বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে তেঁতুলিয়া নদী। মা ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজননের জন্য মৎস্য বিভাগ প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন এবং ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর চরভেদুরিয়া থেকে চররুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মাছের প্রজননের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। অথচ মাছ ধরার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতে ঝাড়া হিসেবে পরিচিত ফাঁদ পেতেছেন। এ কারণে হুমকির মুখে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ইলিশ প্রজননকেন্দ্র।
তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর বুকজুড়ে পাতা রয়েছে অবৈধ ঝাড়া। বছরজুড়েই নদীর যেখানে সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন। নদীর ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গাজুড়ে গাছের খুঁটি ও বাঁশ পেতে এর মধ্যে ফেলে রাখা হয় বাঁশের কঞ্চিসহ গাছের ডালপালা ও মাছের খাবার। ধীরে ধীরে ওই ঝাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আশ্রয় নেয়। প্রায় ১৫ থেকে ৩০ দিন নদীর জোয়ার ভাটার অবস্থান বুঝে ওই ঝাড়ার চারপাশে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীণ জেলে বাদশা মাঝি বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীতে এক সময়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত। কিন্তু বেশ কয়েক বছর তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়রা ঝাড়া পেতে মাছ শিকার করেন। ঝাড়ার কারণে ওই স্থানজুড়ে পলি মাটি জমে নদীতে নাব্যতার সৃষ্টি হয়ে গভীরতা কমে যাচ্ছে। এ কারণেই তেঁতুলিয়া নদীর কিছু পয়েন্টে ইলিশের বিচরণ কমে যাচ্ছে।’
উপজেলার প্রধান নদীবন্দর কালাইয়া ঘাটের ভাই ভাই মাছের আড়দের মালিক অমর দাস বলেন, ‘এই তেঁতুলিয়া নদীর মাছের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে কালাইয়া বন্দর ঘাটে অর্ধশত মাছের আড়ত। আড়তগুলোতে এখন আর আগের মতো তেঁতুলিয়ার ইলিশ আসে না। কারণ এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়ে গভীর জলের ইলিশ মাছ বিচরণ কমে গেছে। ডুবোচরের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি নদীর বুকে ঝাড়া পেতে মাছ শিকারকে দায়ী করেন।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, এটা সত্যি যে তেঁতুলিয়া নদীতে আগের চেয়ে ইলিশের বিচরণ অনেক কমে গেছে। কারণ ইলিশ হলো গভীর পানির মাছ। তেঁতুলিয়ায় নাব্যতাসংকটের কারণে ইলিশের এই সংকট দেখা দিয়েছে। নদীতে যে পরিমাণ ঝাড়া পেতে মাছ শিকার করা হয়, নদীর নাব্যতাসংকটের এই একটি কারণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীতে যে ঝাড়া আছে তা অপসারণ করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ্ বলেন, অবৈধ এ ঝাউয়ের কারণে নদীতে নব্যতার সৃষ্টি হয়, তাই ইলিশের মতো গভীর পানির মাছের প্রজননের জন্য হুমকি। সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে জানেন না যে খালে ও নদীতে এ ধরনের ঝাড়া পেতে মাছ শিকার অবৈধ। অবৈধ এ সব ঝাড়ার বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযানে নামব।
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কোল ঘেঁষে বয়ে গেছে তেঁতুলিয়া নদী। মা ইলিশের নির্বিঘ্নে প্রজননের জন্য মৎস্য বিভাগ প্রতি বছর ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন এবং ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর চরভেদুরিয়া থেকে চররুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার মাছের প্রজননের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। অথচ মাছ ধরার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীতে ঝাড়া হিসেবে পরিচিত ফাঁদ পেতেছেন। এ কারণে হুমকির মুখে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ইলিশ প্রজননকেন্দ্র।
তেঁতুলিয়া নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে দেখা গেছে, নদীর বুকজুড়ে পাতা রয়েছে অবৈধ ঝাড়া। বছরজুড়েই নদীর যেখানে সেখানে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এ ফাঁদ পেতে মাছ শিকার করেন। নদীর ২০ থেকে ৩০ ফুট জায়গাজুড়ে গাছের খুঁটি ও বাঁশ পেতে এর মধ্যে ফেলে রাখা হয় বাঁশের কঞ্চিসহ গাছের ডালপালা ও মাছের খাবার। ধীরে ধীরে ওই ঝাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ আশ্রয় নেয়। প্রায় ১৫ থেকে ৩০ দিন নদীর জোয়ার ভাটার অবস্থান বুঝে ওই ঝাড়ার চারপাশে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হয়।
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীণ জেলে বাদশা মাঝি বলেন, ‘তেঁতুলিয়া নদীতে এক সময়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত। কিন্তু বেশ কয়েক বছর তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে স্থানীয়রা ঝাড়া পেতে মাছ শিকার করেন। ঝাড়ার কারণে ওই স্থানজুড়ে পলি মাটি জমে নদীতে নাব্যতার সৃষ্টি হয়ে গভীরতা কমে যাচ্ছে। এ কারণেই তেঁতুলিয়া নদীর কিছু পয়েন্টে ইলিশের বিচরণ কমে যাচ্ছে।’
উপজেলার প্রধান নদীবন্দর কালাইয়া ঘাটের ভাই ভাই মাছের আড়দের মালিক অমর দাস বলেন, ‘এই তেঁতুলিয়া নদীর মাছের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে কালাইয়া বন্দর ঘাটে অর্ধশত মাছের আড়ত। আড়তগুলোতে এখন আর আগের মতো তেঁতুলিয়ার ইলিশ আসে না। কারণ এই নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচরের সৃষ্টি হয়ে গভীর জলের ইলিশ মাছ বিচরণ কমে গেছে। ডুবোচরের অন্যতম কারণ হিসেবে তিনি নদীর বুকে ঝাড়া পেতে মাছ শিকারকে দায়ী করেন।’
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, এটা সত্যি যে তেঁতুলিয়া নদীতে আগের চেয়ে ইলিশের বিচরণ অনেক কমে গেছে। কারণ ইলিশ হলো গভীর পানির মাছ। তেঁতুলিয়ায় নাব্যতাসংকটের কারণে ইলিশের এই সংকট দেখা দিয়েছে। নদীতে যে পরিমাণ ঝাড়া পেতে মাছ শিকার করা হয়, নদীর নাব্যতাসংকটের এই একটি কারণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীতে যে ঝাড়া আছে তা অপসারণ করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ্ বলেন, অবৈধ এ ঝাউয়ের কারণে নদীতে নব্যতার সৃষ্টি হয়, তাই ইলিশের মতো গভীর পানির মাছের প্রজননের জন্য হুমকি। সাধারণ মানুষ এ বিষয়ে জানেন না যে খালে ও নদীতে এ ধরনের ঝাড়া পেতে মাছ শিকার অবৈধ। অবৈধ এ সব ঝাড়ার বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযানে নামব।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৪ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৪ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে