কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নজরুল ইসলাম ঋতু। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউপি থেকে বিপুল ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আজকের প্রত্রিকাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতু জানান, নির্বাচন নিয়ে তাঁর তেমন কোনো ধারণা ছিল না। এলাকাবাসী তাঁকে ভালোবেসে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিলেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে কতটা ভালোবাসেন তা প্রমাণ করেছেন।
নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নজরুল ইসলাম ঋতু বলেন, ‘শুরুটা যে খুব সহজ ছিল এমন না। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও নির্বাচন যত এগিয়ে এসেছে পরিস্থিতি ততই কঠিন হয়ে উঠছিল। স্থানীয় নেতাদের ইশারায় আমার ওপর নানা ধরনের পরিকল্পিত অত্যাচার করা হচ্ছিল। আমি হিজড়া সেটা নিয়ে হাসি–তামাশা করা হয়েছে। আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। পোস্টার লাগালে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অনেকগুলো ব্যানার নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরও মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন।’
এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আপনি কীভাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে গেলেন প্রশ্নের জবাবে ঋতু বলেন, ‘মানুষের অপমান আমাকে বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। গুটিকয়েক মানুষ আমার বিপক্ষে থাকলেও আমি জানতাম এলাকার অধিকাংশ মানুষ আমার পক্ষে আছেন। যাঁরা আমার বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁদের আচরণে আমি পিছু হটে যাব কিন্তু তাঁরা এটা বোঝেননি যে তাঁদের অপমানকে আমি অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাব।’
এ প্রশ্নের জবাবে ঋতু আরও বলেন, আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন হিজড়া যেভাবে বড় হয়ে ওঠেন তাতে মানুষের কোনো অপমানই একটা সময় আমাদের গাঁয়ে লাগে না। কারণ, ছোটবেলা থেকে নিজের পরিবারই আমাদের সঙ্গে যেমন বৈষম্যমূলক আচরণ করে সেখানে অন্যান্যদের কাছ থেকে এর থেকে ভালো আর কি আশা করা যায়?’
কি কারণে এলাকাবাসী তাঁকে এত ভালোবাসেন এবং কেন তাঁরা তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন প্রশ্নের উত্তরে ঋতু বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে, ছোটবেলা থেকেই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। ছোটবেলা থেকে নিজের পরিবার ছেড়ে ঢাকাতে চলে আসলেও এলাকার কারওর বিপদের কথা শুনলে বা সাহায্যের দরকার হলে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এ কারণেই হয়তো এলাকার অধিকাংশ মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসেন যার প্রতিদান তাঁরা নির্বাচনে দিয়েছেন। আমি এলাকাবাসীর প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হতে হয় বলে আমরা জানি। কয়েক দিন আগে তাঁদেরকে ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে আপনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। আপনার কি মনে হয়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে?
ঋতু বলেন, ‘দেখেন, দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতে থাকি। আমার কাছে মনে হয়, প্রথম দিকে মানুষ আমাদের প্রতি যেমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন বর্তমানে তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তা ছাড়া দেশের তরুণ সমাজের মাঝে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে কাজ করার বা আমাদেরকে সাধারণ মানুষের মতো মর্যাদা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় যে, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। তা ছাড়া একীভূত সমাজ গড়তে সরকারের পাশাপাশি দেশের সবাই; বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ যদি এগিয়ে আসে তাহলে এখনো আমাদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণগুলো হয়ে আসছে তা হয়তো আর থাকবে না।’
ঋতু আরও বলেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষের নয়। আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও সাধারণদের কাতারে এসে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ঋতু জানান, শুধু মানুষের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করতে চান। পাশাপাশি দেশের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়েও কাজ করতে আগ্রহী তিনি।
গত সোমবার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম ঋতু ৯ হাজার ৫৫৭টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম সানা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৯টি ভোট।
দেশে প্রথমবারের মতো তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নজরুল ইসলাম ঋতু। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউপি থেকে বিপুল ভোটে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আজকের প্রত্রিকাতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঋতু জানান, নির্বাচন নিয়ে তাঁর তেমন কোনো ধারণা ছিল না। এলাকাবাসী তাঁকে ভালোবেসে নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছিলেন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে কতটা ভালোবাসেন তা প্রমাণ করেছেন।
নির্বাচনের অভিজ্ঞতা নিয়ে নজরুল ইসলাম ঋতু বলেন, ‘শুরুটা যে খুব সহজ ছিল এমন না। প্রথম দিকে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও নির্বাচন যত এগিয়ে এসেছে পরিস্থিতি ততই কঠিন হয়ে উঠছিল। স্থানীয় নেতাদের ইশারায় আমার ওপর নানা ধরনের পরিকল্পিত অত্যাচার করা হচ্ছিল। আমি হিজড়া সেটা নিয়ে হাসি–তামাশা করা হয়েছে। আমার লোকজনকে মারধর করা হয়েছে। পোস্টার লাগালে সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। অনেকগুলো ব্যানার নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। এরপরও মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন।’
এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আপনি কীভাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে গেলেন প্রশ্নের জবাবে ঋতু বলেন, ‘মানুষের অপমান আমাকে বিন্দুমাত্র নড়াতে পারেনি। গুটিকয়েক মানুষ আমার বিপক্ষে থাকলেও আমি জানতাম এলাকার অধিকাংশ মানুষ আমার পক্ষে আছেন। যাঁরা আমার বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা ভেবেছিলেন, তাঁদের আচরণে আমি পিছু হটে যাব কিন্তু তাঁরা এটা বোঝেননি যে তাঁদের অপমানকে আমি অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়ে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাব।’
এ প্রশ্নের জবাবে ঋতু আরও বলেন, আমাদের দেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একজন হিজড়া যেভাবে বড় হয়ে ওঠেন তাতে মানুষের কোনো অপমানই একটা সময় আমাদের গাঁয়ে লাগে না। কারণ, ছোটবেলা থেকে নিজের পরিবারই আমাদের সঙ্গে যেমন বৈষম্যমূলক আচরণ করে সেখানে অন্যান্যদের কাছ থেকে এর থেকে ভালো আর কি আশা করা যায়?’
কি কারণে এলাকাবাসী তাঁকে এত ভালোবাসেন এবং কেন তাঁরা তাঁকে বিপুল ভোটে জয়ী করেছেন প্রশ্নের উত্তরে ঋতু বলেন, ‘এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। তবে, ছোটবেলা থেকেই এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছি। ছোটবেলা থেকে নিজের পরিবার ছেড়ে ঢাকাতে চলে আসলেও এলাকার কারওর বিপদের কথা শুনলে বা সাহায্যের দরকার হলে নিজের সাধ্যমতো সাহায্য করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। এ কারণেই হয়তো এলাকার অধিকাংশ মানুষ আমাকে অনেক ভালোবাসেন যার প্রতিদান তাঁরা নির্বাচনে দিয়েছেন। আমি এলাকাবাসীর প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নানা ধরনের বঞ্চনার শিকার হতে হয় বলে আমরা জানি। কয়েক দিন আগে তাঁদেরকে ভোটাধিকার দেওয়া হয়েছে। এর মাঝে আপনি চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হলেন। আপনার কি মনে হয়, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি দেশের মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হচ্ছে?
ঋতু বলেন, ‘দেখেন, দেশে শিক্ষার হার বাড়ছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাতে থাকি। আমার কাছে মনে হয়, প্রথম দিকে মানুষ আমাদের প্রতি যেমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন বর্তমানে তার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তা ছাড়া দেশের তরুণ সমাজের মাঝে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে নিয়ে কাজ করার বা আমাদেরকে সাধারণ মানুষের মতো মর্যাদা দেওয়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। আমি ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। এর মাধ্যমেই বোঝা যায় যে, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে। তা ছাড়া একীভূত সমাজ গড়তে সরকারের পাশাপাশি দেশের সবাই; বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ যদি এগিয়ে আসে তাহলে এখনো আমাদের প্রতি যে বৈষম্যমূলক আচরণগুলো হয়ে আসছে তা হয়তো আর থাকবে না।’
ঋতু আরও বলেন, ‘শুধু সাধারণ মানুষের নয়। আমাদের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদেরও সাধারণদের কাতারে এসে নিজেদের অবস্থা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হবে।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে ঋতু জানান, শুধু মানুষের সেবা ও এলাকার উন্নয়ন করতে চান। পাশাপাশি দেশের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়েও কাজ করতে আগ্রহী তিনি।
গত সোমবার তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম ঋতু ৯ হাজার ৫৫৭টি ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের নজরুল ইসলাম সানা পেয়েছেন ৪ হাজার ৫২৯টি ভোট।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে