বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম (৫০) হত্যার ঘটনায় নাম এসেছে পুলিশের এক কর্মকর্তার। তাঁর নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সদর আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। তাঁর অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই পূর্বপরিকল্পনা করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে জেম ফেসবুক লাইভে তাঁর নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছিলেন এবং এলাকায় সন্ত্রাস ও নির্যাতনের জন্য ওই কর্মকর্তাকে দায়ী করেছিলেন। জেমের বড় ভাইও তাঁদের হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য খাইরুল আলম জেমকে গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল (শাবল) দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা না হলেও হত্যায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এদিকে জেম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর লাশ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শান্তির মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পরে মরদেহ জানাজা শেষে দাফন করা হয়। নিহত জেম শিবগঞ্জ পৌরসভার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
ঘটনার সময় জেমের সঙ্গে ছিলেন পৌর যুবলীগের নেতা মামুন আলী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, উদয়ন মোড়ে পেছন থেকে প্রথমে এক ব্যক্তি শাবল দিয়ে জেমকে আঘাত করে। জেম চিৎকার করে বলেন, ‘আমি রোজা আছি, মারিস না।’ এরপরই সামনে থেকে আরও তিন-চারজন দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে। দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে জেম নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় এলাকার চিহ্নিত সাত-আটজন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেমের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় পুলিশের সামনে বোমা ফাটলে আসামি করে আমাদের।’ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তা সব জানেন। সাত বছর ধরে হয়রানি করছেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে জেলা শহরের ওয়ালটন মোড়ের নাহালা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, পুলিশের এক কর্মকর্তার নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ১০ জনকে হত্যার তালিকা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক কোন্দলে নয়, বরং ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করতেই জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা করে জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ঈদের আগে আটক করতে না পারলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, যারা হত্যা করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের আটক করছে না। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি ওদুদ।
এমপি আব্দুল ওদুদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমার এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে পড়ে না। ওখানকার পুলিশ কেন আমার কথায় চলবে? গতকাল (বুধবার) রাতে এমন ঘটনা শোনার পরও আমি পুলিশের কাউকে ফোন দিইনি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকেই এমপিসহ কিছু মানুষ কোনো বিকারের জায়গা থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক কথা ছড়াচ্ছেন। এমপি সাহেব জেনে হোক, না জেনে হোক, অসত্য বলছেন।’ তিনি বলেন, প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তার করলেই কারণ বেরিয়ে আসবে। কারা কী কারণে খুন করেছে তা জানা যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শহিদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।
এদিকে ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে নিজের নিরাপত্তাহীনতা তুলে ধরেছিলেন খাইরুল আলম জেম। সেখানে তিনি এলাকার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে চলমান সন্ত্রাস ও নির্যাতনের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। ৫ মিনিট ৫১ সেকেন্ড এবং ১৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডের দুটি লাইভে নিজের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন তিনি। তবে লাইভের অর্ধেকের বেশি সময়জুড়ে ছিল পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকায় নির্যাতন, হুমকি, মামলা এবং পুলিশ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে নানা অভিযোগ।
এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওনার (জেম) সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি, কথাও হয়নি। কেন নিরাপত্তা চেয়েছেন জানি না। তবে শুনেছি তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেক মামলা ছিল। সেগুলো স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করার কথা। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেম ছাত্রলীগের পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছিল। আমাদের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সঙ্গী সে। তার এমন মৃত্যু কাম্য নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।’
একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তখন সদর দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, একজন সংসদ সদস্য যখন প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ আনেন, তখন এটাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। অভিযোগ আনলেই তো আর তিনি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন না। কিন্তু যেহেতু তিনি পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তা এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সুতরাং আইনের শাসনের স্বার্থে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করবে বলে প্রত্যাশা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও শিবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেম (৫০) হত্যার ঘটনায় নাম এসেছে পুলিশের এক কর্মকর্তার। তাঁর নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন সদর আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ। তাঁর অভিযোগ, জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই পূর্বপরিকল্পনা করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। কয়েক দিন আগে জেম ফেসবুক লাইভে তাঁর নিরাপত্তাহীনতার কথা বলেছিলেন এবং এলাকায় সন্ত্রাস ও নির্যাতনের জন্য ওই কর্মকর্তাকে দায়ী করেছিলেন। জেমের বড় ভাইও তাঁদের হয়রানির অভিযোগ এনেছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, অসত্য তথ্যের মাধ্যমে উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাঁকে নিশানা করা হচ্ছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র বলেছেন, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য খাইরুল আলম জেমকে গত বুধবার সন্ধ্যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের উদয়ন মোড়ে দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল (শাবল) দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ব্যাপারে মামলা না হলেও হত্যায় জড়িত অভিযোগে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। এদিকে জেম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর লাশ নিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গতকাল বেলা দেড়টার দিকে শান্তির মোড়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-সোনামসজিদ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের আশ্বাসে বেলা ৩টার দিকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। পরে মরদেহ জানাজা শেষে দাফন করা হয়। নিহত জেম শিবগঞ্জ পৌরসভার মরদানা এলাকার মাইনুল আহসান এডু মাস্টারের ছেলে। পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ।
ঘটনার সময় জেমের সঙ্গে ছিলেন পৌর যুবলীগের নেতা মামুন আলী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, উদয়ন মোড়ে পেছন থেকে প্রথমে এক ব্যক্তি শাবল দিয়ে জেমকে আঘাত করে। জেম চিৎকার করে বলেন, ‘আমি রোজা আছি, মারিস না।’ এরপরই সামনে থেকে আরও তিন-চারজন দেশীয় অস্ত্র ও হাম্বল দিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে। দেড় থেকে দুই মিনিটের মধ্যে জেম নিস্তেজ হয়ে পড়লে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলায় এলাকার চিহ্নিত সাত-আটজন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জেমকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেমের বড় ভাই সফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এলাকায় পুলিশের সামনে বোমা ফাটলে আসামি করে আমাদের।’ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, এক পুলিশ কর্মকর্তা সব জানেন। সাত বছর ধরে হয়রানি করছেন।
গতকাল বেলা ৩টার দিকে জেলা শহরের ওয়ালটন মোড়ের নাহালা ভবনে সংবাদ সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদ বলেন, পুলিশের এক কর্মকর্তার নির্দেশে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তিনি বলেন, সদর উপজেলার ১০ জনকে হত্যার তালিকা করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা খাইরুল আলম জেমকে হত্যা করা হয়েছে। রাজনৈতিক কোন্দলে নয়, বরং ব্যক্তিগত প্রভাব বিস্তার করতেই জেমকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পূর্বপরিকল্পনা করে জেলা আওয়ামী লীগে বিভক্তি সৃষ্টি করতেই এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ঈদের আগে আটক করতে না পারলে ঈদের পর কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আব্দুল ওদুদ আরও বলেন, যারা হত্যা করেছে, তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের আটক করছে না। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন এমপি ওদুদ।
এমপি আব্দুল ওদুদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমার এখতিয়ারভুক্ত এলাকার মধ্যে পড়ে না। ওখানকার পুলিশ কেন আমার কথায় চলবে? গতকাল (বুধবার) রাতে এমন ঘটনা শোনার পরও আমি পুলিশের কাউকে ফোন দিইনি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকেই এমপিসহ কিছু মানুষ কোনো বিকারের জায়গা থেকে আমার বিরুদ্ধে নানা বিদ্বেষমূলক কথা ছড়াচ্ছেন। এমপি সাহেব জেনে হোক, না জেনে হোক, অসত্য বলছেন।’ তিনি বলেন, প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে। খুনিদের গ্রেপ্তার করলেই কারণ বেরিয়ে আসবে। কারা কী কারণে খুন করেছে তা জানা যাবে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম শহিদ বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান চলছে। পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই।
এদিকে ১৪ ও ১৫ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে নিজের নিরাপত্তাহীনতা তুলে ধরেছিলেন খাইরুল আলম জেম। সেখানে তিনি এলাকার সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে চলমান সন্ত্রাস ও নির্যাতনের জন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়ী করেন। ৫ মিনিট ৫১ সেকেন্ড এবং ১৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডের দুটি লাইভে নিজের বিরুদ্ধে হওয়া হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার প্রেক্ষাপটও তুলে ধরেন তিনি। তবে লাইভের অর্ধেকের বেশি সময়জুড়ে ছিল পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাকায় নির্যাতন, হুমকি, মামলা এবং পুলিশ ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের বিষয়ে নানা অভিযোগ।
এ বিষয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘ওনার (জেম) সঙ্গে আমার কখনো যোগাযোগ হয়নি, কথাও হয়নি। কেন নিরাপত্তা চেয়েছেন জানি না। তবে শুনেছি তাঁর বিরুদ্ধে হত্যাসহ অনেক মামলা ছিল। সেগুলো স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত করার কথা। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেম ছাত্রলীগের পরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করছিল। আমাদের রাজনীতিতে দীর্ঘদিনের সঙ্গী সে। তার এমন মৃত্যু কাম্য নয়। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।’
একজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমপির এমন অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মনজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তাঁদের কাছে আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি। যদি কেউ অভিযোগ করে তখন সদর দপ্তর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
এ বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, একজন সংসদ সদস্য যখন প্রকাশ্যে এমন অভিযোগ আনেন, তখন এটাকে ছোট করে দেখার উপায় নেই। অভিযোগ আনলেই তো আর তিনি অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত হতে পারেন না। কিন্তু যেহেতু তিনি পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তা এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে, সুতরাং আইনের শাসনের স্বার্থে তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করবে বলে প্রত্যাশা।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে