কৌশিক হাসান মামুন, বারহাট্টা
সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার ধনাইখালী রেলসেতু। এটি বারহাট্টা উপজেলা ও নেত্রকোনা জেলা সদরের ঠাকুরোকোনা এলাকায় অবস্থিত। শত বছরের পুরোনো এই রেলসেতুতে কোনো সংস্কার ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। সেতুটির বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার, বিভিন্ন জয়েন্টের নাট নেই, লাইনে নেই ক্লিপ-হুক ও ফিশপ্লেটও। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শতবর্ষী রেলসেতুটি সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রকৌশলীরা বলছেন, ময়মনসিংহ-বারহাট্টা-মোহনগঞ্জ লাইনের ঠাকুরোকোনা এলাকার বড় রেলসেতুটি ঝুঁকিতে থাকায় এর সংস্কার করা প্রয়োজন। তবে এই বছর ঠিকাদার দিয়ে সংস্কার করার মতো সুযোগ নেই। হয়তোবা সামনের বছর সংস্কার করা যেতে পারে।
জানা গেছে, ঠাকুরোকোনায় ধনাইখালী নদীর ওপর অবস্থিত রেলসেতুটি দিয়ে মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ-ঢাকা লাইনে ২টি আন্তনগর ও একটি কমিউটার এবং মোহনগঞ্জ-বারহাট্টা-ময়মনসিংহ লাইনে দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ ঠেকাতে সেতুটি ধ্বংস করা হয়। স্বাধীনতার পর সেতুটি সংস্কার করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেতুটির সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলসেতুটির ১২৮টি স্লিপারের মধ্যে অধিকাংশ স্লিপার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে। স্লিপারের নাটবল্টু নেই বহু জায়গায়। লাইন ধরে রাখার জন্য স্লিপারগুলোর হুকও নেই।
হৃদয় নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, ২০২০ সালের লকডাউনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেলসেতুটির অনেক স্থান থেকে স্লিপার ও নাট-হুক চুরি হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় চরম ঝুঁকির মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে এ সেতু দিয়ে। এ ছাড়া রেলসেতুটিতে রেলিং বা সেফগার্ড নেই। তাই দ্রুত এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
কৃষক জালাল মিয়া বলেন, ‘আমরা ১৯৫২ সালে ঠাকুরোকোনা স্টেশন থেকে এই সেতু দিয়ে নানাবাড়ি মোহনগঞ্জে যেতাম। তখন বাস-ট্রাকের রাস্তা ছিল না। তাই রেলই ছিল একমাত্র ভরসা, কিন্তু এখন সেতুটি দেখলে কষ্ট লাগে। তাই ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত সেতুটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করার দাবি জানাই।’
বারহাট্টা সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘যতক্ষণ বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এটি জাতীয় কালচার হয়ে গেছে। আমাদের দাবি, কোনো দুর্ঘটনার আগেই যেন এই রেলসেতু সংস্কার করা হয়।’
বারহাট্টা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আতাউর রহমান বলেন, ‘ঠাকুরোকোনা রেলসেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। দ্রুত সেতুটির সংস্কার না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ পাল বলেন, ময়মনসিংহ-বারহাট্টা-মোহনগঞ্জ লাইনের ঠাকুরোকোনা এলাকার বড় রেলসেতুটি যেহেতু ঝুঁকিতে আছে, তাই এটার সংস্কার করা প্রয়োজন।
সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে নেত্রকোনার ধনাইখালী রেলসেতু। এটি বারহাট্টা উপজেলা ও নেত্রকোনা জেলা সদরের ঠাকুরোকোনা এলাকায় অবস্থিত। শত বছরের পুরোনো এই রেলসেতুতে কোনো সংস্কার ছাড়াই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন। সেতুটির বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে গেছে স্লিপার, বিভিন্ন জয়েন্টের নাট নেই, লাইনে নেই ক্লিপ-হুক ও ফিশপ্লেটও। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। শতবর্ষী রেলসেতুটি সংস্কারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
বাংলাদেশ রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রকৌশলীরা বলছেন, ময়মনসিংহ-বারহাট্টা-মোহনগঞ্জ লাইনের ঠাকুরোকোনা এলাকার বড় রেলসেতুটি ঝুঁকিতে থাকায় এর সংস্কার করা প্রয়োজন। তবে এই বছর ঠিকাদার দিয়ে সংস্কার করার মতো সুযোগ নেই। হয়তোবা সামনের বছর সংস্কার করা যেতে পারে।
জানা গেছে, ঠাকুরোকোনায় ধনাইখালী নদীর ওপর অবস্থিত রেলসেতুটি দিয়ে মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ-ঢাকা লাইনে ২টি আন্তনগর ও একটি কমিউটার এবং মোহনগঞ্জ-বারহাট্টা-ময়মনসিংহ লাইনে দুটি লোকাল ট্রেন চলাচল করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের আক্রমণ ঠেকাতে সেতুটি ধ্বংস করা হয়। স্বাধীনতার পর সেতুটি সংস্কার করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও সেতুটির সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রেলসেতুটির ১২৮টি স্লিপারের মধ্যে অধিকাংশ স্লিপার জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। অনেক স্লিপার ভেঙে নষ্ট হয়ে খসে পড়ছে। স্লিপারের নাটবল্টু নেই বহু জায়গায়। লাইন ধরে রাখার জন্য স্লিপারগুলোর হুকও নেই।
হৃদয় নামের এক শিক্ষার্থী জানায়, ২০২০ সালের লকডাউনের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় রেলসেতুটির অনেক স্থান থেকে স্লিপার ও নাট-হুক চুরি হয়ে গেছে। ওই অবস্থায় চরম ঝুঁকির মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে এ সেতু দিয়ে। এ ছাড়া রেলসেতুটিতে রেলিং বা সেফগার্ড নেই। তাই দ্রুত এটি সংস্কার করা প্রয়োজন।
কৃষক জালাল মিয়া বলেন, ‘আমরা ১৯৫২ সালে ঠাকুরোকোনা স্টেশন থেকে এই সেতু দিয়ে নানাবাড়ি মোহনগঞ্জে যেতাম। তখন বাস-ট্রাকের রাস্তা ছিল না। তাই রেলই ছিল একমাত্র ভরসা, কিন্তু এখন সেতুটি দেখলে কষ্ট লাগে। তাই ঠিকাদারের মাধ্যমে দ্রুত সেতুটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করার দাবি জানাই।’
বারহাট্টা সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি এমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘যতক্ষণ বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় না। এটি জাতীয় কালচার হয়ে গেছে। আমাদের দাবি, কোনো দুর্ঘটনার আগেই যেন এই রেলসেতু সংস্কার করা হয়।’
বারহাট্টা রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার আতাউর রহমান বলেন, ‘ঠাকুরোকোনা রেলসেতুটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন। দ্রুত সেতুটির সংস্কার না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
বাংলাদেশ রেলওয়ের ময়মনসিংহ অঞ্চলের সহকারী কার্যনির্বাহী প্রকৌশলী নারায়ণ পাল বলেন, ময়মনসিংহ-বারহাট্টা-মোহনগঞ্জ লাইনের ঠাকুরোকোনা এলাকার বড় রেলসেতুটি যেহেতু ঝুঁকিতে আছে, তাই এটার সংস্কার করা প্রয়োজন।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে