মতিয়ার রহমান মিঞা, মধুখালী (ফরিদপুর)
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কামারখালী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। সংকট থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিচ্ছে। এতে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
বাইরে থেকে ভবনটিকে দেখে জরাজীর্ণ অবস্থা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ার চিত্র। দেখা মেলে আরসিসি পিলার ও গ্রেড বিমগুলোর ফাটল। ভবনটির দুটি তলায় ১১টি কক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যে নিচতলায় দুটি ও দোতলার একটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই ভবনসংকটের কারণে বাকি কক্ষগুলোতে অফিস ও ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকেরা।
জানা গেছে, স্থানীয়দের উদ্যোগে ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে কামারখালী উচ্চবিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টিকে এমপিওভুক্ত করে।
স্থানীয়দের উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দোতলা এই ভবনটিতে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ, সাধারণ শিক্ষকদের অফিস কক্ষ, শিক্ষকদের কমন রুম, ছাত্রীদের কমন রুম, বঙ্গবন্ধু কর্নার, বিজ্ঞানাগার ও ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষসহ ১১টি কক্ষ।
এই বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ৮০০ জন। দোতলা এই ভবনটিতে অফিস ছাড়াও পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। যেখানে ৪১২ জন ছাত্রী ক্লাস করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৬০ সালে নির্মিত ভবনটির প্রতিটি কক্ষ জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। জরাজীর্ণ এই ভবনের নিচতলায় অফিস করছেন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ভবনটির ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে গেলে চোখে পড়ে আরও করুণ দশা। শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, আরসিসি পিলার আর বিমে ধরেছে ফাটল। বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। জানালাগুলো ভাঙা। ক্লাসের শিক্ষক আর ছাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মহিমাতুন নেসা, উম্মে কুলসুম, স্বস্তিকা চৌধুরী, দশম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা চৌধুরী বলে, তারা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সময় মাথার ওপর ছাদের পলেস্তারা, বালু খসে পড়ে। সবসময় ভয় নিয়ে ক্লাস করতে হয়। মা-বাবা তাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন।
তারা আরও বলে, অনেক স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকলেও বড় বড় ভবন হচ্ছে। অথচ উপজেলার মধ্যে তাদের বিদ্যালয়টি ফলাফলসহ শিক্ষার মান ভালো থাকা সত্ত্বেও কোনো ভবন হচ্ছে না। তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এ বিদ্যালয়ে জন্য একটি ভবন নির্মাণের আবেদন করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে নির্মিত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা সত্ত্বেও তাঁরা ভবন ও শ্রেণিকক্ষের সংকটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে তাঁরা স্থানীয় সাংসদের কাছে একটি চারতলা ভবনের জন্য আবেদন করেছেন। সাংসদ তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যালয়ে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হয়। তিনি আশা করেন খুব তাড়াতাড়ি এই স্কুলে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ বশীর উদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ স্কুলের ভবনে বড় বড় শেল পড়ায় ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ধীরে ধীরে শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাও এই ভবনে অফিস করেন। ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার সময় আতঙ্কে থাকেন। তিনি সাংসদের কাছে দ্রুত একটি ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী কামারখালী উচ্চবিদ্যালয়ে প্রায় ৭০ বছরের পুরোনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান। সংকট থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই ক্লাস নিচ্ছে। এতে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা সবসময় আতঙ্কে থাকেন।
বাইরে থেকে ভবনটিকে দেখে জরাজীর্ণ অবস্থা বোঝার উপায় নেই। কিন্তু ভেতরে গেলে চোখে পড়ে ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ার চিত্র। দেখা মেলে আরসিসি পিলার ও গ্রেড বিমগুলোর ফাটল। ভবনটির দুটি তলায় ১১টি কক্ষের মধ্যে ইতিমধ্যে নিচতলায় দুটি ও দোতলার একটি কক্ষে ক্লাস নেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে বাধ্য হয়েই ভবনসংকটের কারণে বাকি কক্ষগুলোতে অফিস ও ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকেরা।
জানা গেছে, স্থানীয়দের উদ্যোগে ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে কামারখালী উচ্চবিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদ্যালয়টি ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দে স্বীকৃতি লাভ করে এবং বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৯৮০ সালের ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়টিকে এমপিওভুক্ত করে।
স্থানীয়দের উদ্যোগে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দোতলা এই ভবনটিতে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ, সাধারণ শিক্ষকদের অফিস কক্ষ, শিক্ষকদের কমন রুম, ছাত্রীদের কমন রুম, বঙ্গবন্ধু কর্নার, বিজ্ঞানাগার ও ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষসহ ১১টি কক্ষ।
এই বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও পাঁচজন কর্মচারী রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ৮০০ জন। দোতলা এই ভবনটিতে অফিস ছাড়াও পাঁচটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। যেখানে ৪১২ জন ছাত্রী ক্লাস করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১৯৬০ সালে নির্মিত ভবনটির প্রতিটি কক্ষ জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। জরাজীর্ণ এই ভবনের নিচতলায় অফিস করছেন প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও কর্মচারীরা। ভবনটির ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে গেলে চোখে পড়ে আরও করুণ দশা। শ্রেণিকক্ষের ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, আরসিসি পিলার আর বিমে ধরেছে ফাটল। বৃষ্টির সময় ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। জানালাগুলো ভাঙা। ক্লাসের শিক্ষক আর ছাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী মহিমাতুন নেসা, উম্মে কুলসুম, স্বস্তিকা চৌধুরী, দশম শ্রেণির ছাত্রী লাবিবা চৌধুরী বলে, তারা শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করার সময় মাথার ওপর ছাদের পলেস্তারা, বালু খসে পড়ে। সবসময় ভয় নিয়ে ক্লাস করতে হয়। মা-বাবা তাদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকেন।
তারা আরও বলে, অনেক স্কুলেই পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী না থাকলেও বড় বড় ভবন হচ্ছে। অথচ উপজেলার মধ্যে তাদের বিদ্যালয়টি ফলাফলসহ শিক্ষার মান ভালো থাকা সত্ত্বেও কোনো ভবন হচ্ছে না। তারা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে এ বিদ্যালয়ে জন্য একটি ভবন নির্মাণের আবেদন করে।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মনিরুজ্জামান বলেন, প্রায় ৭০ বছর আগে নির্মিত ভবনটি এখন জরাজীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থা সত্ত্বেও তাঁরা ভবন ও শ্রেণিকক্ষের সংকটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি রাকিব হোসেন চৌধুরী ইরান বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ছাত্রীদের শিক্ষা চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে ভবনটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে না। ইতিমধ্যে তাঁরা স্থানীয় সাংসদের কাছে একটি চারতলা ভবনের জন্য আবেদন করেছেন। সাংসদ তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগেও যোগাযোগ করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এই বিদ্যালয়ে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র হয়। তিনি আশা করেন খুব তাড়াতাড়ি এই স্কুলে একটি ভবন নির্মাণ করা হবে।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মাদ বশীর উদ্দীন বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এ স্কুলের ভবনে বড় বড় শেল পড়ায় ত্রুটি দেখা দেয়। পরে ধীরে ধীরে শ্রেণিকক্ষগুলো জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। তাঁরা ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাও এই ভবনে অফিস করেন। ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার সময় আতঙ্কে থাকেন। তিনি সাংসদের কাছে দ্রুত একটি ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে