‘মহানগর’ সিরিজের ওসি হারুন চরিত্রের মতো করে ‘হুব্বা’ দেখার দুইটা কারণ বলুন
দুইটা কারণে হুব্বা দেখবেন। এক, হুব্বা বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। আর দুই, হুব্বায় মোশাররফ করিম অ্যাকটিং করেছে।
আপনি সাধারণত নিজের অভিনীত কোনো কাজ দেখেন না। হুব্বা দেখেছেন?
ডাবিংয়ের সময় দেখেছি। পোস্টপ্রোডাকশনের পরে আর দেখিনি। এখন পর্যন্ত আমার করা কোনো কাজ—সেটা নাটক হোক বা সিনেমা—আমি ওইভাবে বলতে পছন্দ করি না যে এটা অসাধারণ হয়েছে বা এ রকম কিছু। আমার সন্তুষ্টির যে জায়গাটা, ডাবিংয়ে যতটুকু দেখলাম, তাতে আমি খুশি। আমার প্রডিউসার ও ডিরেক্টর ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজে দর্শকেরা আমাকে গ্রহণ করেছে, ভীষণ খুশি হয়েছে। ‘মোবারকনামা’য় খুশি হলো। আমার ধারণা, হুব্বা দেখে তারা আরও খুশি হবে।
হুব্বায় আপনি এক কুখ্যাত গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন।
আমি আসলে খুবই থ্রিলড ছিলাম চরিত্রটি নিয়ে। ভয়েও ছিলাম, এ চরিত্রকে কীভাবে টেনে নিয়ে যাব; এর যে মনস্তত্ত্ব, সেটাকে কীভাবে আনব, সেটা ভেবে। অসাধারণ একটি চরিত্র। অনেক স্তর এ চরিত্রে। আমরা সবাই কিন্তু তাই-ই। এখন আমি যেভাবে কথা বলছি, এই একই মানুষ যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব, সেটা কিন্তু একটু অন্যভাবে বলব। আবার মায়ের সঙ্গে আরেকভাবে, বাচ্চার সঙ্গে আরেকভাবে। সুতরাং মানুষ কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে অনেক স্তরে অ্যাকটিং করে। সেটা তো আছেই। সব মিলিয়ে এটা দুরূহ একটা চরিত্র ছিল।
চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
পুরোটাই তো চ্যালেঞ্জিং। মানসিকভাবে এ চরিত্র ধারণ করাটাই তো ভীষণভাবে চ্যালেঞ্জিং। সব তো বলা যাবে না। সিনেমাটা দেখলে বোঝা যাবে। পুলিশের টর্চার, এটা-সেটা। কখনো মনে হবে, সে সব সত্যি কথা বলে দিচ্ছে। আবার মনে হবে, এর মধ্যে বোধ হয় একটাও সত্যি নেই। আরেকটা বিষয় ছিল—ভাষা। হুব্বার কথা বলার ধরন। সব মিলিয়ে অনেক বিষয় ছিল।
হুব্বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। যেকোনো বায়োপিকে চেহারার মিল আনার চেষ্টা করা হয়। এ সিনেমায় সেদিকটা নিয়ে কতটা প্রস্তুতি ছিল?
আমরা প্রচুর বায়োপিক দেখেছি, সেগুলোতে আমরা কী দেখি? শারীরিক আকার থেকে চরিত্রকে ধরার একধরনের চেষ্টা থাকে। তবে আমার কাছে চরিত্রের মানসিক আকারটি ধরতে পারা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যেমন আমি হয়তো শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কিংবা জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় করে ফেললাম। তার জন্য আমার জীবনানন্দ দাশের চেহারা হতে হবে, তা নয়। আমার কাছে মনে হয়, চরিত্রের মনস্তত্ত্বটা যদি ধরতে পারা যায়, শারীরিক আকারের চেয়ে সেটা বেশি জরুরি। কারণ, যখন আমি একটা টিপিক্যাল আকারকে ফলো করব, তার মাত্রাটা আর অসীম থাকবে না।
হুব্বা সিনেমায় শুটিংয়ের কোন মুহূর্তটি আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে?
একদিন ব্রাত্যদা (ব্রাত্য বসু) বললেন, আপনি আমাকে ছয়খানা ইমপ্রোভাইজেশন দিয়েছেন। ছয়টাই আমার কাজে লাগবে। আমি খুব ইন্সপায়ার্ড হলাম। ওটা একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল আমার জন্য। আর বিশেষ করে চরিত্রটি যখন পুলিশের সামনে কথা বলে, পুলিশ যখন তাকে ধরে নিয়ে যায়, তখনকার হুব্বার যে অভিনয়ের জায়গাটা, সেটা হুব্বার মূল চরিত্র থেকে বেরিয়ে অন্য রকম অভিনয় ছিল। এই অংশটা পারসোনালি আমার খুব ভালো লেগেছে।
ট্রেলারে দেখা গেছে, হুব্বা গ্যাংস্টার হলেও তার মধ্যে একধরনের রসাত্মক ব্যাপার আছে...
হ্যাঁ, হিউমারটা আছে। সংলাপের মধ্য দিয়েও সেটা পাওয়া যায়। সেটাকে এড়ানোর কোনো উপায় নেই। প্রয়োজনও নেই। এবং সেটাই ভীষণ দারুণ। একটা লোকের মাঝে সেন্স অব হিউমার আছে, আবার একই সঙ্গে কী ভীষণ নৃশংস! সে কিছু লোককে, কিছু ফিল্মস্টারকে ফলো করে, নিজের জীবনটা সে ওইভাবে যাপনও করে। এটা আসলেই অন্য রকম একটা চরিত্র! এতগুলো লেয়ার! দারুণ!
ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় দুটি সিনেমায় অভিনয় করলেন (ডিকশনারি ও হুব্বা)। আপনাদের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
প্রথম কাজটা যখন ব্রাত্যদার সঙ্গে করতে যাই, খুবই অবাক হয়েছিলাম, তিনি কেন আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান! উনি সব দিক থেকেই ভীষণ বড় একজন মানুষ। চমৎকার লেখেন, চমৎকার অভিনয় করেন, চমৎকার নির্দেশনা দেন, রাজনীতিরও মানুষ। তো উনি চলে এলেন বাংলাদেশে আমার সঙ্গে দেখা করতে। ওই যে উনার চলে আসা, এবং আমার অভিনয়ের প্রতি ভীষণ ভালো লাগাটা উনি প্রকাশ করলেন, তাতেই মনে হলো, আমি কাজটা করব। প্রথম যখন কাজ করতে যাই, তখন আমি একটু গুটিয়েই ছিলাম। কারণ, এর আগে কখনো এক কাপ চা-ও একসঙ্গে খাওয়া হয়নি। কিন্তু ফার্স্ট শটটা দেওয়ার পরেই জট খুলে গেল। আমি উনাকে বুঝতে পারলাম। উনিও আমাকে ভীষণভাবে বুঝতে পারলেন।
নেতিবাচক চরিত্ররা ইদানীং নায়ক হয়ে পর্দায় আসছে। এতে সমাজে কোনো নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে কি না?
হলিউডে তো এটা আরও আগে থেকেই হচ্ছে। আমিও সেটার স্বপ্ন সব সময়ই দেখতাম। এই যে হিরো, ভিলেন, কমেডি...অমুক তমুক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া তৈরি হয়ে আছে। আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করতে চাই, শব্দটি শুধুই অভিনেতা। না হলে একজন অভিনেতার তৃপ্তি কোথায়? আমি কমেডিও করতে চাই, ট্র্যাজেডিও করতে চাই। নেগেটিভ রোল করতে চাই। পজিটিভ রোল করতে চাই। আমি সব চেটেপুটে খেতে চাই। আর সমাজে নেতিবাচক প্রভাব আসলে হয় না। এখন মানুষ নেটের কল্যাণে এত কাজ দেখে যে, মানুষ জানে এটা অভিনয়। অভিনয় জেনেই সে ওই চরিত্র বা গল্পের প্রেমে পড়ে। এটা বরং অভিনেতার জন্য দারুণ একটা ব্যাপার, যখন সে আগের ইমেজকে ভেঙে আরেক ইমেজ দর্শকের মনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।
বিশ্বজুড়ে এখন ওটিটির রমরমা। ওয়েব কনটেন্টও সেন্সরশিপের আওতায় আনার দাবি তোলেন অনেকে। আপনার কী মত?
প্রশ্নটার উত্তর আসলে আমি জানি না। সেন্সর থাকলে কী হবে? মুক্তমনা মানুষদের গলা টিপে ধরা হবে। আমি আমার মতো করে বলতে পারব না। আবার সেন্সর না থাকলে স্বাধীনতার যাচ্ছেতাই ব্যবহার হবে। স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসবে। আসলে আমি এটার উত্তর একটু অন্যভাবে দিই। সায়েন্সকে আমরা একটা সূত্র দিয়ে নিরূপণ করে ফেলতে পারি—সঠিক কিংবা ভুল। কমার্সের ক্ষেত্রেও তা-ই। আর্টের ক্ষেত্রে এটা মুশকিল। কারণ, এখানে তো কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই। তাই আর্টের বিচার করাটা মুশকিল। ফলে আর্টিস্ট নিজেই এর বিচারক। আর্টিস্ট বলতে আমি শুধু অভিনেতাকে বোঝাচ্ছি না, আর্টের সঙ্গে যুক্ত সবাই। যেহেতু এটার বিচার করার কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই, তাই শিল্পীকে সৎ হওয়া প্রয়োজন। সে নিজেই ভালো জানে, আমি যে এই কাজটা করলাম, এটার উদ্দেশ্য কী ছিল? কিছু টাকা ঘরে ঢুকুক? নাকি আমি আসলে একটা ফিলোসফিক্যাল জায়গা থেকে কিছু দেখাতে চাই?
একজন অভিনেতার কী কী গুণ থাকা প্রয়োজন?
অভিনয়ের জন্য একজন অভিনেতাকে শিশুর মতো হয়ে যেতে হয়। নিজেকে ভেঙে ফেলতে হয়। একজন শিশু যেমন ভালোটা দেখলে মুহূর্তেই খুশি হয়ে ওঠে, আবার মন্দটা দেখলে মন খারাপ করে ফেলে। অভিনেতার মাঝেও নিজেকে মুহূর্তে বদলে ফেলার গুণ থাকতে হয়।
‘মহানগর’ সিরিজের ওসি হারুন চরিত্রের মতো করে ‘হুব্বা’ দেখার দুইটা কারণ বলুন
দুইটা কারণে হুব্বা দেখবেন। এক, হুব্বা বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। আর দুই, হুব্বায় মোশাররফ করিম অ্যাকটিং করেছে।
আপনি সাধারণত নিজের অভিনীত কোনো কাজ দেখেন না। হুব্বা দেখেছেন?
ডাবিংয়ের সময় দেখেছি। পোস্টপ্রোডাকশনের পরে আর দেখিনি। এখন পর্যন্ত আমার করা কোনো কাজ—সেটা নাটক হোক বা সিনেমা—আমি ওইভাবে বলতে পছন্দ করি না যে এটা অসাধারণ হয়েছে বা এ রকম কিছু। আমার সন্তুষ্টির যে জায়গাটা, ডাবিংয়ে যতটুকু দেখলাম, তাতে আমি খুশি। আমার প্রডিউসার ও ডিরেক্টর ভীষণ উচ্ছ্বসিত। ‘মহানগর’ ওয়েব সিরিজে দর্শকেরা আমাকে গ্রহণ করেছে, ভীষণ খুশি হয়েছে। ‘মোবারকনামা’য় খুশি হলো। আমার ধারণা, হুব্বা দেখে তারা আরও খুশি হবে।
হুব্বায় আপনি এক কুখ্যাত গ্যাংস্টারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রটি সম্পর্কে বলুন।
আমি আসলে খুবই থ্রিলড ছিলাম চরিত্রটি নিয়ে। ভয়েও ছিলাম, এ চরিত্রকে কীভাবে টেনে নিয়ে যাব; এর যে মনস্তত্ত্ব, সেটাকে কীভাবে আনব, সেটা ভেবে। অসাধারণ একটি চরিত্র। অনেক স্তর এ চরিত্রে। আমরা সবাই কিন্তু তাই-ই। এখন আমি যেভাবে কথা বলছি, এই একই মানুষ যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব, সেটা কিন্তু একটু অন্যভাবে বলব। আবার মায়ের সঙ্গে আরেকভাবে, বাচ্চার সঙ্গে আরেকভাবে। সুতরাং মানুষ কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে অনেক স্তরে অ্যাকটিং করে। সেটা তো আছেই। সব মিলিয়ে এটা দুরূহ একটা চরিত্র ছিল।
চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
পুরোটাই তো চ্যালেঞ্জিং। মানসিকভাবে এ চরিত্র ধারণ করাটাই তো ভীষণভাবে চ্যালেঞ্জিং। সব তো বলা যাবে না। সিনেমাটা দেখলে বোঝা যাবে। পুলিশের টর্চার, এটা-সেটা। কখনো মনে হবে, সে সব সত্যি কথা বলে দিচ্ছে। আবার মনে হবে, এর মধ্যে বোধ হয় একটাও সত্যি নেই। আরেকটা বিষয় ছিল—ভাষা। হুব্বার কথা বলার ধরন। সব মিলিয়ে অনেক বিষয় ছিল।
হুব্বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে তৈরি। যেকোনো বায়োপিকে চেহারার মিল আনার চেষ্টা করা হয়। এ সিনেমায় সেদিকটা নিয়ে কতটা প্রস্তুতি ছিল?
আমরা প্রচুর বায়োপিক দেখেছি, সেগুলোতে আমরা কী দেখি? শারীরিক আকার থেকে চরিত্রকে ধরার একধরনের চেষ্টা থাকে। তবে আমার কাছে চরিত্রের মানসিক আকারটি ধরতে পারা বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। যেমন আমি হয়তো শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক কিংবা জীবনানন্দ দাশের চরিত্রে অভিনয় করে ফেললাম। তার জন্য আমার জীবনানন্দ দাশের চেহারা হতে হবে, তা নয়। আমার কাছে মনে হয়, চরিত্রের মনস্তত্ত্বটা যদি ধরতে পারা যায়, শারীরিক আকারের চেয়ে সেটা বেশি জরুরি। কারণ, যখন আমি একটা টিপিক্যাল আকারকে ফলো করব, তার মাত্রাটা আর অসীম থাকবে না।
হুব্বা সিনেমায় শুটিংয়ের কোন মুহূর্তটি আপনার কাছে বেশি ভালো লেগেছে?
একদিন ব্রাত্যদা (ব্রাত্য বসু) বললেন, আপনি আমাকে ছয়খানা ইমপ্রোভাইজেশন দিয়েছেন। ছয়টাই আমার কাজে লাগবে। আমি খুব ইন্সপায়ার্ড হলাম। ওটা একটা আনন্দের মুহূর্ত ছিল আমার জন্য। আর বিশেষ করে চরিত্রটি যখন পুলিশের সামনে কথা বলে, পুলিশ যখন তাকে ধরে নিয়ে যায়, তখনকার হুব্বার যে অভিনয়ের জায়গাটা, সেটা হুব্বার মূল চরিত্র থেকে বেরিয়ে অন্য রকম অভিনয় ছিল। এই অংশটা পারসোনালি আমার খুব ভালো লেগেছে।
ট্রেলারে দেখা গেছে, হুব্বা গ্যাংস্টার হলেও তার মধ্যে একধরনের রসাত্মক ব্যাপার আছে...
হ্যাঁ, হিউমারটা আছে। সংলাপের মধ্য দিয়েও সেটা পাওয়া যায়। সেটাকে এড়ানোর কোনো উপায় নেই। প্রয়োজনও নেই। এবং সেটাই ভীষণ দারুণ। একটা লোকের মাঝে সেন্স অব হিউমার আছে, আবার একই সঙ্গে কী ভীষণ নৃশংস! সে কিছু লোককে, কিছু ফিল্মস্টারকে ফলো করে, নিজের জীবনটা সে ওইভাবে যাপনও করে। এটা আসলেই অন্য রকম একটা চরিত্র! এতগুলো লেয়ার! দারুণ!
ব্রাত্য বসুর পরিচালনায় দুটি সিনেমায় অভিনয় করলেন (ডিকশনারি ও হুব্বা)। আপনাদের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?
প্রথম কাজটা যখন ব্রাত্যদার সঙ্গে করতে যাই, খুবই অবাক হয়েছিলাম, তিনি কেন আমাকে নিয়ে কাজ করতে চান! উনি সব দিক থেকেই ভীষণ বড় একজন মানুষ। চমৎকার লেখেন, চমৎকার অভিনয় করেন, চমৎকার নির্দেশনা দেন, রাজনীতিরও মানুষ। তো উনি চলে এলেন বাংলাদেশে আমার সঙ্গে দেখা করতে। ওই যে উনার চলে আসা, এবং আমার অভিনয়ের প্রতি ভীষণ ভালো লাগাটা উনি প্রকাশ করলেন, তাতেই মনে হলো, আমি কাজটা করব। প্রথম যখন কাজ করতে যাই, তখন আমি একটু গুটিয়েই ছিলাম। কারণ, এর আগে কখনো এক কাপ চা-ও একসঙ্গে খাওয়া হয়নি। কিন্তু ফার্স্ট শটটা দেওয়ার পরেই জট খুলে গেল। আমি উনাকে বুঝতে পারলাম। উনিও আমাকে ভীষণভাবে বুঝতে পারলেন।
নেতিবাচক চরিত্ররা ইদানীং নায়ক হয়ে পর্দায় আসছে। এতে সমাজে কোনো নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হতে পারে কি না?
হলিউডে তো এটা আরও আগে থেকেই হচ্ছে। আমিও সেটার স্বপ্ন সব সময়ই দেখতাম। এই যে হিরো, ভিলেন, কমেডি...অমুক তমুক ইত্যাদি বিভিন্ন ক্রাইটেরিয়া তৈরি হয়ে আছে। আমি এটা বিশ্বাস করতে চাই না। আমি বিশ্বাস করতে চাই, শব্দটি শুধুই অভিনেতা। না হলে একজন অভিনেতার তৃপ্তি কোথায়? আমি কমেডিও করতে চাই, ট্র্যাজেডিও করতে চাই। নেগেটিভ রোল করতে চাই। পজিটিভ রোল করতে চাই। আমি সব চেটেপুটে খেতে চাই। আর সমাজে নেতিবাচক প্রভাব আসলে হয় না। এখন মানুষ নেটের কল্যাণে এত কাজ দেখে যে, মানুষ জানে এটা অভিনয়। অভিনয় জেনেই সে ওই চরিত্র বা গল্পের প্রেমে পড়ে। এটা বরং অভিনেতার জন্য দারুণ একটা ব্যাপার, যখন সে আগের ইমেজকে ভেঙে আরেক ইমেজ দর্শকের মনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়।
বিশ্বজুড়ে এখন ওটিটির রমরমা। ওয়েব কনটেন্টও সেন্সরশিপের আওতায় আনার দাবি তোলেন অনেকে। আপনার কী মত?
প্রশ্নটার উত্তর আসলে আমি জানি না। সেন্সর থাকলে কী হবে? মুক্তমনা মানুষদের গলা টিপে ধরা হবে। আমি আমার মতো করে বলতে পারব না। আবার সেন্সর না থাকলে স্বাধীনতার যাচ্ছেতাই ব্যবহার হবে। স্বেচ্ছাচারিতা চলে আসবে। আসলে আমি এটার উত্তর একটু অন্যভাবে দিই। সায়েন্সকে আমরা একটা সূত্র দিয়ে নিরূপণ করে ফেলতে পারি—সঠিক কিংবা ভুল। কমার্সের ক্ষেত্রেও তা-ই। আর্টের ক্ষেত্রে এটা মুশকিল। কারণ, এখানে তো কোনো নির্দিষ্ট সূত্র নেই। তাই আর্টের বিচার করাটা মুশকিল। ফলে আর্টিস্ট নিজেই এর বিচারক। আর্টিস্ট বলতে আমি শুধু অভিনেতাকে বোঝাচ্ছি না, আর্টের সঙ্গে যুক্ত সবাই। যেহেতু এটার বিচার করার কোনো নির্দিষ্ট মাপকাঠি নেই, তাই শিল্পীকে সৎ হওয়া প্রয়োজন। সে নিজেই ভালো জানে, আমি যে এই কাজটা করলাম, এটার উদ্দেশ্য কী ছিল? কিছু টাকা ঘরে ঢুকুক? নাকি আমি আসলে একটা ফিলোসফিক্যাল জায়গা থেকে কিছু দেখাতে চাই?
একজন অভিনেতার কী কী গুণ থাকা প্রয়োজন?
অভিনয়ের জন্য একজন অভিনেতাকে শিশুর মতো হয়ে যেতে হয়। নিজেকে ভেঙে ফেলতে হয়। একজন শিশু যেমন ভালোটা দেখলে মুহূর্তেই খুশি হয়ে ওঠে, আবার মন্দটা দেখলে মন খারাপ করে ফেলে। অভিনেতার মাঝেও নিজেকে মুহূর্তে বদলে ফেলার গুণ থাকতে হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৮ দিন আগে