং ইলেক্ট্রিশিয়ান কবির হোসেন।
জানা গেছে, শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকার যশোর পঙ্গু হাসপাতালটি ডা. এইচ এম আব্দুর রউফের মালিকানাধীন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মাকে দেখতে এসেছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান। পরে গত ২ এপ্রিল হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাঁকে দুদিন আগে ৩১ মার্চ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাগ্বিতণ্ডার জেরে খুন করেছে বলে অভিযোগ এনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পরিবার।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছিল। সে সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমানসহ ৮ / ১০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে তাঁরা সবাই ছাড়া পান। তবে সম্প্রতি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর সত্যতা পাওয়ায় আবারও নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিফটের নিচ থেকে মফিজুর রহমানের উদ্ধার করা লাশের বুকের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে জখম করার চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া হাতে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
হাসপাতালে মাকে দেখতে এসে ছেলে লাশ হয়ে ফেরার ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়। অনেকেই এটাকে রহস্যজনক মনে করছিলেন।
সূত্রগুলো জানায়, মফিজুর নিখোঁজ হওয়ার দিন ৩১ মার্চ দুপুরে মফিজুর রহমানের সঙ্গে ডা. আব্দুর রউফের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন ব্যবস্থাপকসহ হাসপাতাল মালিক একদল বহিরাগত যুবককে ডেকে আনেন।
সেখানে সজলের নেতৃত্ব বাপ্পি, আশিক, শিমুল, রমজান ও মদুলসহ একদল যুবক এসে মফিজুর রহমানকে হাসপাতালের ফটক থেকে তুলে নিয়ে যায় শহরের রায়পাড়ায়। সেখানকার একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলায় আটকে রেখে মফিজুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশটি রাতেই পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নিচে ফেলে রেখে যায় বলে সূত্রের দাবি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আবু জুবাইর বলেন, ‘মফিজুর রহমানের লাশে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
ব্যক্তি মালিকানাধীন যশোর পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি নতুন মোড় নিয়েছে।
লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে নানা দিক নিয়ে তদন্ত এবং অভিযান শুরু হয়েছে।
ইতিমধ্যে গত সোমবার দিবাগত রাতে হাসপাতালটির ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
যদিও গতকাল মঙ্গলবার এ প্রতিবেদন লেখার সময় বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি। তাঁরা বলছেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, পঙ্গু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমান, লিফটম্যান আব্দুর রহমান ও শিমুল এবং ইলেক্ট্রিশিয়ান কবির হোসেন।
জানা গেছে, শহরের মুজিব সড়ক রেলগেট এলাকার যশোর পঙ্গু হাসপাতালটি ডা. এইচ এম আব্দুর রউফের মালিকানাধীন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৃদ্ধা মাকে দেখতে এসেছিলেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান। পরে গত ২ এপ্রিল হাসপাতালের লিফটের নিচ থেকে মফিজুর রহমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাঁকে দুদিন আগে ৩১ মার্চ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাগ্বিতণ্ডার জেরে খুন করেছে বলে অভিযোগ এনে কোতোয়ালি থানায় মামলা করে পরিবার।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছিল। সে সময় হাসপাতালের ব্যবস্থাপক আতিয়ার রহমানসহ ৮ / ১০ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে তাঁরা সবাই ছাড়া পান। তবে সম্প্রতি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে মৃত্যুর সত্যতা পাওয়ায় আবারও নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লিফটের নিচ থেকে মফিজুর রহমানের উদ্ধার করা লাশের বুকের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে জখম করার চিহ্ন ছিল। এ ছাড়া হাতে পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
হাসপাতালে মাকে দেখতে এসে ছেলে লাশ হয়ে ফেরার ঘটনাটি বেশ আলোচিত হয়। অনেকেই এটাকে রহস্যজনক মনে করছিলেন।
সূত্রগুলো জানায়, মফিজুর নিখোঁজ হওয়ার দিন ৩১ মার্চ দুপুরে মফিজুর রহমানের সঙ্গে ডা. আব্দুর রউফের বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন ব্যবস্থাপকসহ হাসপাতাল মালিক একদল বহিরাগত যুবককে ডেকে আনেন।
সেখানে সজলের নেতৃত্ব বাপ্পি, আশিক, শিমুল, রমজান ও মদুলসহ একদল যুবক এসে মফিজুর রহমানকে হাসপাতালের ফটক থেকে তুলে নিয়ে যায় শহরের রায়পাড়ায়। সেখানকার একটি বাড়ির দ্বিতীয়তলায় আটকে রেখে মফিজুর রহমানকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশটি রাতেই পঙ্গু হাসপাতালের লিফটের নিচে ফেলে রেখে যায় বলে সূত্রের দাবি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজী আবু জুবাইর বলেন, ‘মফিজুর রহমানের লাশে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সবকিছু বলা সম্ভব হচ্ছে না। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে