মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের ৫১টি প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে হাজিরা খাতা না থাকা, কম শ্রমিকের উপস্থিতিসহ কাজের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আবার যে রাস্তায় প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন নেই, সে রকম রাস্তাতেও প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকা ঘুরে এমন অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে। সরেজমিনেও প্রকল্প বাস্তবায়নসংক্রান্ত তথ্যসংবলিত কোনো সাইনবোর্ডের দেখা মেলেনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য, চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে এ অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলছেন, এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সুফল থেকে উপজেলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কাছে গেলে তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করেন। পরে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইজিপিপি দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতের জন্য মোট ৫১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে শুরু হয়েছে গত ১৫ এপ্রিল। মূলত কাজ শুরু হয় আরও তিন দিন পর। প্রকল্পে মোট শ্রমিকসংখ্যা ২ হাজার ৬৬১। দৈনিক ৪০০ টাকা হিসাবে ২ হাজার ৬৬১ শ্রমিকের ৩৩ দিনে মজুরি দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে বাবুখালী ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পে ৩৬০, বিনোদপুরে ৬টি প্রকল্পে ৩৬৫, দিঘায় ৮টি প্রকল্পে ২৫৯, রাজাপুরে ৪টি প্রকল্পে ২৫১, বালিদিয়ায় ৮টি প্রকল্পে ৩৫৬, মহম্মদপুর সদরে ৫টি প্রকল্পে ৩৭১, পলাশবাড়ীয়ায় ৮টি প্রকল্পে ৩৬৯ জন শ্রমিক এবং নহাটা ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পে ৩৮৪ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫১ জন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিআইসি বা প্রকল্পের সভাপতি) করা হয়।
প্রকল্পগুলোর সার্বিক তদারকির দায়িত্বভার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং ইউএনওর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য সপ্তাহে ছয় দিন (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিকদের সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মোট সাত ঘণ্টা কাজ করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মেলে নানান অনিয়ম ও অসংগতি।
সদর ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে (বাঁওড়ের ধার) তেলিপুকুর তোতা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজে ৬১ জন (নারী ও পুরুষ) শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ২৪ জনকে। ৩৭ জন শ্রমিক ছিলেন অনুপস্থিত।
স্থানীয় নাহিদ বলেন, প্রায় প্রতিবছরই এই রাস্তাটিতে প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে রাস্তাটিতে মাটি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সদর ইউপির চেয়ারম্যান ইকবাল আক্তার কাফুর বলেন, ‘আমরা অনুপস্থিত শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করেছি। তাঁদের বাদ দিয়ে যাঁরা উপস্থিত থাকছেন, কাজে আসছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে বিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেব।’
দিঘা ইউনিয়নের ভাটরা বুলবুলের ফার্ম থেকে নায়েবের জমি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে দুপুর ১২টায় গিয়ে কোনো শ্রমিকের দেখা মেলেনি। প্রকল্পের শ্রমিকদের সরদার আব্দুর রাজ্জাক ফকির জানান, এই রাস্তাটির ঘাস-দূর্বা চেঁছে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিঘা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মিয়া বলেন, ‘এটা নিয়ে পরে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
পিআইও মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি আগে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য নেন। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে আমি বক্তব্য দিতে পারব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি পলাশ মন্ডল বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার চলমান কর্মসূচি দেখভাল বা তদারকির কথা। বিষয়টি জেনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ের ৫১টি প্রকল্পের কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্পে হাজিরা খাতা না থাকা, কম শ্রমিকের উপস্থিতিসহ কাজের মান নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। আবার যে রাস্তায় প্রকল্প গ্রহণের প্রয়োজন নেই, সে রকম রাস্তাতেও প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি উপজেলার আট ইউনিয়নের প্রকল্প এলাকা ঘুরে এমন অনিয়মের চিত্র পাওয়া গেছে। সরেজমিনেও প্রকল্প বাস্তবায়নসংক্রান্ত তথ্যসংবলিত কোনো সাইনবোর্ডের দেখা মেলেনি।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য, চেয়ারম্যান ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে এ অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁরা বলছেন, এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থের সুফল থেকে উপজেলার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁরা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) কাছে গেলে তিনি তথ্য দিতে গড়িমসি করেন। পরে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে আলোচনা করে তথ্য দেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইজিপিপি দ্বিতীয় পর্যায়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামো মেরামতের জন্য মোট ৫১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পের কাজ কাগজ-কলমে শুরু হয়েছে গত ১৫ এপ্রিল। মূলত কাজ শুরু হয় আরও তিন দিন পর। প্রকল্পে মোট শ্রমিকসংখ্যা ২ হাজার ৬৬১। দৈনিক ৪০০ টাকা হিসাবে ২ হাজার ৬৬১ শ্রমিকের ৩৩ দিনে মজুরি দাঁড়ায় ৩ কোটি ৫১ লাখ ২৫ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে বাবুখালী ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পে ৩৬০, বিনোদপুরে ৬টি প্রকল্পে ৩৬৫, দিঘায় ৮টি প্রকল্পে ২৫৯, রাজাপুরে ৪টি প্রকল্পে ২৫১, বালিদিয়ায় ৮টি প্রকল্পে ৩৫৬, মহম্মদপুর সদরে ৫টি প্রকল্পে ৩৭১, পলাশবাড়ীয়ায় ৮টি প্রকল্পে ৩৬৯ জন শ্রমিক এবং নহাটা ইউনিয়নে ৬টি প্রকল্পে ৩৮৪ জন শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৫১ জন ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে প্রকল্পের চেয়ারম্যান (পিআইসি বা প্রকল্পের সভাপতি) করা হয়।
প্রকল্পগুলোর সার্বিক তদারকির দায়িত্বভার ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এবং ইউএনওর।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন রাস্তায় মাটি ভরাটের জন্য সপ্তাহে ছয় দিন (শনি থেকে বৃহস্পতিবার) দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিকদের সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত মোট সাত ঘণ্টা কাজ করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। মেলে নানান অনিয়ম ও অসংগতি।
সদর ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়ি থেকে (বাঁওড়ের ধার) তেলিপুকুর তোতা মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার প্রকল্পের কাজে ৬১ জন (নারী ও পুরুষ) শ্রমিকের কাজ করার কথা। কিন্তু সেখানে পাওয়া গেছে মাত্র ২৪ জনকে। ৩৭ জন শ্রমিক ছিলেন অনুপস্থিত।
স্থানীয় নাহিদ বলেন, প্রায় প্রতিবছরই এই রাস্তাটিতে প্রকল্প নেওয়া হয়। তবে রাস্তাটিতে মাটি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
সদর ইউপির চেয়ারম্যান ইকবাল আক্তার কাফুর বলেন, ‘আমরা অনুপস্থিত শ্রমিকদের তালিকা তৈরি করেছি। তাঁদের বাদ দিয়ে যাঁরা উপস্থিত থাকছেন, কাজে আসছেন, তাঁদের তালিকা তৈরি করে বিলের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেব।’
দিঘা ইউনিয়নের ভাটরা বুলবুলের ফার্ম থেকে নায়েবের জমি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার প্রকল্পে দুপুর ১২টায় গিয়ে কোনো শ্রমিকের দেখা মেলেনি। প্রকল্পের শ্রমিকদের সরদার আব্দুর রাজ্জাক ফকির জানান, এই রাস্তাটির ঘাস-দূর্বা চেঁছে পরিষ্কার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দিঘা ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মিয়া বলেন, ‘এটা নিয়ে পরে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’
পিআইও মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আপনি আগে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য নেন। ইউএনও স্যারের সঙ্গে কথা না বলে এ বিষয়ে আমি বক্তব্য দিতে পারব না।’
এ বিষয়ে ইউএনও ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি পলাশ মন্ডল বলেন, ‘দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাগ অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার চলমান কর্মসূচি দেখভাল বা তদারকির কথা। বিষয়টি জেনেছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে