মনিরামপুর প্রতিনিধি
মনিরামপুরে গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র বিদ্যুৎ-বিভ্রাট (লোডশেডিং) শুরু হয়েছে। ৩-৪ দিন ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় সন্ধ্যা নামলে।
সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গেলে আসে রাত ১০টার পরে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকায় পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের। বিপাকে পড়েছেন রোজা পালনকারীরাও।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি, হঠাৎ করে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মনিরামপুরে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। সমস্যা সহনীয় হতে আরও ২-৪ দিন সময় লাগবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,৩-৪ দিন ধরে উপজেলার রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর, ঢাকুরিয়া, হরিহরনগর, মনোহরপুর, নেহালপুর, বাকোশপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকছে না। বেলা ডোবার পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে লুকোচুরি চলতে থাকে বিদ্যুতের। রাত ৮টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
টানা দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি নিয়ে বিদ্যুৎ আসছে রাত ১০টার পর। দিনের বেলায়ও একই অবস্থা। থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। চৈত্রের প্রখর রোদের তাপে বিদ্যুতের এ লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা লোডশেডিং দেখা গেছে উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলে।
মনিরামপুরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব এলাকায় থাকছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে, মনিরামপুরে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং থাকছে ৪-৬ ঘণ্টা।
এদিকে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোজা পালনকারীরা। মাগরিব ও এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নামাজ আদায়ে কষ্ট হচ্ছে মুসল্লিদের।
মাহমুদকাটি গ্রামের রাসেল পারভেজ বলেন, ‘রোজার শুরু থেকে বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হয়েছে। ইফতারির সময় চলে যাচ্ছে। মাঝে দিয়ে এসে এশার আজানের পর চলে যাচ্ছে। এরপর তারাবির নামাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ আসছে।’
কদমবাড়িয়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী রনি হোসেন বলে, ‘পরীক্ষার আর দুই মাস আছে। দিনের বেলায় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। সন্ধ্যায় পড়ার আসল সময়। তখন চলে গিয়ে রাত ১০টার পরে বিদ্যুৎ আসছে। এর মধ্যে দু-একবার বিদ্যুৎ আসে। বই নিয়ে বসার পরপরই চলে যায়।’
টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব হোসেন বলে, ‘আকাশে কোনো মেঘ না, ঝড় না তারপরও কারেন্ট নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল, প্রাইভেট চালু রয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় পড়তে পারি না। এ জন্য ক্লাসের পড়া করে দিতে পারছি না।’
তবে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তীব্র হলেও এ সমস্যা তেমন নেই মনিরামপুর উপজেলা সদরে। মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলও এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুতের সরবরাহ ভালো।
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘লোডশেডিং সমস্যা নিয়ে বিপাকে আছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের প্রেশার কমে যাওয়ায় অনেকগুলো জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মারাত্মকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।’
প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শুধু রাতে নয়, এখন দিনের বেলায়ও লোডশেডিং শুরু হয়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি।’
মনোহর বিশ্বাস বলেন, ‘মনিরামপুর-কেশবপুর অঞ্চলে রাতের বেলায় বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ২৫ মেগাওয়াট। সোমবার সন্ধ্যায় পেয়েছি তার অর্ধেক। মোট মিলে মনিরামপুরের মানুষ দিনরাতে ১৮-২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎসেবা পাচ্ছে।’
যশোর পল্লী বিদ্যুতের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বলেন, ‘পায়রা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আনার জন্য সার্কিট চালু করার চেষ্টা চলছে। সেখানে নতুন লাইনের কাজ চলছে। যা দু-এক দিনের মধ্যে চালু হবে। তখন এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হবে।’
মনোহর কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, গ্যাস প্রেশার বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।’
মনিরামপুরে গ্রীষ্মের শুরুতেই তীব্র বিদ্যুৎ-বিভ্রাট (লোডশেডিং) শুরু হয়েছে। ৩-৪ দিন ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা দেখা দেয় সন্ধ্যা নামলে।
সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গেলে আসে রাত ১০টার পরে। কোনো কোনো এলাকায় বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার মধ্যেই থাকছে। ফলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিদ্যুৎ না থাকায় পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের। বিপাকে পড়েছেন রোজা পালনকারীরাও।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দাবি, হঠাৎ করে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। মনিরামপুরে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। সমস্যা সহনীয় হতে আরও ২-৪ দিন সময় লাগবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,৩-৪ দিন ধরে উপজেলার রাজগঞ্জ, খেদাপাড়া, রোহিতা, কাশিমনগর, ঢাকুরিয়া, হরিহরনগর, মনোহরপুর, নেহালপুর, বাকোশপোলসহ বিভিন্ন এলাকায় সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ থাকছে না। বেলা ডোবার পরই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে লুকোচুরি চলতে থাকে বিদ্যুতের। রাত ৮টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
টানা দেড় থেকে দুই ঘণ্টা বিরতি নিয়ে বিদ্যুৎ আসছে রাত ১০টার পর। দিনের বেলায়ও একই অবস্থা। থেমে থেমে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করছে। চৈত্রের প্রখর রোদের তাপে বিদ্যুতের এ লুকোচুরিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত টানা লোডশেডিং দেখা গেছে উপজেলার খেদাপাড়া অঞ্চলে।
মনিরামপুরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা যাচ্ছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। তবে সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সব এলাকায় থাকছে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট। পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের তথ্যমতে, মনিরামপুরে অঞ্চলভেদে লোডশেডিং থাকছে ৪-৬ ঘণ্টা।
এদিকে সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়ছেন রোজা পালনকারীরা। মাগরিব ও এশার নামাজের সময় বিদ্যুৎ না থাকায় নামাজ আদায়ে কষ্ট হচ্ছে মুসল্লিদের।
মাহমুদকাটি গ্রামের রাসেল পারভেজ বলেন, ‘রোজার শুরু থেকে বিদ্যুতের সমস্যা শুরু হয়েছে। ইফতারির সময় চলে যাচ্ছে। মাঝে দিয়ে এসে এশার আজানের পর চলে যাচ্ছে। এরপর তারাবির নামাজ শেষ হলে বিদ্যুৎ আসছে।’
কদমবাড়িয়া গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী রনি হোসেন বলে, ‘পরীক্ষার আর দুই মাস আছে। দিনের বেলায় ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। সন্ধ্যায় পড়ার আসল সময়। তখন চলে গিয়ে রাত ১০টার পরে বিদ্যুৎ আসছে। এর মধ্যে দু-একবার বিদ্যুৎ আসে। বই নিয়ে বসার পরপরই চলে যায়।’
টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র নীরব হোসেন বলে, ‘আকাশে কোনো মেঘ না, ঝড় না তারপরও কারেন্ট নিয়ে যাচ্ছে। স্কুল, প্রাইভেট চালু রয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যায় পড়তে পারি না। এ জন্য ক্লাসের পড়া করে দিতে পারছি না।’
তবে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট তীব্র হলেও এ সমস্যা তেমন নেই মনিরামপুর উপজেলা সদরে। মাঝেমধ্যে কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎ চলে গেলও এখানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিদ্যুতের সরবরাহ ভালো।
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটের বিষয়ে জানতে চাইলে যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘লোডশেডিং সমস্যা নিয়ে বিপাকে আছি। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের প্রেশার কমে যাওয়ায় অনেকগুলো জেনারেটর বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে মারাত্মকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে।’
প্রকৌশলী মনোহর কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘শুধু রাতে নয়, এখন দিনের বেলায়ও লোডশেডিং শুরু হয়েছে। যা নিয়ে আমরা খুব বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছি।’
মনোহর বিশ্বাস বলেন, ‘মনিরামপুর-কেশবপুর অঞ্চলে রাতের বেলায় বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ২৫ মেগাওয়াট। সোমবার সন্ধ্যায় পেয়েছি তার অর্ধেক। মোট মিলে মনিরামপুরের মানুষ দিনরাতে ১৮-২০ ঘণ্টা বিদ্যুৎসেবা পাচ্ছে।’
যশোর পল্লী বিদ্যুতের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বলেন, ‘পায়রা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আনার জন্য সার্কিট চালু করার চেষ্টা চলছে। সেখানে নতুন লাইনের কাজ চলছে। যা দু-এক দিনের মধ্যে চালু হবে। তখন এ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি হবে।’
মনোহর কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, গ্যাস প্রেশার বাড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট কেটে যাবে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
১ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে