নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘ভোর ৪টায় এসেছি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে। এখন প্রায় বেলা দুটো বাজে। কারেন্ট নেই, মাল তৈরি হচ্ছে না। আজ আর আইসক্রিম বিক্রি করতে পারব না।’–কথাগুলো বলছিলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আইসক্রিম বিক্রেতা আইনুর।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে সংসার চালানো আইনুর জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে এই সপ্তাহে চার দিন আইসক্রিম না নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এই দিনগুলোয় কোনো আয় হয়নি।
শুধু আইনুর নন, তীব্র বিদ্যুৎ-সংকটে তাঁর মতো অসংখ্য মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন গ্রামেগঞ্জে থাকা ছোট ছোট কলকারখানা এবং সেগুলোর ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা।
মাছ সংরক্ষণে বরফ অনিবার্য। কিন্তু চলমান লোডশেডিংয়ে বরফকলগুলোয় উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এতে সংকটে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
জীবননগর বরফকলের মালিক মো. ওলিউর বলেন, ‘বরফ জমাতে টানা ৭ ঘণ্টা মেশিন চালাতে হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে দু-এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফলে বরফ বানাতে পারছি না। হকাররা ফ্যাক্টরিতে এসে বসে থাকছে, কিন্তু আমি মাল দিতে পারছি না।’
নাজুক অবস্থায় বিসিক শিল্পনগরী
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের অধীনে দেশে ৮০টি শিল্পনগরী আছে, যা বিসিক শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। এসব শিল্পনগরীতে কার্যক্রম চালানো হাজার হাজার কারখানা এখন ধুঁকছে লোডশেডিংয়ের কারণে।
যশোর বিসিক শিল্পনগরীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লোডশেডিংয়ে সেখানকার কারখানাগুলোয় উৎপাদনে ধস নেমেছে। বেড়েছে উৎপাদন খরচও।
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লোডশেডিংয়ে তাদের অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। আবার উদ্যোক্তাদের খরচও বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোর বিসিকের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এমইউসিএ ফুডসের মালিক শ্যামল দাস বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে কারণে মাসে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।
যশোর বিসিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। প্রতিষ্ঠানটির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রওশন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চাহিদা রয়েছে ৫৯ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ মেগাওয়াট।’
যশোর বিসিকের মতোই ধুঁকছে দেশের অন্য শিল্পনগরীগুলো। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী, ভরাডোবা, ভালুকা সদর মল্লিকবাড়ী, মেদুয়ারী ও উথুরা ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে লোডশেডিংয়ে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে।
বগুড়া জেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প রয়েছে চার শতাধিক। সেখানে বিদ্যুৎ-চালিত শিল্পকারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির প্রতিষ্ঠান জমজম মেটালের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ফ্যাক্টরিতে দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় কাজ বন্ধ থাকে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িয়ার ছোটখাটো দুই শতাধিক ওয়েল্ডিং কারখানা, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ এবং একটি তাঁত কাপড় তৈরির কারখানায় লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
চাল উৎপাদন ব্যাহত
লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের চালকলগুলোতেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে ৩-৪ দিন ধরে উৎপাদন কমবেশি ৪০ শতাংশ কমেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি চালকলের শ্রমিক আক্তারুল ইসলাম জানান, টানা পাঁচ দিন ধরে চরম লোডশেডিং চলায় মিল বন্ধ রেখেছেন মালিক। এতে বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর কাজ। পরিবার নিয়ে বিপদে আছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেন বলেন, জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫-৭০ মেগাওয়াট। সেখানে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪৫ মেগাওয়াট।
চা-শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত
লোডশেডিংয়ের কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েক দিন ধরে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যাহত হচ্ছে।
এই উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি চা-বাগান রয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় গিয়ে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ২৫ চা প্রক্রিয়াকরণ কমেছে।
শমশেরনগর চা-বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এমনিতেই চা-পাতা এবার উৎপাদন কম হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে চা উৎপাদন আরও কমে গেছে।
‘ভোর ৪টায় এসেছি আইসক্রিম ফ্যাক্টরিতে। এখন প্রায় বেলা দুটো বাজে। কারেন্ট নেই, মাল তৈরি হচ্ছে না। আজ আর আইসক্রিম বিক্রি করতে পারব না।’–কথাগুলো বলছিলেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আইসক্রিম বিক্রেতা আইনুর।
গ্রামে গ্রামে ঘুরে আইসক্রিম বিক্রি করে সংসার চালানো আইনুর জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে এই সপ্তাহে চার দিন আইসক্রিম না নিয়ে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। এই দিনগুলোয় কোনো আয় হয়নি।
শুধু আইনুর নন, তীব্র বিদ্যুৎ-সংকটে তাঁর মতো অসংখ্য মানুষের রুটিরুজিতে টান পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় আছেন গ্রামেগঞ্জে থাকা ছোট ছোট কলকারখানা এবং সেগুলোর ওপর নির্ভরশীল মানুষেরা।
মাছ সংরক্ষণে বরফ অনিবার্য। কিন্তু চলমান লোডশেডিংয়ে বরফকলগুলোয় উৎপাদন আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। এতে সংকটে পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
জীবননগর বরফকলের মালিক মো. ওলিউর বলেন, ‘বরফ জমাতে টানা ৭ ঘণ্টা মেশিন চালাতে হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে দু-এক ঘণ্টা পরপরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। ফলে বরফ বানাতে পারছি না। হকাররা ফ্যাক্টরিতে এসে বসে থাকছে, কিন্তু আমি মাল দিতে পারছি না।’
নাজুক অবস্থায় বিসিক শিল্পনগরী
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশনের অধীনে দেশে ৮০টি শিল্পনগরী আছে, যা বিসিক শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। এসব শিল্পনগরীতে কার্যক্রম চালানো হাজার হাজার কারখানা এখন ধুঁকছে লোডশেডিংয়ের কারণে।
যশোর বিসিক শিল্পনগরীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লোডশেডিংয়ে সেখানকার কারখানাগুলোয় উৎপাদনে ধস নেমেছে। বেড়েছে উৎপাদন খরচও।
বিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, লোডশেডিংয়ে তাদের অঞ্চলের শিল্প প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ১০ শতাংশ উৎপাদন কম হচ্ছে। আবার উদ্যোক্তাদের খরচও বেড়েছে দ্বিগুণ। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যশোর বিসিকের শিল্পপ্রতিষ্ঠান এমইউসিএ ফুডসের মালিক শ্যামল দাস বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে কারণে মাসে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।
যশোর বিসিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো)। প্রতিষ্ঠানটির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রওশন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের চাহিদা রয়েছে ৫৯ মেগাওয়াট, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ মেগাওয়াট।’
যশোর বিসিকের মতোই ধুঁকছে দেশের অন্য শিল্পনগরীগুলো। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী, ভরাডোবা, ভালুকা সদর মল্লিকবাড়ী, মেদুয়ারী ও উথুরা ইউনিয়নে ছোট-বড় মিলিয়ে দুই শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে লোডশেডিংয়ে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে।
বগুড়া জেলায় ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প রয়েছে চার শতাধিক। সেখানে বিদ্যুৎ-চালিত শিল্পকারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে। কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরির প্রতিষ্ঠান জমজম মেটালের ব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ফ্যাক্টরিতে দুই শতাধিক শ্রমিক কাজ করে। লোডশেডিংয়ের কারণে দিনের বেশির ভাগ সময় কাজ বন্ধ থাকে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িয়ার ছোটখাটো দুই শতাধিক ওয়েল্ডিং কারখানা, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ এবং একটি তাঁত কাপড় তৈরির কারখানায় লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।
চাল উৎপাদন ব্যাহত
লোডশেডিংয়ের কারণে দেশের চালকলগুলোতেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে ৩-৪ দিন ধরে উৎপাদন কমবেশি ৪০ শতাংশ কমেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি চালকলের শ্রমিক আক্তারুল ইসলাম জানান, টানা পাঁচ দিন ধরে চরম লোডশেডিং চলায় মিল বন্ধ রেখেছেন মালিক। এতে বন্ধ হয়ে গেছে তাঁর কাজ। পরিবার নিয়ে বিপদে আছেন তিনি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ছানোয়ার হোসেন বলেন, জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ৫৫-৭০ মেগাওয়াট। সেখানে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে ৩৫-৪৫ মেগাওয়াট।
চা-শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত
লোডশেডিংয়ের কারণে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কয়েক দিন ধরে চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যাহত হচ্ছে।
এই উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২২টি চা-বাগান রয়েছে। সেখানকার বিভিন্ন চা প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় গিয়ে জানা যায়, কয়েক দিন ধরে ২৪ ঘণ্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে ২৫ চা প্রক্রিয়াকরণ কমেছে।
শমশেরনগর চা-বাগানের সিনিয়র সহকারী ব্যবস্থাপক ইকবাল হোসেন বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে এমনিতেই চা-পাতা এবার উৎপাদন কম হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক দিনের লোডশেডিংয়ে চা উৎপাদন আরও কমে গেছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে