সাবিত আল হাসান, বন্দর (নারায়ণগঞ্জ)
নারায়ণগঞ্জে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিস্ময়করভাবে ১৪ দলীয় জোটের সমর্থন ছিল নৌকার বিপক্ষে। সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দিয়ে দিনরাত তাঁর পক্ষে কাজ করেছেন নেতা-কর্মীরা। জোটের বাইরে থাকা বাম দলগুলোও ছিল আইভীর পাশে। আর সে কারণে বাম দলগুলোর প্রতি বাড়তি ভালোবাসার কথা নিজ মুখেই স্বীকার করেন আইভী।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনেও আইভী পেয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের সমর্থন। গত বুধবার বিকেলে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনে তাঁর হাতে নৌকা তুলে দিয়ে সমর্থন জানান জোটের নেতা-কর্মীরা। সেই সমাবেশেই আইভী তাঁর নির্বাচনী স্লোগান উন্মোচন করেন। তা হচ্ছে ‘সবুজ শ্যামল জনপদ, নগর গড়ি নিরাপদ’।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আইভীকে নৌকার টিকিট দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আইভীকে সমর্থন দেয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু দুটি কমিটির সাধারণ সম্পাদকেরা তফসিলের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আইভীর বিরোধিতা করে আসছিলেন। দলের মনোনয়নও চেয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করেনি দল। মনোনয়নে দলীয় সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে দাবি করা এসব নেতা এখনো আইভীর সমর্থনে প্রকাশ্যে আসেননি। গুরুত্বপূর্ণ এই নেতারা এখনো নির্বাচন থেকে দূরে থাকায় গুঞ্জন উঠেছে, আদৌ তাঁরা ২০১৬ সালের মতো আইভীর পক্ষে কাজ করবেন কি না, তা নিয়ে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে ওসমানপন্থী নেতারা প্রকাশ্যে না এলেও ১৪ দলীয় জোট তাদের সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় দলের একাংশ সমর্থন না দিলেও জোটের দলগুলো সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে দাবি জোটের নেতাদের। আর তাই খুব দ্রুত আইভীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
জোটের অন্যতম শরিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘একটি দলের ভেতর বিভক্তি থাকলেও প্রতীকটি নৌকা, তা বুঝতে হবে। এই জোট অনেক বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আমরা যেহেতু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি, তাই আইভীকে সমর্থন দিয়েছি। বিগত দিনে আইভীর কাজ মূল্যায়ন করলে জনগণ তাঁকেই রায় দেবেন। আমরা ১৪ দল থেকে তাঁর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখব। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অধিকাংশ মানুষ কাকে চান, সেটি দেখতে হবে। আমরা সেই বিবেচনাতেই সিদ্ধান্ত আগেও নিয়েছি, এখনো নিচ্ছি। জোট বিগত দিনের মতো আইভীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস বা অপরাজনীতি চাই না। আর সে কারণেই ২০১১ সালে আইভীকে বেছে নিয়েছিলাম। বিগত দিনে আইভীর কার্যক্রম প্রশংসনীয় ছিল বিধায় এবারও জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মহানগর কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘জোটের অংশ হিসেবে আমাদের অবস্থান ব্যতিক্রম নয়। জোট থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমন্বয়ক যা নির্দেশনা দেবেন, তা আমরা পালন করব। জোটের দলগুলো শক্তিশালী বলেই আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে রেখেছে। আইভীকে জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা অবশ্যই থাকবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বৃহৎ দল। বড় দলে বিভক্তি বা পছন্দ-অপছন্দ থাকা স্বাভাবিক। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের দল স্থান দেবে না। আর তাই দলের ভেতর কেউ সমর্থন না করলেও খুব বেশি সমস্যা হবে না। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা বিগত দিনেও আইভীকে সমর্থন দিয়েছেন। এবারও তাঁরা সেই সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে বাম দলগুলো যেভাবে আইভীকে সমর্থন দিয়ে কাজ করছেন, তা প্রশংসনীয়। তাঁদের সমর্থন নির্বাচনের মাঠে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।’
নারায়ণগঞ্জে প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিস্ময়করভাবে ১৪ দলীয় জোটের সমর্থন ছিল নৌকার বিপক্ষে। সেবার স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীকে সমর্থন দিয়ে দিনরাত তাঁর পক্ষে কাজ করেছেন নেতা-কর্মীরা। জোটের বাইরে থাকা বাম দলগুলোও ছিল আইভীর পাশে। আর সে কারণে বাম দলগুলোর প্রতি বাড়তি ভালোবাসার কথা নিজ মুখেই স্বীকার করেন আইভী।
তারই ধারাবাহিকতায় এবারের নির্বাচনেও আইভী পেয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের সমর্থন। গত বুধবার বিকেলে শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও মিলনায়তনে তাঁর হাতে নৌকা তুলে দিয়ে সমর্থন জানান জোটের নেতা-কর্মীরা। সেই সমাবেশেই আইভী তাঁর নির্বাচনী স্লোগান উন্মোচন করেন। তা হচ্ছে ‘সবুজ শ্যামল জনপদ, নগর গড়ি নিরাপদ’।
সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আইভীকে নৌকার টিকিট দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে আইভীকে সমর্থন দেয় জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ। কিন্তু দুটি কমিটির সাধারণ সম্পাদকেরা তফসিলের আগ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে আইভীর বিরোধিতা করে আসছিলেন। দলের মনোনয়নও চেয়েছিলেন কেন্দ্রের কাছে। কিন্তু সেই আবেদন গ্রহণ করেনি দল। মনোনয়নে দলীয় সভাপতির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে দাবি করা এসব নেতা এখনো আইভীর সমর্থনে প্রকাশ্যে আসেননি। গুরুত্বপূর্ণ এই নেতারা এখনো নির্বাচন থেকে দূরে থাকায় গুঞ্জন উঠেছে, আদৌ তাঁরা ২০১৬ সালের মতো আইভীর পক্ষে কাজ করবেন কি না, তা নিয়ে।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে ওসমানপন্থী নেতারা প্রকাশ্যে না এলেও ১৪ দলীয় জোট তাদের সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। এমন অবস্থায় দলের একাংশ সমর্থন না দিলেও জোটের দলগুলো সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম হবে বলে দাবি জোটের নেতাদের। আর তাই খুব দ্রুত আইভীর পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
জোটের অন্যতম শরিক দল ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘একটি দলের ভেতর বিভক্তি থাকলেও প্রতীকটি নৌকা, তা বুঝতে হবে। এই জোট অনেক বড় ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আমরা যেহেতু আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছি, তাই আইভীকে সমর্থন দিয়েছি। বিগত দিনে আইভীর কাজ মূল্যায়ন করলে জনগণ তাঁকেই রায় দেবেন। আমরা ১৪ দল থেকে তাঁর পক্ষে কার্যকর ভূমিকা রাখব। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিরোধিতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে অধিকাংশ মানুষ কাকে চান, সেটি দেখতে হবে। আমরা সেই বিবেচনাতেই সিদ্ধান্ত আগেও নিয়েছি, এখনো নিচ্ছি। জোট বিগত দিনের মতো আইভীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।’
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিমাংশু সাহা বলেন, ‘আমরা নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাস বা অপরাজনীতি চাই না। আর সে কারণেই ২০১১ সালে আইভীকে বেছে নিয়েছিলাম। বিগত দিনে আইভীর কার্যক্রম প্রশংসনীয় ছিল বিধায় এবারও জোট তাঁকে সমর্থন দিয়েছে।’
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মহানগর কমিটির সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘জোটের অংশ হিসেবে আমাদের অবস্থান ব্যতিক্রম নয়। জোট থেকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমন্বয়ক যা নির্দেশনা দেবেন, তা আমরা পালন করব। জোটের দলগুলো শক্তিশালী বলেই আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে রেখেছে। আইভীকে জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ভূমিকা অবশ্যই থাকবে।’
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বৃহৎ দল। বড় দলে বিভক্তি বা পছন্দ-অপছন্দ থাকা স্বাভাবিক। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের দল স্থান দেবে না। আর তাই দলের ভেতর কেউ সমর্থন না করলেও খুব বেশি সমস্যা হবে না। তবে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা বিগত দিনেও আইভীকে সমর্থন দিয়েছেন। এবারও তাঁরা সেই সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। বিশেষ করে বাম দলগুলো যেভাবে আইভীকে সমর্থন দিয়ে কাজ করছেন, তা প্রশংসনীয়। তাঁদের সমর্থন নির্বাচনের মাঠে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের আরও শক্তিশালী করবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে