কালিয়াকৈর প্রতিনিধি
কালিয়াকৈর উপজেলার ভানেরটেকি গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. শওকত হোসেন (৪২)। একসময় পেশায় ছিলেন গাড়িচালক। এক দুর্ঘটনায় দুই পা হারান। তার পর থেকে শুরু হয় সংগ্রামের জীবন। পঙ্গুত্ব নিয়েও থেমে নেই শওকত। অন্যের ওপর ভরসা না করে চা বিক্রি করে সংসার চালান।
কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে সুস্বাদু চা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত শওকত। তাঁর রয়েছে ব্যাপক সুনাম। তাঁর চা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। সবার কাছে খুবই আদরের তিনি।
জানা যায়, দুই পা হারানো শওকত হোসেনের কোনো জমিজমা নেই। বর্তমানে তিনি ভাড়া থাকেন। এক মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রীসহ চারজনের সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। একসময় অন্য সবার মতো সেও হাঁটাচলা করতেন। পেশায় চালক ছিলেন। গাড়ি চালিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু ২০০১ সালে বৈদ্যুতিক শকে তিনি গুরুতর আহত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর দুই পা কেটে ফেলতে হয়। এর পর থেকে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কী করবে ভেবে না পেয়ে সবার পরামর্শে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে ২০০২ সালে চায়ের দোকান দেন। এ দোকানের আয় দিয়ে কোনো রকম চলছে তাঁর। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তিনি আরেকটু ভালো থাকার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বর্তমানে শওকত চা বিক্রেতা হিসেবে নিজেকে একজন কর্মমুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই চলছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। চা বিক্রি করে যা আয় হয় তাতে কোনো রকম সংসার চলে। সরকার এবং সমাজের বিত্তবানেরা আমার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তাঁদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকতাম।’
গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘শওকত পঙ্গু হয়েও নিজের কর্মদক্ষতায় পুরো সংসারের খরচ বহন করতে উদ্যোগী হয়েছেন—এটা সমাজের জন্য গৌরবের। শওকতকে দেখে আরও অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ পাবেন। শওকত যখন দুর্ঘটনার শিকার হন, তখন আমি তাকে ব্যক্তি উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা করি এবং পরে তাঁর দোকান করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা করি। আমার অনুরোধ সমাজের বিত্তবানেরা যদি শওকতের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাহলে তাদের জীবনসংগ্রাম অনেক সহজ হবে।’
কালিয়াকৈর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘শওকত হোসেনের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সমাজসেবা কার্যালয় দায়বদ্ধ। উনি সহযোগিতার আবেদন করলে আমরা অবশ্যই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘শওকত হোসেন সহযোগিতার আবেদন করলে আমাদের উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে।’
কালিয়াকৈর উপজেলার ভানেরটেকি গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে মো. শওকত হোসেন (৪২)। একসময় পেশায় ছিলেন গাড়িচালক। এক দুর্ঘটনায় দুই পা হারান। তার পর থেকে শুরু হয় সংগ্রামের জীবন। পঙ্গুত্ব নিয়েও থেমে নেই শওকত। অন্যের ওপর ভরসা না করে চা বিক্রি করে সংসার চালান।
কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে সুস্বাদু চা বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত শওকত। তাঁর রয়েছে ব্যাপক সুনাম। তাঁর চা খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। সবার কাছে খুবই আদরের তিনি।
জানা যায়, দুই পা হারানো শওকত হোসেনের কোনো জমিজমা নেই। বর্তমানে তিনি ভাড়া থাকেন। এক মেয়ে, এক ছেলে, স্ত্রীসহ চারজনের সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী তিনি। একসময় অন্য সবার মতো সেও হাঁটাচলা করতেন। পেশায় চালক ছিলেন। গাড়ি চালিয়ে সচ্ছল জীবন যাপন করতেন। কিন্তু ২০০১ সালে বৈদ্যুতিক শকে তিনি গুরুতর আহত হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর দুই পা কেটে ফেলতে হয়। এর পর থেকে জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। কী করবে ভেবে না পেয়ে সবার পরামর্শে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে ২০০২ সালে চায়ের দোকান দেন। এ দোকানের আয় দিয়ে কোনো রকম চলছে তাঁর। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাতে খুবই কষ্ট হয়। তিনি আরেকটু ভালো থাকার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
বর্তমানে শওকত চা বিক্রেতা হিসেবে নিজেকে একজন কর্মমুখী মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। প্রতিনিয়ত জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই চলছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। চা বিক্রি করে যা আয় হয় তাতে কোনো রকম সংসার চলে। সরকার এবং সমাজের বিত্তবানেরা আমার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে তাঁদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকতাম।’
গাজীপুর পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান বলেন, ‘শওকত পঙ্গু হয়েও নিজের কর্মদক্ষতায় পুরো সংসারের খরচ বহন করতে উদ্যোগী হয়েছেন—এটা সমাজের জন্য গৌরবের। শওকতকে দেখে আরও অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ পাবেন। শওকত যখন দুর্ঘটনার শিকার হন, তখন আমি তাকে ব্যক্তি উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা করি এবং পরে তাঁর দোকান করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আর্থিক সহযোগিতা করি। আমার অনুরোধ সমাজের বিত্তবানেরা যদি শওকতের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন তাহলে তাদের জীবনসংগ্রাম অনেক সহজ হবে।’
কালিয়াকৈর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘শওকত হোসেনের মতো শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় সমাজসেবা কার্যালয় দায়বদ্ধ। উনি সহযোগিতার আবেদন করলে আমরা অবশ্যই তাঁর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করব।’
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, ‘শওকত হোসেন সহযোগিতার আবেদন করলে আমাদের উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে অবশ্যই সহযোগিতা করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে