সম্পাদকীয়
ঘূর্ণিঝড় রিমাল শান্ত হয়েছে। কিন্তু যে তাণ্ডব করে গেছে, এর প্রভাব এখন দেখছি আমরা। প্রাকৃতিক এই সব দুর্যোগ থেকে মানুষ বরাবরই উঠে দাঁড়ায়, সামনে এগিয়ে যায়। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট ‘দুর্যোগ’ তথা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। কেননা, এই দুর্ভোগ শেষ হয় না, যেন অনন্তকালের জন্য চলতেই থাকে। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয়, আমাদের দেশে দুর্নীতি, অনিয়ম হতেই থাকে। এতে কতিপয় মানুষ লাভবান হয়ে বাকিদের দুর্ভোগে ফেলে। সেই দুর্ভোগ যেন দুর্যোগ-পরবর্তী দুর্ভোগের চেয়ে কোনো অংশে কম না!
গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর পড়লে এসব চিন্তা মগজে নাড়া দেওয়াটা স্বাভাবিক। ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তা দেবে গেছে বছর দুয়েক পার হতে না-হতেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে যুক্ত হওয়া চারটি ইউনিয়ন—শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া দিয়ে গেছে এই রাস্তা। রাস্তার কিছু অংশ দেবে যাওয়ার পাশাপাশি বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হওয়ায় রাস্তার এমন বেহাল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পদে পদে অনিয়ম, মানহীন নির্মাণ উপকরণ ও নির্দিষ্ট স্থানে নালা নির্মাণ না করার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করে আসছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি রাস্তার একাংশ দেবে যাওয়ায় এ নিয়ে আবার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের জন্য কমিটিও গঠিত হয়েছে।
এদিকে ডিএসসিসির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা, ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ‘মাত্র’ ২৫০ মিটার রাস্তায় সমস্যা হয়েছে। সেটাও হয়েছে ভারী একটি রেডিমিক্সের গাড়ি চলাচলের ফলে। গাড়িটি রাস্তা থেকে ধানখেতে নেমে পড়েছিল। পরে এটি ওঠানোর জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছে, সে সময় কিছু রাস্তা দেবে বা ফেটে গেছে। বোরহান উদ্দিন দাবি করেছেন, ঠিকাদারের জামানতের টাকা থেকে রাস্তাটি তিনি মেরামত করে দিয়েছেন।
খবরেই বলা হয়েছে, সাধারণত নতুন রাস্তা নির্মাণের পর কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে সংস্কারকাজে হাত দিতে হয় না। অথচ ৭৬৩ কোটি টাকার রাস্তার ক্ষেত্রে কথাটি ভিন্ন। এ ঘটনা অনিয়মেরই ইশারা করে। আর অনিয়ম আঙুল তাক করে দুর্নীতির দিকে।
একটি রাস্তা নির্মাণের আগে সাধারণত সব ধরনের হালকা বা ভারী যান চলাচলের সুবিধা বিবেচনা করেই পরিকল্পনা করা হয়। ভারী যান চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা না হলে সেখানে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়।
এ কথা বুঝতে নিশ্চয়ই প্রকৌশলী হওয়া লাগে না। কিন্তু যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে, জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়, তারা হয়তো এসব কথা বুঝতে চাইবে না।
রাজধানীতে রাস্তা ভাঙা, গড়া কিংবা মেরামতের কাজ বছরের পর বছর যেন চলতেই থাকে। অথচ কী ধরনের পরিকল্পনা হলে এই ‘জীবনব্যাপী’ কাজটা থামানো যায়, সে কথা কর্তৃপক্ষের কেউ কখনো ভাবলে আর অনিয়ম হতো না।
ঘূর্ণিঝড় রিমাল শান্ত হয়েছে। কিন্তু যে তাণ্ডব করে গেছে, এর প্রভাব এখন দেখছি আমরা। প্রাকৃতিক এই সব দুর্যোগ থেকে মানুষ বরাবরই উঠে দাঁড়ায়, সামনে এগিয়ে যায়। কিন্তু মনুষ্যসৃষ্ট ‘দুর্যোগ’ তথা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কঠিন। কেননা, এই দুর্ভোগ শেষ হয় না, যেন অনন্তকালের জন্য চলতেই থাকে। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয়, আমাদের দেশে দুর্নীতি, অনিয়ম হতেই থাকে। এতে কতিপয় মানুষ লাভবান হয়ে বাকিদের দুর্ভোগে ফেলে। সেই দুর্ভোগ যেন দুর্যোগ-পরবর্তী দুর্ভোগের চেয়ে কোনো অংশে কম না!
গতকাল মঙ্গলবার আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর পড়লে এসব চিন্তা মগজে নাড়া দেওয়াটা স্বাভাবিক। ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তা দেবে গেছে বছর দুয়েক পার হতে না-হতেই। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সঙ্গে যুক্ত হওয়া চারটি ইউনিয়ন—শ্যামপুর, দনিয়া, মাতুয়াইল ও সারুলিয়া দিয়ে গেছে এই রাস্তা। রাস্তার কিছু অংশ দেবে যাওয়ার পাশাপাশি বড় আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রকল্পের কাজে অনিয়ম হওয়ায় রাস্তার এমন বেহাল বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। পদে পদে অনিয়ম, মানহীন নির্মাণ উপকরণ ও নির্দিষ্ট স্থানে নালা নির্মাণ না করার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই করে আসছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি রাস্তার একাংশ দেবে যাওয়ায় এ নিয়ে আবার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তদন্তের জন্য কমিটিও গঠিত হয়েছে।
এদিকে ডিএসসিসির প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী বোরহান উদ্দিন বলছেন ভিন্ন কথা, ১৭৪ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ‘মাত্র’ ২৫০ মিটার রাস্তায় সমস্যা হয়েছে। সেটাও হয়েছে ভারী একটি রেডিমিক্সের গাড়ি চলাচলের ফলে। গাড়িটি রাস্তা থেকে ধানখেতে নেমে পড়েছিল। পরে এটি ওঠানোর জন্য যে চেষ্টা করা হয়েছে, সে সময় কিছু রাস্তা দেবে বা ফেটে গেছে। বোরহান উদ্দিন দাবি করেছেন, ঠিকাদারের জামানতের টাকা থেকে রাস্তাটি তিনি মেরামত করে দিয়েছেন।
খবরেই বলা হয়েছে, সাধারণত নতুন রাস্তা নির্মাণের পর কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে সংস্কারকাজে হাত দিতে হয় না। অথচ ৭৬৩ কোটি টাকার রাস্তার ক্ষেত্রে কথাটি ভিন্ন। এ ঘটনা অনিয়মেরই ইশারা করে। আর অনিয়ম আঙুল তাক করে দুর্নীতির দিকে।
একটি রাস্তা নির্মাণের আগে সাধারণত সব ধরনের হালকা বা ভারী যান চলাচলের সুবিধা বিবেচনা করেই পরিকল্পনা করা হয়। ভারী যান চলাচলের জন্য উপযোগী রাস্তা না হলে সেখানে বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়।
এ কথা বুঝতে নিশ্চয়ই প্রকৌশলী হওয়া লাগে না। কিন্তু যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে, জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়, তারা হয়তো এসব কথা বুঝতে চাইবে না।
রাজধানীতে রাস্তা ভাঙা, গড়া কিংবা মেরামতের কাজ বছরের পর বছর যেন চলতেই থাকে। অথচ কী ধরনের পরিকল্পনা হলে এই ‘জীবনব্যাপী’ কাজটা থামানো যায়, সে কথা কর্তৃপক্ষের কেউ কখনো ভাবলে আর অনিয়ম হতো না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে