গফরগাঁও প্রতিনিধি
বৃষ্টি হলেই গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের খারুয়া বড়াইল হাইস্কুল মাঠে হাঁটুপানি জমে। জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। হাঁটু পরিমাণ পানি ভেঙে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ১০ বছরেও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি।
গত রোববার স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের মাঠ। এক হাতে বই অন্য হাতে ছাতা আর জুতা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া বেগম বলে, বৃষ্টির দিন বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা ও শ্রেণি কক্ষের চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে যায়।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের মেয়ে ফুটবল দলের অধিনায়ক মুন্নী আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ‘এই মাঠে খেলাধুলা করে আমরা জেলায় সেরা হয়েছি। আমাদের মেয়ে ফুটবল দল দেশ সেরা কলসিন্দুর ফুটবল দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। তবুও আমরা বর্ষায় এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেলাম না।’
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফসান জাহান বলেন, ‘মাঠের পানির নিচে অনেক সময় গর্ত থাকে। এতে পা পিছলে পড়ে অনেক সময় আমাদের বই-খাতা, ও পোশাক ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ভেজা কাপড়ে আর সেদিন ক্লাস করা হয় না।’ একই ধরনের অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন, ইমরান আলী, সাবিনা ইয়াসমিন, তানিয়া আক্তারসহ সবার।
খারুয়া বড়াইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌহিদ আনোয়ার বলেন, ‘বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রকল্পের মাধ্যমে একবার মাটি ভরাট করেছেন। তবুও মাঠটি নিচু রয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ১০ বছরেও এই ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, ‘মাঠের জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাওনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম জানেন। এখানকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি জলমগ্ন থাকে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি শ্রেণি কক্ষের টিনের চাল নষ্ট হয়ে পানি পড়ে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষদিকে গিয়ে আটকে রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টি পুরোনো সমস্যা। এলাকাবাসীর সহযোগিতা না পেলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব না। এ ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলে শ্রেণি কক্ষের বিষয়টি স্থায়ী সমাধান হবে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা আর শ্রেণি কক্ষে পানি পড়ার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। শিগগির বিদ্যালয় পরিদর্শন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
বৃষ্টি হলেই গফরগাঁও উপজেলার রাওনা ইউনিয়নের খারুয়া বড়াইল হাইস্কুল মাঠে হাঁটুপানি জমে। জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। হাঁটু পরিমাণ পানি ভেঙে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যেতে হয়। অনেক সময় পিছলে পড়ে শিক্ষার্থীদের বই-খাতা ভিজে নষ্ট হয়। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ১০ বছরেও এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারেনি।
গত রোববার স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানি জমে পুকুরের মতো হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের মাঠ। এক হাতে বই অন্য হাতে ছাতা আর জুতা নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া বেগম বলে, বৃষ্টির দিন বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতা ও শ্রেণি কক্ষের চালের ফুটো দিয়ে পানি পড়ার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি কমে যায়।
অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের মেয়ে ফুটবল দলের অধিনায়ক মুন্নী আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলে, ‘এই মাঠে খেলাধুলা করে আমরা জেলায় সেরা হয়েছি। আমাদের মেয়ে ফুটবল দল দেশ সেরা কলসিন্দুর ফুটবল দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে। তবুও আমরা বর্ষায় এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেলাম না।’
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফসান জাহান বলেন, ‘মাঠের পানির নিচে অনেক সময় গর্ত থাকে। এতে পা পিছলে পড়ে অনেক সময় আমাদের বই-খাতা, ও পোশাক ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। ভেজা কাপড়ে আর সেদিন ক্লাস করা হয় না।’ একই ধরনের অভিযোগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাত হোসেন, ইমরান আলী, সাবিনা ইয়াসমিন, তানিয়া আক্তারসহ সবার।
খারুয়া বড়াইল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তৌহিদ আনোয়ার বলেন, ‘বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা নিরসনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি প্রকল্পের মাধ্যমে একবার মাটি ভরাট করেছেন। তবুও মাঠটি নিচু রয়েছে। পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ১০ বছরেও এই ভোগান্তির স্থায়ী সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি প্রয়োজন।’
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকবর হোসেন বলেন, ‘মাঠের জলাবদ্ধতার বিষয়টি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও রাওনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাবুল আলম জানেন। এখানকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি জলমগ্ন থাকে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি শ্রেণি কক্ষের টিনের চাল নষ্ট হয়ে পানি পড়ে। ঠিকাদারের গাফিলতিতে নতুন ভবনের নির্মাণকাজ শেষদিকে গিয়ে আটকে রয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, বিদ্যালয় মাঠে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতার বিষয়টি পুরোনো সমস্যা। এলাকাবাসীর সহযোগিতা না পেলে জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব না। এ ছাড়া নতুন ভবন নির্মাণকাজ শেষ হলে শ্রেণি কক্ষের বিষয়টি স্থায়ী সমাধান হবে।
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবিদুর রহমান বলেন, ‘বৃষ্টির পানিতে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা আর শ্রেণি কক্ষে পানি পড়ার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। শিগগির বিদ্যালয় পরিদর্শন করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রকল্প গ্রহণ করে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে