ফরিদ খান মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের শরণখোলায় ফাটল ধরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৩টি শিশুর নিয়মিত পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়টির ভবন ঘেঁষে বেড়িবাঁধ করায় মাটির চাপে ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন অংশে। ফাটল ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় তিনটি শ্রেণিকক্ষের একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকছেন অভিভাবকেরা। শিক্ষকেরা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদের তীরবর্তী উত্তর সাউথখালি গ্রামে ১৯৯০ সালে স্থানীয়দের সহায়তায় বাবলাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৪ সালে এটি বেসরকারি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ২০০৪ সালে এলজিইডির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।
২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভবনটির অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভেঙে যায়। সে সময় বিদ্যালয়টিতে আশ্রয় নেওয়া দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ২৭ জনই ছিল শিশু। পরে বিদ্যালয়টি সংস্কার করে পাঠদান করা হয়।
২০২০-২১ সালে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ৩৫ / ১ পোল্ডারে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। কিন্তু নির্মিত বাঁধের কিছু অংশ বিদ্যালয়ের ভবনের ওপর পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খেলাধুলার মাঠটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। মাটির চাপে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে।
বিদ্যালয়টির দেয়ালসহ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে যায় ও ছাদের বিমে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায় ক্লাস করার অনুপযোগী হওয়ায় ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষ ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফাটল ধরা ভবনের অন্য কক্ষগুলোতে অবস্থান করতে সা
হস পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকেন। ঝুঁকিপূর্ণ এ বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে নতুন ভবন স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবি, রাশিদা আক্তার ও রফিকুল ইসলাম, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা আক্তার বলে, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। শ্রেণিকক্ষে বসে লেখাপড়া করতে তাদের অনেক ভয় লাগে। তারপরও বাধ্য হয়ে ভাঙা ভবনে তাদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের খেলাধুলা করারও কোনো জায়গা নেই।
অভিভাবক মো. আসগর আলী খান, দেলোয়ার হোসেন ও জাহানারা বেগম বলেন, ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তাঁদের চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে না পাঠিয়েও পারছেন না, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ ছিল। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠায় থাকেন, কখন যে বিদ্যালয়টি ভেঙে পড়ে তার ঠিক নেই। এটিকে এখনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উচিত।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান আলম তালুকদার দুলাল বলেন, তাঁদের বিদ্যালয় ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। একটি কক্ষের ছাদের বিমে ফাটল ধরেছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ইতিমধ্যে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম আহসান বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ঘেঁষে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধের মাটির চাপে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটিতে ধস নামলে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ফাটল ধরার খবর জানতে পেরেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ করার উপযুক্ত জমি না থাকায় বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ মুহূর্তে ভবন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ নেই, সেই সমস্ত জায়গায় নতুন ভবনের জন্য ঢাকায় তালিকা পাঠানো হয়েছে সেই তালিকায় বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া আছে।
বাগেরহাটের শরণখোলায় ফাটল ধরা একটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫৩টি শিশুর নিয়মিত পাঠদান চলছে। বিদ্যালয়টির ভবন ঘেঁষে বেড়িবাঁধ করায় মাটির চাপে ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন অংশে। ফাটল ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় তিনটি শ্রেণিকক্ষের একটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এ অবস্থায় ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকছেন অভিভাবকেরা। শিক্ষকেরা কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার সুন্দরবনসংলগ্ন বলেশ্বর নদের তীরবর্তী উত্তর সাউথখালি গ্রামে ১৯৯০ সালে স্থানীয়দের সহায়তায় বাবলাতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। ১৯৯৪ সালে এটি বেসরকারি রেজিস্ট্রার প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ২০০৪ সালে এলজিইডির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়।
২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে ভবনটির অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভেঙে যায়। সে সময় বিদ্যালয়টিতে আশ্রয় নেওয়া দুই শতাধিক মানুষের মধ্যে ৪৮ জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের মধ্যে ২৭ জনই ছিল শিশু। পরে বিদ্যালয়টি সংস্কার করে পাঠদান করা হয়।
২০২০-২১ সালে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার ৩৫ / ১ পোল্ডারে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেন। কিন্তু নির্মিত বাঁধের কিছু অংশ বিদ্যালয়ের ভবনের ওপর পড়ে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া খেলাধুলার মাঠটি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়। মাটির চাপে ভবনের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরে।
বিদ্যালয়টির দেয়ালসহ ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে যায় ও ছাদের বিমে বড় ধরনের ফাটল ধরেছে। এ অবস্থায় ক্লাস করার অনুপযোগী হওয়ায় ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষ ইতিমধ্যে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফাটল ধরা ভবনের অন্য কক্ষগুলোতে অবস্থান করতে সা
হস পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।
অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকেন। ঝুঁকিপূর্ণ এ বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব জমিতে নতুন ভবন স্থাপনের দাবি এলাকাবাসীসহ অভিভাবকদের।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রবি, রাশিদা আক্তার ও রফিকুল ইসলাম, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী লিজা আক্তার বলে, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরেছে। শ্রেণিকক্ষে বসে লেখাপড়া করতে তাদের অনেক ভয় লাগে। তারপরও বাধ্য হয়ে ভাঙা ভবনে তাদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের খেলাধুলা করারও কোনো জায়গা নেই।
অভিভাবক মো. আসগর আলী খান, দেলোয়ার হোসেন ও জাহানারা বেগম বলেন, ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে তাঁদের চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। বাচ্চাদের বিদ্যালয়ে না পাঠিয়েও পারছেন না, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বাচ্চাদের লেখাপড়া বন্ধ ছিল। ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সার্বক্ষণিক উৎকণ্ঠায় থাকেন, কখন যে বিদ্যালয়টি ভেঙে পড়ে তার ঠিক নেই। এটিকে এখনই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা উচিত।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. আহসান আলম তালুকদার দুলাল বলেন, তাঁদের বিদ্যালয় ভবনটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে। একটি কক্ষের ছাদের বিমে ফাটল ধরেছে। ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় ইতিমধ্যে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. শামীম আহসান বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন ঘেঁষে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। বাঁধের মাটির চাপে বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভবনটিতে ধস নামলে শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহা. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ফাটল ধরার খবর জানতে পেরেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণ করার উপযুক্ত জমি না থাকায় বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ মুহূর্তে ভবন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যে সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদানের উপযুক্ত পরিবেশ নেই, সেই সমস্ত জায়গায় নতুন ভবনের জন্য ঢাকায় তালিকা পাঠানো হয়েছে সেই তালিকায় বাবলাতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম দেওয়া আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে