কামাল হোসেন, কয়রা
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমস্যার শেষ নেই। সেখানে সুপেয় খাওয়ার পানি ও বিদ্যুৎ নেই। গোসলের ব্যবস্থা ও যাতায়াতের পথও নেই। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে বাঁধ নেই। দুর্যোগের সময় নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রকল্পে বসবাসকারী ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।
প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের জন্য ৬০টি ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। দুই বছরেই এসব ঘর বসবাসের অনুপযোগী। এ কারণে অনেক উপকারভোগী ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এ প্রকল্পে বসবাস করছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা ভরাটে মাটির বরাদ্দ থাকলেও কপোতাক্ষ নদের বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, যা পানিতে ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপনের কথা থাকলেও চারটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটি ভালো থাকলেও পানি পান ও ব্যবহারের উপযোগী নয়।
বৈদ্যুতিক পিলারের দেখা মিললেও দুই বছরের মধ্যেও দেওয়া হয়নি কোনো ঘরে সংযোগ। প্রকল্পটি কপোতাক্ষের চরের হলেও নেই পানি আটকানোর সুরক্ষা বাঁধ। যার ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায় বলে একাধিক উপকারভোগী জানান। প্রায় সব ঘরের মেঝে পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে অনেকে ঘর ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুৎ কোনোটির ব্যবস্থা না থাকায় রাতে ল্যাম্প জ্বেলে সন্তানদের পড়ার ব্যবস্থা করতে হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৬০টি ঘর নির্মাণের জন্য ৯০ লাখ, নলকূপ স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ২০ হাজার, কমিউনিটি ভবন তৈরির জন্য ৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জায়গা ভরাটে ২৫১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা না থাকায় অনেক সমস্যার মধ্যেও এখানে বাস করছি। এখানে আলোর ব্যবস্থা নেই। অনেক দূর থেকে খাবার পানি আনতে হয়। একটু বাতাস হলে বালি ওড়ে। এর ফলে ভাতও খাইতে পারি না ঠিকমতো।’
এ সময় আরও কথা হয় রিক্তা দাস, জামিলাসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাঁধের পশ্চিম ও উত্তর পাশের ভাঙা স্থান দিয়ে দীর্ঘদিন জোয়ারের পানি ওঠানামা করায় মাঠের বালু ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া নদীতে পানি বাড়লে প্রতিটি জোয়ারে ঘরের আঙিনায়, এমনকি মেঝেতে পানি ওঠে।
নীলিমা, শান্ত, রুপা ও মিষ্টি নামের শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় কেউ ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়ালেখা করেন, আবার কেউ সোলারের আলোতে পড়াশোনা করেন। রাস্তার সমস্যায় সামান্য বৃষ্টিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এখানে সুপেয় খাওয়ার পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো হলেও সেগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। শেওড়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বরাদ্দ পেলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই মর্মে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলো সমাধানের জন্য স্থানীয় বরাদ্দ টিআর, কাবিটা, কাবিখা দিয়ে দ্রুত সমাধান করা হবে।’ গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপকারভোগীরা ভাসমান পেশায় জড়িত। ফলে কাজের সন্ধানে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে চলে যান।
খুলনার কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে সমস্যার শেষ নেই। সেখানে সুপেয় খাওয়ার পানি ও বিদ্যুৎ নেই। গোসলের ব্যবস্থা ও যাতায়াতের পথও নেই। কপোতাক্ষ নদের জোয়ারের পানি থেকে রক্ষা পেতে বাঁধ নেই। দুর্যোগের সময় নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে কয়েকবার উপজেলা প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন প্রকল্পে বসবাসকারী ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা।
প্রকল্পে বসবাসকারী কয়েকটি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে হতদরিদ্রদের জন্য ৬০টি ঘরের ব্যবস্থা করেছেন। দুই বছরেই এসব ঘর বসবাসের অনুপযোগী। এ কারণে অনেক উপকারভোগী ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বর্তমানে ১০ থেকে ১৫টি পরিবার এ প্রকল্পে বসবাস করছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা ভরাটে মাটির বরাদ্দ থাকলেও কপোতাক্ষ নদের বালি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে, যা পানিতে ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। খাবার পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপনের কথা থাকলেও চারটি অগভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি নষ্ট অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একটি ভালো থাকলেও পানি পান ও ব্যবহারের উপযোগী নয়।
বৈদ্যুতিক পিলারের দেখা মিললেও দুই বছরের মধ্যেও দেওয়া হয়নি কোনো ঘরে সংযোগ। প্রকল্পটি কপোতাক্ষের চরের হলেও নেই পানি আটকানোর সুরক্ষা বাঁধ। যার ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ঘরের মেঝেতে পানি উঠে যায় বলে একাধিক উপকারভোগী জানান। প্রায় সব ঘরের মেঝে পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে অনেকে ঘর ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। বিদ্যুৎ ও সৌরবিদ্যুৎ কোনোটির ব্যবস্থা না থাকায় রাতে ল্যাম্প জ্বেলে সন্তানদের পড়ার ব্যবস্থা করতে হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৬০টি ঘর নির্মাণের জন্য ৯০ লাখ, নলকূপ স্থাপনের জন্য ৩ লাখ ২০ হাজার, কমিউনিটি ভবন তৈরির জন্য ৭ লাখ ৯৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়। প্রকল্পের জায়গা ভরাটে ২৫১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমাদের যাওয়ার আর কোনো জায়গা না থাকায় অনেক সমস্যার মধ্যেও এখানে বাস করছি। এখানে আলোর ব্যবস্থা নেই। অনেক দূর থেকে খাবার পানি আনতে হয়। একটু বাতাস হলে বালি ওড়ে। এর ফলে ভাতও খাইতে পারি না ঠিকমতো।’
এ সময় আরও কথা হয় রিক্তা দাস, জামিলাসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাঁরা জানান, বাঁধের পশ্চিম ও উত্তর পাশের ভাঙা স্থান দিয়ে দীর্ঘদিন জোয়ারের পানি ওঠানামা করায় মাঠের বালু ধুয়ে নদীতে চলে যাচ্ছে। তা ছাড়া নদীতে পানি বাড়লে প্রতিটি জোয়ারে ঘরের আঙিনায়, এমনকি মেঝেতে পানি ওঠে।
নীলিমা, শান্ত, রুপা ও মিষ্টি নামের শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় কেউ ল্যাম্প জ্বালিয়ে পড়ালেখা করেন, আবার কেউ সোলারের আলোতে পড়াশোনা করেন। রাস্তার সমস্যায় সামান্য বৃষ্টিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এখানে সুপেয় খাওয়ার পানির জন্য টিউবওয়েল বসানো হলেও সেগুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী বলেন, ‘আমি নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। শেওড়াপাড়া গুচ্ছগ্রামে অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বরাদ্দ পেলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস বলেন, ‘শেওড়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন করেছিলাম। সংস্কারের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই মর্মে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে যে সমস্যাগুলো দেখা দিয়েছে সেগুলো সমাধানের জন্য স্থানীয় বরাদ্দ টিআর, কাবিটা, কাবিখা দিয়ে দ্রুত সমাধান করা হবে।’ গুচ্ছগ্রাম ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, উপকারভোগীরা ভাসমান পেশায় জড়িত। ফলে কাজের সন্ধানে তাঁরা বিভিন্ন স্থানে চলে যান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে