রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও বিপাকে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামগঞ্জ বাজারের এক রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আপনারা বাজারে গেলে বিক্রেতা বা সরকারকে কিছু বলতে পারেন, আমরা তাও পারি না। মুখ বুঝে সহ্য করি। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ সরকারকে ইঙ্গিত করে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে। আমরা কাকে বলব! ওপরে থুতু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সরকারকে অনেক কিছুই বলতে পারে। কিন্তু আমরা তা পারি না। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি লোক। কিন্তু রড-সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচাবিক্রিও নাই। করোনার দুই বছরে পথের ফকির হয়ে গেছি। এখন এক কেজি করলা কিনতে গিয়ে বেহুঁশ হই।’
গতকাল সকালে রামগঞ্জে কাঁচাবাজারে গেলে তিনিসহ আরও কিছু ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। এ সময় স্কুলশিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা মাসে কত টাকা বেতন পাই? পরিবারের সাত সদস্যের তিন বেলার খাবার কিনতে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা গুনতে হয়। কে শুনবে আমাদের কথা!’
কাপড় ব্যবসায়ী মো. ইমাম হোসেন স্বপন বলেন, ‘মানুষের ভেতরে হাহাকার চলছে। খেতে পারে না, জামাকাপড় কিনবে কী দিয়ে। দিনের পর দিন দোকানে এক টাকাও বিক্রি হয় না। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই কীভাবে চলছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি। সে তুলনায় মানুষের রোজগার তো বাড়েনি। নিম্ন আয়ের মানুষ তাও হাত পাততে পারে, আমাদের পক্ষে তো তা সম্ভব না।’
সরেজমিনে রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলা কেজি প্রতি ১২০, কুমড়া ৩৫, কচুর চড়া ৪০, ধনেপাতা ১০০, টমেটো ৪০, মুলা ৩০, বেগুন ৬০, ফুলকপি ৫০, তরি ৬০, গাজর ৪০, শসা ৬০, পাতা কপি ৫০, শিমের বিচি ১২০, লাল শাক ৫০, কাঁচা মরিচ ৮০, কলার হালি (ছোট) ৫০, লেবুর হালি (ছোট) ৬০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫, কক মুরগি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা, ছোট রুই মাছ ২৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজের কেজি ৪৫, সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরকারি বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, মহাজনের গদিতে বাজারের প্রতিটি দোকানদার লাখ লাখ টাকা দেনা। ১৫টি আড়তদার প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে টাকার জন্য। এক আড়ত মালিক পাবেন ৯৪ হাজার টাকা। তাঁকে দিয়েছেন ১ হাজার টাকা। প্রতিদিনই দেনার বোঝা বাড়ছে।
রামগঞ্জ কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুমা ভাণ্ডারের পরিচালক রাশেদ কাজী বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসার। সেখানে বাজারদরের ওঠানামা আমাদের এলাকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।’ তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টির কারণে তরি-তরকারি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নতুন রোপণ করা গাছে এখনো ফসল আসেনি। যে কারণে বাজার এখন থমকে আছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও বিপাকে রয়েছে। গতকাল শুক্রবার উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামগঞ্জ বাজারের এক রড-সিমেন্টের ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘আপনারা বাজারে গেলে বিক্রেতা বা সরকারকে কিছু বলতে পারেন, আমরা তাও পারি না। মুখ বুঝে সহ্য করি। বাজারে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষ সরকারকে ইঙ্গিত করে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে। আমরা কাকে বলব! ওপরে থুতু ফেললে নিজের গায়েই পড়ে।’
এই ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সরকারকে অনেক কিছুই বলতে পারে। কিন্তু আমরা তা পারি না। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি লোক। কিন্তু রড-সিমেন্টের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেচাবিক্রিও নাই। করোনার দুই বছরে পথের ফকির হয়ে গেছি। এখন এক কেজি করলা কিনতে গিয়ে বেহুঁশ হই।’
গতকাল সকালে রামগঞ্জে কাঁচাবাজারে গেলে তিনিসহ আরও কিছু ক্রেতার সঙ্গে কথা হয়। এ সময় স্কুলশিক্ষক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা মাসে কত টাকা বেতন পাই? পরিবারের সাত সদস্যের তিন বেলার খাবার কিনতে প্রতিদিন ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা গুনতে হয়। কে শুনবে আমাদের কথা!’
কাপড় ব্যবসায়ী মো. ইমাম হোসেন স্বপন বলেন, ‘মানুষের ভেতরে হাহাকার চলছে। খেতে পারে না, জামাকাপড় কিনবে কী দিয়ে। দিনের পর দিন দোকানে এক টাকাও বিক্রি হয় না। বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই কীভাবে চলছি। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেশি। সে তুলনায় মানুষের রোজগার তো বাড়েনি। নিম্ন আয়ের মানুষ তাও হাত পাততে পারে, আমাদের পক্ষে তো তা সম্ভব না।’
সরেজমিনে রামগঞ্জ মাছ ও কাঁচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করলা কেজি প্রতি ১২০, কুমড়া ৩৫, কচুর চড়া ৪০, ধনেপাতা ১০০, টমেটো ৪০, মুলা ৩০, বেগুন ৬০, ফুলকপি ৫০, তরি ৬০, গাজর ৪০, শসা ৬০, পাতা কপি ৫০, শিমের বিচি ১২০, লাল শাক ৫০, কাঁচা মরিচ ৮০, কলার হালি (ছোট) ৫০, লেবুর হালি (ছোট) ৬০ ও কচুর লতি ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া হাড় ছাড়া গরুর গোশত ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৫৫, কক মুরগি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা, ছোট রুই মাছ ২৭০ টাকা কেজি, পেঁয়াজের কেজি ৪৫, সয়াবিন তেলের লিটার ১৭৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরকারি বিক্রেতা আরিফ হোসেন জানান, মহাজনের গদিতে বাজারের প্রতিটি দোকানদার লাখ লাখ টাকা দেনা। ১৫টি আড়তদার প্রতিনিয়ত চাপ দিচ্ছে টাকার জন্য। এক আড়ত মালিক পাবেন ৯৪ হাজার টাকা। তাঁকে দিয়েছেন ১ হাজার টাকা। প্রতিদিনই দেনার বোঝা বাড়ছে।
রামগঞ্জ কাঁচা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুমা ভাণ্ডারের পরিচালক রাশেদ কাজী বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার কুমিল্লার নিমসার। সেখানে বাজারদরের ওঠানামা আমাদের এলাকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করে।’ তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে বেশ কয়েকবার টানা বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টির কারণে তরি-তরকারি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নতুন রোপণ করা গাছে এখনো ফসল আসেনি। যে কারণে বাজার এখন থমকে আছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে