সম্পাদকীয়
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে কড়া রোদে থাকার কারণে। ইদানীং যে রোদের তেজ বেড়ে গেছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড এই গরমে কারও অসুস্থ হয়ে পড়াটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তবে অসুস্থ যেন না হতে হয়, সেই সব ব্যবস্থাও তো নিতে হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে ওই শিক্ষার্থীরাও অসুস্থ হতো না।
আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে—প্রচণ্ড রোদ ও গরমে ভবানীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠে দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সিরাজদিখান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম। মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা ইত্যাদি বিষয়ে উপদেশমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছিল শিক্ষার্থীদের। এটা যে পুলিশের কাজের অংশ তা নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত। কড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে এ সময় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভর্তি করা হয়।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত আরও একটি খবর থেকে জানা যায়, আবহাওয়া বিভাগ থেকে কোনো স্বস্তির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তাপপ্রবাহ চলবে আরও কিছুদিন। আর এ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে মৌসুমি বায়ুর দেখা পেতে। তখন গরম কমতে পারে। অপরদিকে লোডশেডিং তো চলছেই। গরমে নাকাল পুরো দেশ।
এমন অবস্থায় যে শিক্ষার্থীদের স্কুলের মাঠে সমাবেশ করানো ঠিক হয়নি, তা নিশ্চয়ই স্কুল কর্তৃপক্ষ এতক্ষণে বুঝতে পেরেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি জেনে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দিয়েছেন যেন দাবদাহের মধ্যে মাঠে শরীরচর্চা করা না হয়, শ্রেণিকক্ষেই যেন ছোট পরিসরে সমাবেশের কার্যক্রম হয়।
এই বুদ্ধিটা আগেই যদি প্রধান শিক্ষকের মাথায় আসত তাহলে ওই শিক্ষার্থীরা এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ত না। আর পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের যে ভালো ভালো উপদেশ দিলেন, তাতে আরও একটি বিষয় যোগ করলে মন্দ হতো না তা হলো—পরিবেশ। এই যে প্রকৃতিতে এত উষ্ণায়ন, এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রকৃতিকে দূষিত করা যাবে না, এই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া অনেক জরুরি।
আমরাই তো জেনে এবং না জেনে পরিবেশকে দূষিত করছি, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে শিশুদের তথা সবার সুস্থতা কেড়ে নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। গাছ কেটে, আবর্জনা জমিয়ে, কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে প্রকৃতিকে আমরা যেভাবে কষ্ট দিচ্ছি, প্রকৃতিও আমাদের তা ফিরিয়ে দিচ্ছে। যত দিন পরিবেশদূষণ চলতে থাকবে, সূর্যও তার তেজ কমাবে না।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও বলছেন, তাঁরা বড়রাই গরমে অতিষ্ঠ, সন্তানদের জন্য তো সেটা আরও কষ্টকর। আমরা যদি যার যার সন্তানের সুস্থতার কথা ভেবেও পরিবেশদূষণ না করতাম, তাহলে পৃথিবীটা এত উষ্ণ হতো না।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে কড়া রোদে থাকার কারণে। ইদানীং যে রোদের তেজ বেড়ে গেছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড এই গরমে কারও অসুস্থ হয়ে পড়াটা খুব অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। তবে অসুস্থ যেন না হতে হয়, সেই সব ব্যবস্থাও তো নিতে হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলে ওই শিক্ষার্থীরাও অসুস্থ হতো না।
আজকের পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে—প্রচণ্ড রোদ ও গরমে ভবানীপুর উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঠে দাঁড় করিয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন সিরাজদিখান থানার এএসআই কামরুল ইসলাম। মা-বাবার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ, মোবাইল ফোন ব্যবহারে সতর্কতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা ইত্যাদি বিষয়ে উপদেশমূলক কথাবার্তা বলা হচ্ছিল শিক্ষার্থীদের। এটা যে পুলিশের কাজের অংশ তা নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত। কড়া রোদে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে এ সময় ৩০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে অনেককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ভর্তি করা হয়।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত আরও একটি খবর থেকে জানা যায়, আবহাওয়া বিভাগ থেকে কোনো স্বস্তির সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে না। তাপপ্রবাহ চলবে আরও কিছুদিন। আর এ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে মৌসুমি বায়ুর দেখা পেতে। তখন গরম কমতে পারে। অপরদিকে লোডশেডিং তো চলছেই। গরমে নাকাল পুরো দেশ।
এমন অবস্থায় যে শিক্ষার্থীদের স্কুলের মাঠে সমাবেশ করানো ঠিক হয়নি, তা নিশ্চয়ই স্কুল কর্তৃপক্ষ এতক্ষণে বুঝতে পেরেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি জেনে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পরামর্শ দিয়েছেন যেন দাবদাহের মধ্যে মাঠে শরীরচর্চা করা না হয়, শ্রেণিকক্ষেই যেন ছোট পরিসরে সমাবেশের কার্যক্রম হয়।
এই বুদ্ধিটা আগেই যদি প্রধান শিক্ষকের মাথায় আসত তাহলে ওই শিক্ষার্থীরা এভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ত না। আর পুলিশ কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের যে ভালো ভালো উপদেশ দিলেন, তাতে আরও একটি বিষয় যোগ করলে মন্দ হতো না তা হলো—পরিবেশ। এই যে প্রকৃতিতে এত উষ্ণায়ন, এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করাও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রকৃতিকে দূষিত করা যাবে না, এই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া অনেক জরুরি।
আমরাই তো জেনে এবং না জেনে পরিবেশকে দূষিত করছি, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাড়িয়ে শিশুদের তথা সবার সুস্থতা কেড়ে নিচ্ছি প্রতিনিয়ত। গাছ কেটে, আবর্জনা জমিয়ে, কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে প্রকৃতিকে আমরা যেভাবে কষ্ট দিচ্ছি, প্রকৃতিও আমাদের তা ফিরিয়ে দিচ্ছে। যত দিন পরিবেশদূষণ চলতে থাকবে, সূর্যও তার তেজ কমাবে না।
ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরাও বলছেন, তাঁরা বড়রাই গরমে অতিষ্ঠ, সন্তানদের জন্য তো সেটা আরও কষ্টকর। আমরা যদি যার যার সন্তানের সুস্থতার কথা ভেবেও পরিবেশদূষণ না করতাম, তাহলে পৃথিবীটা এত উষ্ণ হতো না।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে